কেবল বিলবোর্ড নয়, ভুয়া প্রকল্পগুলোও উচ্ছেদ হোক-বিজ্ঞাপনবিলাস
রাজধানী অনেকটা দেশের প্রচ্ছদের মতো। কিন্তু মহানগর ঢাকার ওপর পড়েছে বিজ্ঞাপনবিলাসের প্রচ্ছদ। বিলবোর্ডে বিলবোর্ডে ঢেকে গেছে রাজপথের চতুষ্পার্শ্ব। বিশেষ করে, আবাসন কোম্পানির বিলবোর্ডের প্রকোপই বেশি। এই বিলবোর্ডের অনেকগুলোই মিথ্যা আকর্ষণ দিয়ে ক্রেতাদের ভোলাচ্ছে।
রাজউক একাধিকবার বিলবোর্ড উচ্ছেদ করলেও, যথারীতি সেগুলো আবার ফিরে এসেছে যথাস্থানে। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজউকের দায়িত্ব কেবল অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা নয়, অবৈধ প্রকল্পকেই বাতিল করা। নইলে বিলবোর্ড উচ্ছেদ কেবলই লোক দেখানো ব্যাপার হয়ে থাকবে।
আবাসন কোম্পানির এসব বিলবোর্ড দ্বিমুখী প্রতারণার দায়ে দায়ী। প্রথমত, অনুমোদনহীন আবাসন প্রকল্পকে অনুমোদিত বলে চালানো হচ্ছে, তাতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন ক্রেতারা। দ্বিতীয়ত, বিলবোর্ডগুলোও অনুমোদিত নয়। কেবল প্রতারণাই নয়, নগরের সৌন্দর্যহানিও ঘটাচ্ছে এসব বিলবোর্ড। বহুকাল আগে কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, ‘মুখ ঢেকেছে বিজ্ঞাপনে।’ এখন বিজ্ঞাপনবিলাস কেবল নগর ও নাগরিকের মুখই ঢাকছে না, প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে। গত মার্চ মাসে ঢাকার গুলশানে বিলবোর্ড ভেঙে পড়ায় প্রাণ গিয়েছিল এক তরুণের আর গুরুতর আহত হয়েছিলেন দুজন।
সম্প্রতি রাজউক অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান চালায়। তাতে এক হাজার ২০০টি ছোট-বড় বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, অনেক বিলবোর্ডই আবার পুনর্বহাল হয়েছে। মাঝখান থেকে উচ্ছেদ অভিযানে রাজউকের খরচ হয়ে গেছে ২৫ লাখ টাকা।
নগরের আকাশ ঢেকে দিয়ে, বাতাস বইবার জায়গা আটকে হাজার হাজার বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড বসিয়ে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। শহরাঞ্চলে ঝড়ের চাপ এ জন্যই অনেক বেশি হয়ে যায়। অনেক সময় ঝকমকে বিলবোর্ডের দৃশ্যে গাড়িচালকদের মনোযোগও নষ্ট হয়। সিটি করপোরেশন অর্থ আদায় করে খালাস—আর কী কী আদায় হয়, তা-ও অজানা নয়! অনেক সময় ভবন মালিকেরাও বাড়তি কিছু পয়সার জন্য ভবনের দেয়াল বা সামনের ‘স্পেস ভাড়া’ দেন। অথচ সরকারি নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু নীতির জায়গায় নীতি থাকে আর আকাশ আটকে যায় বিলবোর্ডে।
কেবল অবৈধ আবাসন প্রকল্পেরই নয়, সাধারণভাবে বিজ্ঞাপন-ব্যানার-বিলবোর্ড স্থাপনের ব্যবস্থাপনা সুচারু ও কঠোর হওয়া চাই। বিশ্বের অনেক দেশই বিলবোর্ড নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে। বিলবোর্ডের সংখ্যা ও আকার-আয়তন অবশ্যই কমাতে হবে। নিষিদ্ধ করতে হবে যত্রতত্র এর ব্যবহার। কারও বিজ্ঞাপনবিলাস অন্য কারও জন্য প্রাণঘাতী যাতে না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।
আবাসন কোম্পানির এসব বিলবোর্ড দ্বিমুখী প্রতারণার দায়ে দায়ী। প্রথমত, অনুমোদনহীন আবাসন প্রকল্পকে অনুমোদিত বলে চালানো হচ্ছে, তাতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন ক্রেতারা। দ্বিতীয়ত, বিলবোর্ডগুলোও অনুমোদিত নয়। কেবল প্রতারণাই নয়, নগরের সৌন্দর্যহানিও ঘটাচ্ছে এসব বিলবোর্ড। বহুকাল আগে কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, ‘মুখ ঢেকেছে বিজ্ঞাপনে।’ এখন বিজ্ঞাপনবিলাস কেবল নগর ও নাগরিকের মুখই ঢাকছে না, প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে। গত মার্চ মাসে ঢাকার গুলশানে বিলবোর্ড ভেঙে পড়ায় প্রাণ গিয়েছিল এক তরুণের আর গুরুতর আহত হয়েছিলেন দুজন।
সম্প্রতি রাজউক অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান চালায়। তাতে এক হাজার ২০০টি ছোট-বড় বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, অনেক বিলবোর্ডই আবার পুনর্বহাল হয়েছে। মাঝখান থেকে উচ্ছেদ অভিযানে রাজউকের খরচ হয়ে গেছে ২৫ লাখ টাকা।
নগরের আকাশ ঢেকে দিয়ে, বাতাস বইবার জায়গা আটকে হাজার হাজার বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড বসিয়ে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। শহরাঞ্চলে ঝড়ের চাপ এ জন্যই অনেক বেশি হয়ে যায়। অনেক সময় ঝকমকে বিলবোর্ডের দৃশ্যে গাড়িচালকদের মনোযোগও নষ্ট হয়। সিটি করপোরেশন অর্থ আদায় করে খালাস—আর কী কী আদায় হয়, তা-ও অজানা নয়! অনেক সময় ভবন মালিকেরাও বাড়তি কিছু পয়সার জন্য ভবনের দেয়াল বা সামনের ‘স্পেস ভাড়া’ দেন। অথচ সরকারি নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু নীতির জায়গায় নীতি থাকে আর আকাশ আটকে যায় বিলবোর্ডে।
কেবল অবৈধ আবাসন প্রকল্পেরই নয়, সাধারণভাবে বিজ্ঞাপন-ব্যানার-বিলবোর্ড স্থাপনের ব্যবস্থাপনা সুচারু ও কঠোর হওয়া চাই। বিশ্বের অনেক দেশই বিলবোর্ড নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে। বিলবোর্ডের সংখ্যা ও আকার-আয়তন অবশ্যই কমাতে হবে। নিষিদ্ধ করতে হবে যত্রতত্র এর ব্যবহার। কারও বিজ্ঞাপনবিলাস অন্য কারও জন্য প্রাণঘাতী যাতে না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।
No comments