তিন মাস ধরে সিঙ্গাপুরে পড়ে আছে বিমানের এয়ারবাস by টিপু সুলতান
বাংলাদেশ বিমানের একটি এয়ারবাস তিন মাস ধরে সিঙ্গাপুরে আটকা পড়ে আছে। এটি কবে দেশে ফিরবে, তা এখনো অনিশ্চিত। এয়ারবাসটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে ৩৮ দিনের মধ্যে ঢাকায় ফেরার কথা। কিন্তু পার হয়ে গেছে ৯৫ দিন। বাড়তি ৫৭ দিন এয়ারবাসটি বসে থাকায় বাণিজ্যিকভাবে অন্তত ২৩ কোটি টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছে বিমান।
বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ফ্লাইট পরিচালনব্যয় বাদ দিয়ে দৈনিক ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আয় ধরে এই হিসাব করেছেন। এভাবে যত দিন উড়োজাহাজটি পড়ে থাকবে আর্থিক ক্ষতি ততই বাড়তে থাকবে।
একই কারণে এর আগে আরেকটি এয়ারবাস অতিরিক্ত ৬৩ দিন সিঙ্গাপুরে পড়ে থাকায় ক্ষতি হয়েছিল পৌনে ২৬ কোটি টাকা।
বিমানের প্রকৌশল শাখা সূত্র জানায়, বিমানের একটি এয়ারবাস (রেজি. এস-২ এডিকে) রক্ষণাবেক্ষণের জন্য (১৬ সি-চেক) সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় গত ৯ ডিসেম্বর। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিখিতভাবে বিমানকে জানায়, চুক্তি মোতাবেক এই উড়োজাহাজের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের (সি-চেক) বাইরে আরও অনেক মারাত্মক ত্রুটি পাওয়া গেছে, যা খুবই অস্বাভাবিক। বিমানের প্রকৌশল শাখার অদক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মবহির্ভূত মেরামতের কারণে এটির সৃষ্টি। এমনকি এমনও ত্রুটি রয়েছে, যা সাদা চোখে ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর এয়ারের মতে, বিমানের প্রকৌশল শাখায় ন্যূনতম মান রক্ষা করলেও এ রকমটা হওয়ার কথা নয়।
বিমান সূত্র জানায়, এয়ারবাসটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর এয়ার কিছু শর্তসহ প্রস্তাব পাঠায়। তাতে সাড়া না দিয়ে বিমানের পরিচালক (প্রকৌশল) সব কাজ করে দিতে চাপ দেয়। এরপর সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিয়ে এয়ারবাসটি হ্যাঙ্গারের বাইরে ফেলে রাখে, যা এখনো সেভাবেই পড়ে আছে।
বিমান সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন এখন বলছে, অতিরিক্ত ত্রুটি সারাতে তাদের বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা বিমানকে একটি প্রস্তাবও পাঠায়। সেখানে ত্রুটিগুলো সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়।
এরপর সমঝোতার জন্য গত মাসে বিমানের পরিচালক (প্রকৌশল) ও পরিচালনা পর্ষদের দুই সদস্যসহ একটি প্রতিনিধিদল সিঙ্গাপুরে যায়। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য পাঠায়। কিন্তু দেশে ফিরে পরিচালক (প্রকৌশল) তা মানতে অস্বীকার করলে সমঝোতা ভেঙে যায়।
অবশ্য বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এয়ার কমোডর জাকীউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিমানের প্রকৌশল শাখার একাধিক সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর এয়ার এর আগে বিভিন্ন সময় বিমানের অনেক উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করেছে। কখনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। মূলত প্রকৌশল শাখার অদক্ষতা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে এমনটা হয়েছে।
বিমানের এমডি দাবি করেন, বিমানের প্রকৌশল শাখার বিরুদ্ধে যেসব অদক্ষতা ও অননুমোদিত কাজের অভিযোগ উঠেছে, তার সবই ঠিক নয়। বিমানকে চাপে রাখতে ওরা এত সব অভিযোগ তুলেছে। তিনি বলেন, তার পরও প্রকৌশল শাখার অদক্ষতা বা তাদের অননুমোদিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে এমনিতেই উড়োজাহাজের অভাবে বিমানের ফ্লাইটসূচি ঠিক রাখা দুরূহ হয়ে উঠেছে। ভাড়া করে একাধিক উড়োজাহাজ এনেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। জানতে চাইলে বিমানের এমডি জাকীউল ইসলামও স্বীকার করেছেন, ৩৮ দিন কর্মদিবসে যে এয়ারবাস (এডিকে) আসার কথা, সেটি তিন মাসের অধিক সময় বসে থাকায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
অবশ্য এমন পরিস্থিতি এটাই প্রথম নয়, এর আগে আরেকটি এয়ারবাস (রেজি. এস-২ এডিএফ) গত বছর ২৫ মে সিঙ্গাপুরে পাঠায় একই রকম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তাতেও একই রকম অনিয়ম পাওয়া যায়। সেটির ভালো ‘নোজ কাউল’ (যা গতি নিয়ন্ত্রণ করে, ইঞ্জিনের সামনে থাকে) খুলে খারাপ একটি লাগিয়ে পাঠানো হয়। প্রকৌশল শাখার এই চালাকির খেসারত দিতে হয় পরে বাড়তি অর্থ গুনে।
প্রকৌশলীদের একটি সূত্র জানায়, বিমানের প্রকৌশল শাখার প্রধানের ধারণা ছিল নষ্ট নোজ কাউল সিঙ্গাপুর এয়ার এমনিতে ঠিক করে দেবে। কিন্তু কার্যাদেশের বাইরে কাজ করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হয়। আবার এ রকম যন্ত্রাংশ দিয়ে যাত্রীসহ এভাবে উড়োজাহাজ পাঠানোটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি। এ কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশ বিমানের উড্ডয়ন লাইসেন্স বাতিল হওয়ার দশা হতো। এ ব্যাপারে পরিচালককে (প্রকৌশল) সতর্ক করে দেয় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। অবশ্য পরে বিমান কর্তৃপক্ষ নোজ কাউল কিনে পাঠায়। এ ছাড়া সব ‘সিট ট্র্যাক’, টয়লেটসহ অনেক জরুরি উপাদান নষ্ট ছিল। অতি সাধারণ ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হলে এসব ত্রুটি থাকার কথা নয়। পরে অনেক দর-কষাকষি শেষে বাড়তি অর্থ দিয়ে এসব ত্রুটি সারানো হয়।
ফলে ৩৮ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও ওই এয়ারবাসটি ঢাকায় ফেরত আসে ১০১ দিন পর গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর। এ জন্য বিমান বাণিজ্যিকভাবে অন্তত পৌনে ২৬ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে।
সূত্রগুলো জানায়, এই দুটি এয়ারবাসের ঘটনার প্রভাব পড়েছে বিমানের তৃতীয় এয়ারবাস রক্ষণাবেক্ষণের দরপত্রে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ দরপত্রে প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেয়নি। এর দরপত্রে অংশ নিয়ে টার্কিশ এয়ার কার্যাদেশ পায়। এখনো তৃতীয় এয়ারবাসটি পাঠানো হয়নি। এটি নিয়েও পরে একই পরিস্থিতির মুখে পড়ার আশঙ্কা আছে কি না, জানতে চাইলে বিমানের এমডি জাকীউল ইসলাম বলেন, ‘এই এয়ারবাসটি ভাড়ায় আনা। অবস্থাও আগের দুটি থেকে ভালো।’
বিমানের কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ বসিয়ে রেখে ভাড়ার উড়োজাহাজ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ‘অযোগ্য’ পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিমানকর্মীরা। সর্বস্তরের কর্মীরা মিলে ‘বিমান বাঁচাও ঐক্য পরিষদ’ গঠন করে ৮ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরিচালনা পর্ষদ শিগগিরই ভেঙে দেওয়ার জন্য তাঁরা আজ ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।
একই কারণে এর আগে আরেকটি এয়ারবাস অতিরিক্ত ৬৩ দিন সিঙ্গাপুরে পড়ে থাকায় ক্ষতি হয়েছিল পৌনে ২৬ কোটি টাকা।
বিমানের প্রকৌশল শাখা সূত্র জানায়, বিমানের একটি এয়ারবাস (রেজি. এস-২ এডিকে) রক্ষণাবেক্ষণের জন্য (১৬ সি-চেক) সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় গত ৯ ডিসেম্বর। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিখিতভাবে বিমানকে জানায়, চুক্তি মোতাবেক এই উড়োজাহাজের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের (সি-চেক) বাইরে আরও অনেক মারাত্মক ত্রুটি পাওয়া গেছে, যা খুবই অস্বাভাবিক। বিমানের প্রকৌশল শাখার অদক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মবহির্ভূত মেরামতের কারণে এটির সৃষ্টি। এমনকি এমনও ত্রুটি রয়েছে, যা সাদা চোখে ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর এয়ারের মতে, বিমানের প্রকৌশল শাখায় ন্যূনতম মান রক্ষা করলেও এ রকমটা হওয়ার কথা নয়।
বিমান সূত্র জানায়, এয়ারবাসটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর এয়ার কিছু শর্তসহ প্রস্তাব পাঠায়। তাতে সাড়া না দিয়ে বিমানের পরিচালক (প্রকৌশল) সব কাজ করে দিতে চাপ দেয়। এরপর সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিয়ে এয়ারবাসটি হ্যাঙ্গারের বাইরে ফেলে রাখে, যা এখনো সেভাবেই পড়ে আছে।
বিমান সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন এখন বলছে, অতিরিক্ত ত্রুটি সারাতে তাদের বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা বিমানকে একটি প্রস্তাবও পাঠায়। সেখানে ত্রুটিগুলো সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়।
এরপর সমঝোতার জন্য গত মাসে বিমানের পরিচালক (প্রকৌশল) ও পরিচালনা পর্ষদের দুই সদস্যসহ একটি প্রতিনিধিদল সিঙ্গাপুরে যায়। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য পাঠায়। কিন্তু দেশে ফিরে পরিচালক (প্রকৌশল) তা মানতে অস্বীকার করলে সমঝোতা ভেঙে যায়।
অবশ্য বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এয়ার কমোডর জাকীউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিমানের প্রকৌশল শাখার একাধিক সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর এয়ার এর আগে বিভিন্ন সময় বিমানের অনেক উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করেছে। কখনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। মূলত প্রকৌশল শাখার অদক্ষতা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে এমনটা হয়েছে।
বিমানের এমডি দাবি করেন, বিমানের প্রকৌশল শাখার বিরুদ্ধে যেসব অদক্ষতা ও অননুমোদিত কাজের অভিযোগ উঠেছে, তার সবই ঠিক নয়। বিমানকে চাপে রাখতে ওরা এত সব অভিযোগ তুলেছে। তিনি বলেন, তার পরও প্রকৌশল শাখার অদক্ষতা বা তাদের অননুমোদিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে এমনিতেই উড়োজাহাজের অভাবে বিমানের ফ্লাইটসূচি ঠিক রাখা দুরূহ হয়ে উঠেছে। ভাড়া করে একাধিক উড়োজাহাজ এনেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। জানতে চাইলে বিমানের এমডি জাকীউল ইসলামও স্বীকার করেছেন, ৩৮ দিন কর্মদিবসে যে এয়ারবাস (এডিকে) আসার কথা, সেটি তিন মাসের অধিক সময় বসে থাকায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
অবশ্য এমন পরিস্থিতি এটাই প্রথম নয়, এর আগে আরেকটি এয়ারবাস (রেজি. এস-২ এডিএফ) গত বছর ২৫ মে সিঙ্গাপুরে পাঠায় একই রকম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তাতেও একই রকম অনিয়ম পাওয়া যায়। সেটির ভালো ‘নোজ কাউল’ (যা গতি নিয়ন্ত্রণ করে, ইঞ্জিনের সামনে থাকে) খুলে খারাপ একটি লাগিয়ে পাঠানো হয়। প্রকৌশল শাখার এই চালাকির খেসারত দিতে হয় পরে বাড়তি অর্থ গুনে।
প্রকৌশলীদের একটি সূত্র জানায়, বিমানের প্রকৌশল শাখার প্রধানের ধারণা ছিল নষ্ট নোজ কাউল সিঙ্গাপুর এয়ার এমনিতে ঠিক করে দেবে। কিন্তু কার্যাদেশের বাইরে কাজ করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হয়। আবার এ রকম যন্ত্রাংশ দিয়ে যাত্রীসহ এভাবে উড়োজাহাজ পাঠানোটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি। এ কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশ বিমানের উড্ডয়ন লাইসেন্স বাতিল হওয়ার দশা হতো। এ ব্যাপারে পরিচালককে (প্রকৌশল) সতর্ক করে দেয় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। অবশ্য পরে বিমান কর্তৃপক্ষ নোজ কাউল কিনে পাঠায়। এ ছাড়া সব ‘সিট ট্র্যাক’, টয়লেটসহ অনেক জরুরি উপাদান নষ্ট ছিল। অতি সাধারণ ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হলে এসব ত্রুটি থাকার কথা নয়। পরে অনেক দর-কষাকষি শেষে বাড়তি অর্থ দিয়ে এসব ত্রুটি সারানো হয়।
ফলে ৩৮ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও ওই এয়ারবাসটি ঢাকায় ফেরত আসে ১০১ দিন পর গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর। এ জন্য বিমান বাণিজ্যিকভাবে অন্তত পৌনে ২৬ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে।
সূত্রগুলো জানায়, এই দুটি এয়ারবাসের ঘটনার প্রভাব পড়েছে বিমানের তৃতীয় এয়ারবাস রক্ষণাবেক্ষণের দরপত্রে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ দরপত্রে প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেয়নি। এর দরপত্রে অংশ নিয়ে টার্কিশ এয়ার কার্যাদেশ পায়। এখনো তৃতীয় এয়ারবাসটি পাঠানো হয়নি। এটি নিয়েও পরে একই পরিস্থিতির মুখে পড়ার আশঙ্কা আছে কি না, জানতে চাইলে বিমানের এমডি জাকীউল ইসলাম বলেন, ‘এই এয়ারবাসটি ভাড়ায় আনা। অবস্থাও আগের দুটি থেকে ভালো।’
বিমানের কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ বসিয়ে রেখে ভাড়ার উড়োজাহাজ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ‘অযোগ্য’ পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিমানকর্মীরা। সর্বস্তরের কর্মীরা মিলে ‘বিমান বাঁচাও ঐক্য পরিষদ’ গঠন করে ৮ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরিচালনা পর্ষদ শিগগিরই ভেঙে দেওয়ার জন্য তাঁরা আজ ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।
No comments