প্রশ্নবিদ্ধই রয়ে গেল পুলিশের ভূমিকা-আমিনবাজার ট্র্যাজেডি
আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ছয় ছাত্রকে গণপিটুনিতে হত্যার রহস্য উন্মোচন এবং প্রকৃত খলনায়কদের পুলিশ এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি; বরং শনিবার প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থানার সঙ্গে বোঝাপড়া হয়ে গেছে। যদিও দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক মতিউর রহমান দাবি করেছেন, বোঝাপড়ার অভিযোগ
ভিত্তিহীন। ইতিমধ্যে পুলিশের একজন ডিআইজির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে এবংগ্রেপ্তার হয়েছে দুজন। কিন্তু করার রয়েছে আরও অনেক কিছু।
আমরা এই পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যে আস্থাশীল হতে চাই। দু-এক দিনের মধ্যে না হোক, অন্তত যুক্তিসংগত সময়সীমার মধ্যে তিনি ফলাফল দেখাতে সক্ষম হবেন, সে আশাবাদ ব্যক্তি করি। তবে ছয় ছাত্রের হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর ঘটনায় অভিযোগের তীর পুলিশ বিভাগের ওপরই নিবদ্ধ। ছয়জন ছাত্রকে পিটিয়ে মারার ঘটনার সঙ্গে পুলিশের যতটুকু সম্পৃক্ততার খবর ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে, সেটা যেন নস্যাৎ করার ঘটনা না ঘটে। একটা সময় ছিল যখন সংবাদপত্রে বা গণমাধ্যমে কোনো সত্য উদ্ঘাটিত হলে পুলিশ বিভাগ তাকে আর ধামাচাপা দিতে অগ্রসর হতো না, সাহস দেখাত না। এখন তারা সত্যকে উল্টে দিতে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিতেও দ্বিধা করে না। ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায়ও যে তেমন কিছু ঘটেনি, তার নিশ্চয়তা কী?
ছাত্রদের বিরুদ্ধে কথিত ডাকাতির মামলার বাদী বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক এখন পলাতক। তাঁর দাবি, পুলিশই তাঁকে দিয়ে মামলা করিয়েছে। এখন পুলিশই বলে বেড়াচ্ছে, তারা তাঁকে পাচ্ছে না।
পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার কারণে এ ঘটনার তদন্তভার পুলিশ বিভাগের কাছে ন্যস্ত করার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের সামনে এমন নয় যে আর কোনো বিকল্প খোলা ছিল না। তাদের উচিত ছিল পুলিশ বিভাগের সংশ্লিষ্টতা বা তাদের প্রভাব সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যাতে কোনো ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকা।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে বলে কোনো খবর এখনো আমরা জানি না। সাধারণত রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি ও জেদাজেদি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে বিরত রাখে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিহতদের পরিবারগুলো প্রভাবশালী নয়। অথচ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনাবলি জনপ্রশাসন ভেঙে পড়ার অশনিসংকেত। আমরা আশা করব, এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
আমরা এই পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যে আস্থাশীল হতে চাই। দু-এক দিনের মধ্যে না হোক, অন্তত যুক্তিসংগত সময়সীমার মধ্যে তিনি ফলাফল দেখাতে সক্ষম হবেন, সে আশাবাদ ব্যক্তি করি। তবে ছয় ছাত্রের হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর ঘটনায় অভিযোগের তীর পুলিশ বিভাগের ওপরই নিবদ্ধ। ছয়জন ছাত্রকে পিটিয়ে মারার ঘটনার সঙ্গে পুলিশের যতটুকু সম্পৃক্ততার খবর ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে, সেটা যেন নস্যাৎ করার ঘটনা না ঘটে। একটা সময় ছিল যখন সংবাদপত্রে বা গণমাধ্যমে কোনো সত্য উদ্ঘাটিত হলে পুলিশ বিভাগ তাকে আর ধামাচাপা দিতে অগ্রসর হতো না, সাহস দেখাত না। এখন তারা সত্যকে উল্টে দিতে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিতেও দ্বিধা করে না। ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায়ও যে তেমন কিছু ঘটেনি, তার নিশ্চয়তা কী?
ছাত্রদের বিরুদ্ধে কথিত ডাকাতির মামলার বাদী বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক এখন পলাতক। তাঁর দাবি, পুলিশই তাঁকে দিয়ে মামলা করিয়েছে। এখন পুলিশই বলে বেড়াচ্ছে, তারা তাঁকে পাচ্ছে না।
পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার কারণে এ ঘটনার তদন্তভার পুলিশ বিভাগের কাছে ন্যস্ত করার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের সামনে এমন নয় যে আর কোনো বিকল্প খোলা ছিল না। তাদের উচিত ছিল পুলিশ বিভাগের সংশ্লিষ্টতা বা তাদের প্রভাব সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যাতে কোনো ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকা।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে বলে কোনো খবর এখনো আমরা জানি না। সাধারণত রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি ও জেদাজেদি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে বিরত রাখে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিহতদের পরিবারগুলো প্রভাবশালী নয়। অথচ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনাবলি জনপ্রশাসন ভেঙে পড়ার অশনিসংকেত। আমরা আশা করব, এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
No comments