তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল করতে হবে আওয়ামী লীগকেই : ফখরুল
সংসদে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান নাকচ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, 'সংসদে আমাদের আসন ৩৫টি। সরকারি দলের আসন দুই-তৃতীয়াংশ। তাই এই প্রস্তাব বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগকেই এনে তা পাস করাতে হবে। তা না হলে দেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।'
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, আবদুস সালাম, নাজিম উদ্দিন আলম, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল মেঘনায় লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় এবং ডেইলি স্টারের আলোকচিত্র সাংবাদিক শওকত জামিলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই বলে আইনমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তার জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, 'উনি (শফিক আহমেদ) যাই বলুন না কেন, আওয়ামী লীগকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সে সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে।' ফখরুল আরো বলেন, তিনি একজন আইনজ্ঞ হয়ে কিভাবে এ কথা বলেন। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে আরো দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যাবে।
সরকারের উল্টো আচরণ : ফখরুল বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে নানাভাবে বাধা দেওয়া হলেও বুধবার ঢাকায় ১৪ দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে সরকার পুরো উল্টো আচরণ করছে। ১৪ দলের মহাসমাবেশে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার লোকজনকে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যানবাহন খুলে দেওয়া হয়েছে। অনেক যানবাহন বিনা ভাড়ায় লোকজনকে নিয়ে এসেছে। এমনকি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। পুরো সচিবালয় এলাকায় মাইক লাগানো হয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের জন্য মাইক ব্যবহারে এলাকা বেঁধে দেওয়া হলেও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অনেক দূর পর্যন্ত মাইক লাগানো হয়েছে। এক দেশে দুই রকম আইন চলছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এভাবে সব দলের জন্য সমান সুযোগ অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলেই আমরা আন্দোলন করছি।'
সংসদে যাওয়ার পরিবেশ নেই : সংসদে যাওয়ার পরিবেশ নেই বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তাদের খিস্তিখেউর শুনতে যাব? সংসদে গত মঙ্গলবার বিরোধী দলের ৭৬টি মুলতবি প্রস্তাব স্পিকার বাতিল করে দিয়েছেন। এ সংসদে আমাদের তিন হাজারেরও বেশি প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। সংসদে আমাদের কোনো কথা রাখা হয় না।'
আসুক না আট দিন : খালেদা জিয়া আর আট কার্যদিবস সংসদে না গেলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হবে। বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, 'আসুক না আট দিন, তারপর দেখা যাবে কী হয়।'
১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার করব : বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, 'আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে নই। আমরা ক্ষমতায় গেলে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করব।'
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, আবদুস সালাম, নাজিম উদ্দিন আলম, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল মেঘনায় লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় এবং ডেইলি স্টারের আলোকচিত্র সাংবাদিক শওকত জামিলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই বলে আইনমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তার জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, 'উনি (শফিক আহমেদ) যাই বলুন না কেন, আওয়ামী লীগকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সে সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে।' ফখরুল আরো বলেন, তিনি একজন আইনজ্ঞ হয়ে কিভাবে এ কথা বলেন। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে আরো দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যাবে।
সরকারের উল্টো আচরণ : ফখরুল বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে নানাভাবে বাধা দেওয়া হলেও বুধবার ঢাকায় ১৪ দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে সরকার পুরো উল্টো আচরণ করছে। ১৪ দলের মহাসমাবেশে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার লোকজনকে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যানবাহন খুলে দেওয়া হয়েছে। অনেক যানবাহন বিনা ভাড়ায় লোকজনকে নিয়ে এসেছে। এমনকি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। পুরো সচিবালয় এলাকায় মাইক লাগানো হয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের জন্য মাইক ব্যবহারে এলাকা বেঁধে দেওয়া হলেও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অনেক দূর পর্যন্ত মাইক লাগানো হয়েছে। এক দেশে দুই রকম আইন চলছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এভাবে সব দলের জন্য সমান সুযোগ অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলেই আমরা আন্দোলন করছি।'
সংসদে যাওয়ার পরিবেশ নেই : সংসদে যাওয়ার পরিবেশ নেই বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তাদের খিস্তিখেউর শুনতে যাব? সংসদে গত মঙ্গলবার বিরোধী দলের ৭৬টি মুলতবি প্রস্তাব স্পিকার বাতিল করে দিয়েছেন। এ সংসদে আমাদের তিন হাজারেরও বেশি প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। সংসদে আমাদের কোনো কথা রাখা হয় না।'
আসুক না আট দিন : খালেদা জিয়া আর আট কার্যদিবস সংসদে না গেলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হবে। বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, 'আসুক না আট দিন, তারপর দেখা যাবে কী হয়।'
১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার করব : বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, 'আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে নই। আমরা ক্ষমতায় গেলে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করব।'
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
No comments