সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা জরুরি-সংসদেই সমাধান খুঁজতে হবে
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী সদস্য নির্বাচনকালে কী ধরনের সরকার হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধী দলের তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এ জন্য তিন মাস অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।
তারা চাইলে সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব। আমরা তাঁর এ বক্তব্যকে স্বাগত জানাই।
এরই মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকারি ও বিরোধী দল মুখোমুখি অবস্থানে। এক পক্ষ বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না এবং নির্বাচন করতেও দেবে না। আরেক পক্ষ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিরোধী দলের প্রতি সরকারের এই আহ্বান যে লোক দেখানো নয়, কাজের মাধ্যমেই তা প্রমাণ করতে হবে। এর আগেও সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বিরোধী দলকে সংসদে এসে নির্বাচনকালে সরকারের রূপরেখা কী হবে, নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যাবে, সেসব নিয়ে আলোচনার কথা বলে আসছিলেন। আমরাও মনে করি, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আলোচনার বিকল্প হলো সংঘাত, যা দেশ ও জনগণ—কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
২৯ মার্চ হরতাল প্রত্যাহার করে সংসদে এসে বিরোধী দলকে তাদের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সরকারি দল। অন্যদিকে বিরোধী দল বলেছে, সরকারি দল জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিল আনলেই তারা সংসদে যাবে। দুই দলের এ অবস্থান সমস্যার সমাধান না করে দেশকে আরও বড় সংকটে ফেলে দেবে। জনগণের দুর্ভোগ যেমন বাড়াবে, তেমনি উন্নয়নকে করবে ব্যাহত। আমরা এ-ও মনে করি, বিরোধী দলের সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো পূর্বশর্ত থাকতে পারে না। কেননা, সরকারি ও বিরোধী দল মিলেই সংসদ। নির্বাচনের আগে দুই প্রধান দলই জাতীয় সংসদকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন তারা সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে, যা দুঃখজনক।
আমাদের বিশ্বাস, সরকারি দল যদি সত্যি সত্যি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী হয়, বিরোধী দল তাতে ইতিবাচক সাড়া দেবে। তবে সেই সরকারের ধরন কী হবে, কারা থাকবেন, নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যাবে, কীভাবে দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করা যাবে, সেসব বিষয় স্পষ্ট করতে হবে।
মনে রাখা প্রয়োজন, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আস্থার ঘাটতির কারণেই একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করতে হয়েছিল। এখন সেই আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারি দলকেই উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। আর বিরোধী দলকেও সব ক্ষেত্রে ‘মানি না, মানব না’ রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অতএব, বিরোধী দলের কর্তব্য হবে সংসদে এসে তাদের প্রস্তাব রাখা। আর সরকারি দলকেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এরই মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকারি ও বিরোধী দল মুখোমুখি অবস্থানে। এক পক্ষ বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না এবং নির্বাচন করতেও দেবে না। আরেক পক্ষ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিরোধী দলের প্রতি সরকারের এই আহ্বান যে লোক দেখানো নয়, কাজের মাধ্যমেই তা প্রমাণ করতে হবে। এর আগেও সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বিরোধী দলকে সংসদে এসে নির্বাচনকালে সরকারের রূপরেখা কী হবে, নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যাবে, সেসব নিয়ে আলোচনার কথা বলে আসছিলেন। আমরাও মনে করি, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আলোচনার বিকল্প হলো সংঘাত, যা দেশ ও জনগণ—কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
২৯ মার্চ হরতাল প্রত্যাহার করে সংসদে এসে বিরোধী দলকে তাদের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সরকারি দল। অন্যদিকে বিরোধী দল বলেছে, সরকারি দল জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিল আনলেই তারা সংসদে যাবে। দুই দলের এ অবস্থান সমস্যার সমাধান না করে দেশকে আরও বড় সংকটে ফেলে দেবে। জনগণের দুর্ভোগ যেমন বাড়াবে, তেমনি উন্নয়নকে করবে ব্যাহত। আমরা এ-ও মনে করি, বিরোধী দলের সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো পূর্বশর্ত থাকতে পারে না। কেননা, সরকারি ও বিরোধী দল মিলেই সংসদ। নির্বাচনের আগে দুই প্রধান দলই জাতীয় সংসদকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন তারা সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে, যা দুঃখজনক।
আমাদের বিশ্বাস, সরকারি দল যদি সত্যি সত্যি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী হয়, বিরোধী দল তাতে ইতিবাচক সাড়া দেবে। তবে সেই সরকারের ধরন কী হবে, কারা থাকবেন, নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যাবে, কীভাবে দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করা যাবে, সেসব বিষয় স্পষ্ট করতে হবে।
মনে রাখা প্রয়োজন, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আস্থার ঘাটতির কারণেই একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করতে হয়েছিল। এখন সেই আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারি দলকেই উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। আর বিরোধী দলকেও সব ক্ষেত্রে ‘মানি না, মানব না’ রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অতএব, বিরোধী দলের কর্তব্য হবে সংসদে এসে তাদের প্রস্তাব রাখা। আর সরকারি দলকেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার, তা নিশ্চিত করতে হবে।
No comments