নতুন নিয়ম ভালো, আরও ভালো পূর্ণাঙ্গ সংস্কার-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট
পরীক্ষার ফল প্রকাশে নিয়মানুবর্তিতা আরোপের মাধ্যমে সেশনজট দূর করার পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে যথাসময়ে ফল প্রকাশসহ শিক্ষাবর্ষ প্রলম্বিত হবে না বলে তাদের আশা। তাদের আশাটি সফলকাম হোক, এই আশাই আমরা শুধু করতে পারি।
দৃশ্যত, যথাসময়ে পরীক্ষার খাতা না দেখা, সে কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব ঘটায় শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়তে হয়। কোনো কোনো অনুষদে, যেমন বিজ্ঞান অনুষদে এই জট প্রায় আড়াই বছরের। অর্থা ৎ শিক্ষার্থীর জীবন থেকে এখানে আড়াই বছর হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা কি মানা যায়? এসব সমস্যা দূর করার জন্য ঢাবি প্রশাসন পরীক্ষার হল থেকেই উত্তরপত্র গ্রহণ এবং তিন মাসের জায়গায় দেড় মাসের মধ্যে তা মূল্যায়ন করে ফেরত দেওয়ার বিধি জারি করেছে। নিয়ম মানার ব্যর্থতায় শিক্ষকদের বেতন থেকে জরিমানা কাটার ব্যবস্থাও হয়েছে। আশা করা যায়, এতে কিছুটা কাজ হবে। কিন্তু শিক্ষার মানের উন্নয়ন এবং শিক্ষাদানে গতিশীলতা আনতে শিক্ষা-সংস্কৃতিরই বদল দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকৃতভাবে উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত করতে হলে সার্বিক সংস্কার দরকার। রাজনীতির কুপ্রভাব, দলাদলির প্রকোপ এবং অযোগ্যদের কর্তৃত্ব থেকে উচ্চশিক্ষাকে বের করার কাজ যত দ্রুত করা যায়, ততই মঙ্গল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রধান উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলেও, শিক্ষার উচ্চমান কিংবা শিক্ষা কার্যক্রমে উচ্চ নিষ্ঠার পরিচয় প্রতিষ্ঠানটি দেখাতে পারছে কি? এর অনেক কারণ, কিন্তু ফল একটাই—দীর্ঘতম সময়ে নিম্নমানের শিক্ষা। মানের প্রশ্নে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিতর্কের খুব বেশি সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট ১০টি অনুষদের কোনোটিতেই শিক্ষা কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তৈরি করা একটি প্রতিবেদনে। কেন হচ্ছে না? হচ্ছে না শিক্ষকদের গাফিলতির জন্য। কেন গাফিলতি কমছে না? কমছে না তাঁদের অনেকের নিয়মানুবর্তিতা না থাকার জন্য। কেন এই জরুরি গুণাবলির অভাব ঘটছে? ঘটছে ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি এবং শিক্ষা কার্যক্রমবহির্ভূত ব্যস্ততার জন্য। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ঘাটতিও চোখে পড়ে। ব্যক্তির দায়িত্বশীলতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক উ ৎ কর্ষ কেবল নতুন বিধিমালা আরোপ করে সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। যোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে প্রশাসন পরিচালনা এবং ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসক—সবার জবাবদিহির মানসিকতা তৈরি হতে হবে। সেটা প্রশাসনিক ফরমানবলে পুরোটা হওয়ার নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রধান উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলেও, শিক্ষার উচ্চমান কিংবা শিক্ষা কার্যক্রমে উচ্চ নিষ্ঠার পরিচয় প্রতিষ্ঠানটি দেখাতে পারছে কি? এর অনেক কারণ, কিন্তু ফল একটাই—দীর্ঘতম সময়ে নিম্নমানের শিক্ষা। মানের প্রশ্নে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিতর্কের খুব বেশি সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট ১০টি অনুষদের কোনোটিতেই শিক্ষা কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তৈরি করা একটি প্রতিবেদনে। কেন হচ্ছে না? হচ্ছে না শিক্ষকদের গাফিলতির জন্য। কেন গাফিলতি কমছে না? কমছে না তাঁদের অনেকের নিয়মানুবর্তিতা না থাকার জন্য। কেন এই জরুরি গুণাবলির অভাব ঘটছে? ঘটছে ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি এবং শিক্ষা কার্যক্রমবহির্ভূত ব্যস্ততার জন্য। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ঘাটতিও চোখে পড়ে। ব্যক্তির দায়িত্বশীলতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক উ ৎ কর্ষ কেবল নতুন বিধিমালা আরোপ করে সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। যোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে প্রশাসন পরিচালনা এবং ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসক—সবার জবাবদিহির মানসিকতা তৈরি হতে হবে। সেটা প্রশাসনিক ফরমানবলে পুরোটা হওয়ার নয়।
No comments