আলো জ্বলুক বিদ্যুতের
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু করছে সরকার। ইতিমধ্যে দেশের পাঁচটি বিতরণকেন্দ্র ও কম্পানিতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন পড়েছে সোয়া তিন লাখেরও বেশি। সরকারের পক্ষে এত গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করা এ মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই ধাপে ধাপে এই সংযোগদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হওয়ার কারণে দেশের হাজার হাজার বাড়িঘর অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। বিশেষ করে, যারা আবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের লোকসান দিনের পর দিন শুধু বেড়েই চলেছে। এমনও দেখা গেছে, কোনো অ্যাপার্টমেন্টের হয়তো এক বছর কিংবা তারও আগেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে আছে, কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না বলে অ্যাপার্টমেন্টের ক্রেতাকে তা বুঝিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আবাসন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তাপর্যায়েও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার যেভাবে এই সংযোগ প্রদানের কাজ শুরু করেছে, তাতেও কেউ কেউ সন্তোষ প্রকাশ করতে পারছে না। কিন্তু বাস্তবতাকে না মেনেও উপায় নেই।
বিগত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, সে শূন্যতা পূরণ করতে গিয়ে বর্তমান সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশার কথা, গত আড়াই বছরে এই সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। যদি আগের সরকারগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখত, তাহলে এই উৎপাদন যোগ হওয়ার পর বিদ্যুৎ সংকটই থাকত না।
সরকার 'ভিশন টোয়েন্টি ওয়ান' নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ভিশন বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারকে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে যেতে হবে। তা না হলে বিদ্যুতের সৃষ্ট নতুন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। এখন যে সোয়া তিন লাখের বেশি আবেদন আছে সেটুকুই যদি সরবরাহ শুরু করে, তাহলে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরকারকে উৎপাদন করতে হবে। সরকার পরিকল্পিত পথে এগিয়ে যেতে পারলে আগামী বছরের আগেই বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকাংশে কেটে যাবে। এদিকে নতুন সংযোগ দেওয়ার সময় সরকার নতুন এক শর্ত যুক্ত করে দিয়েছে, অর্থাৎ দুই কিলোওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলে ওই গ্রাহককে তার চাহিদার ৩ শতাংশ পূরণ করতে হবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে। এ শর্ত পূরণ করতে হলে গ্রাহকের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে অনেকাংশে। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে প্যানেলপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, গ্রাহকরা সেই প্যানেল ক্রয় করে সবাই সংযোজন করার ক্ষমতা রাখেন কি না। যদি না রাখেন, তাহলে এর সমাধান কী হবে? সুতরাং এই শর্ত শিথিল করে নেওয়া প্রয়োজন বলে অনেকেই মনে করেন। এ ক্ষেত্রে আবাসন কম্পানিগুলোর বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। একদিকে তারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে না পারার কারণে যে লোকসান গুনে আসছে, সেই অবস্থায় যদি আবার প্যানেল বসানোর মতো বাধ্যবাধকতা জারি হয়ে যায়, তাহলে তাদের পক্ষে টিকে থাকা কষ্টকর হবে।
এ পরিস্থিতিতে দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে হলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। সোলার প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে প্যানেল উৎপাদন ও বিতরণের জন্য সহজ শর্তে উৎপাদনকারী কিংবা ভোক্তাকে সরকারের সুযোগ দিতে হবে।
বিগত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, সে শূন্যতা পূরণ করতে গিয়ে বর্তমান সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশার কথা, গত আড়াই বছরে এই সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। যদি আগের সরকারগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখত, তাহলে এই উৎপাদন যোগ হওয়ার পর বিদ্যুৎ সংকটই থাকত না।
সরকার 'ভিশন টোয়েন্টি ওয়ান' নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ভিশন বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারকে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে যেতে হবে। তা না হলে বিদ্যুতের সৃষ্ট নতুন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। এখন যে সোয়া তিন লাখের বেশি আবেদন আছে সেটুকুই যদি সরবরাহ শুরু করে, তাহলে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরকারকে উৎপাদন করতে হবে। সরকার পরিকল্পিত পথে এগিয়ে যেতে পারলে আগামী বছরের আগেই বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকাংশে কেটে যাবে। এদিকে নতুন সংযোগ দেওয়ার সময় সরকার নতুন এক শর্ত যুক্ত করে দিয়েছে, অর্থাৎ দুই কিলোওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলে ওই গ্রাহককে তার চাহিদার ৩ শতাংশ পূরণ করতে হবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে। এ শর্ত পূরণ করতে হলে গ্রাহকের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে অনেকাংশে। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে প্যানেলপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, গ্রাহকরা সেই প্যানেল ক্রয় করে সবাই সংযোজন করার ক্ষমতা রাখেন কি না। যদি না রাখেন, তাহলে এর সমাধান কী হবে? সুতরাং এই শর্ত শিথিল করে নেওয়া প্রয়োজন বলে অনেকেই মনে করেন। এ ক্ষেত্রে আবাসন কম্পানিগুলোর বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। একদিকে তারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে না পারার কারণে যে লোকসান গুনে আসছে, সেই অবস্থায় যদি আবার প্যানেল বসানোর মতো বাধ্যবাধকতা জারি হয়ে যায়, তাহলে তাদের পক্ষে টিকে থাকা কষ্টকর হবে।
এ পরিস্থিতিতে দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে হলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। সোলার প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে প্যানেল উৎপাদন ও বিতরণের জন্য সহজ শর্তে উৎপাদনকারী কিংবা ভোক্তাকে সরকারের সুযোগ দিতে হবে।
No comments