রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে...
‘সারা দিন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করি। কিন্তু আমরা জানি না দুপুরে কোথায় খাব। রাতে ঘুমানোর জায়গাটাও মাঝে মাঝে ভাগ করে নিতে হয়। নগরবাসী যখন বিনোদনে সময় কাটায়, তখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। তবু সবাই নিরাপদ থাকলেই ভালো লাগে। কারণ এটাই আমাদের কাজ।’
নগরের কাজির দেউড়ির মোড়ে দুপুরের কড়া রোদ সয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার সেখানে গেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। কেমন কাটছে দিনকাল জানতে চাইলে একরাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে কথাগুলো বললেন তিনি। আলাপের শুরুতেই বললেন, ‘সমস্যার কথা লিখবেন কিন্তু নাম প্রকাশ করবেন না।’ কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের সবাই একই রকম কষ্ট করে। আমার নাম আর আলাদা করে বলে লাভ কি?’
নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ, মিছিলে ও সংঘর্ষের ঘটনায় দিন-রাত প্রাণান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন পুলিশ সদস্যরা। কর্মরত অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিতে হয় তাঁদের। এর পরও শুনতে হয় গালমন্দ। কাজের কোনো বাধাধরা সময়ও নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের দিনে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
নিজেদের এত কষ্টের কথা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করলেও বাহিনীর শৃঙ্খলার বিষয়টি উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ পুলিশ সদস্য।
বন্দর থানার একজন উপপরিদর্শক জানান, সরকার নির্ধারিত ছুটির দিনগুলোতেও তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। কোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া হয় না।
নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট বলেন, ‘চার রাস্তার মোড়ে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা খুব কষ্টের। একদিকে জট ছাড়াতে গেলে অন্যদিকে গাড়ি নিয়ম না মেনে চলতে শুরু করে। সারা দিন এত পরিশ্রম করি তবু মানুষ আমাদের দোষারোপ করে।’
নগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার বাড়ি উত্তরবঙ্গে। গত তিন বছর ঈদে বাড়ি যাইনি। তেমনভাবে ছুটিও কাটানো হয় না। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকলে পুলিশের সব সদস্যেরই ছুটি বাতিল হয়ে যায়। সুন্দরভাবে যখন কোনো কর্মসূচি শেষ হয় অথবা যখন একজন অপরাধীকে ধরতে পারি, তখন সব কষ্টই ভুলে যাই।’
নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ, মিছিলে ও সংঘর্ষের ঘটনায় দিন-রাত প্রাণান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন পুলিশ সদস্যরা। কর্মরত অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিতে হয় তাঁদের। এর পরও শুনতে হয় গালমন্দ। কাজের কোনো বাধাধরা সময়ও নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের দিনে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
নিজেদের এত কষ্টের কথা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করলেও বাহিনীর শৃঙ্খলার বিষয়টি উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ পুলিশ সদস্য।
বন্দর থানার একজন উপপরিদর্শক জানান, সরকার নির্ধারিত ছুটির দিনগুলোতেও তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। কোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া হয় না।
নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট বলেন, ‘চার রাস্তার মোড়ে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা খুব কষ্টের। একদিকে জট ছাড়াতে গেলে অন্যদিকে গাড়ি নিয়ম না মেনে চলতে শুরু করে। সারা দিন এত পরিশ্রম করি তবু মানুষ আমাদের দোষারোপ করে।’
নগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার বাড়ি উত্তরবঙ্গে। গত তিন বছর ঈদে বাড়ি যাইনি। তেমনভাবে ছুটিও কাটানো হয় না। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকলে পুলিশের সব সদস্যেরই ছুটি বাতিল হয়ে যায়। সুন্দরভাবে যখন কোনো কর্মসূচি শেষ হয় অথবা যখন একজন অপরাধীকে ধরতে পারি, তখন সব কষ্টই ভুলে যাই।’
No comments