টহল দিতে হয় হেঁটে
পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় টহল দিতে হয় হেঁটে। নগরের অপরাধীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করে নানা রকম অপরাধ করে। দ্রুতই তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পায়ে হাঁটা টহল পুলিশের দল কীভাবে তাদের ধাওয়া করবে?’চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী কমিশনার (এসি) এভাবেই যানবাহনস্বল্পতার
কারণে সৃষ্ট সমস্যার বিষয়টি বর্ণনা করেন। সিএমপি সূত্র জানায়, নগরের প্রতিটি থানায় তিনটি করে পিকআপ ভ্যান থাকার কথা থাকলেও এখন আছে মাত্র একটি করে। এতে ব্যাহত হয় টহল কার্যক্রম। গাড়ির পরিবর্তে টহল দিতে হচ্ছে হেঁটে।
নগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে পুলিশের মাননির্ধারণের অন্যতম মানদণ্ড হচ্ছে কত দ্রুত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে তার ওপর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ সময় দুই থেকে তিন মিনিট। কিন্তু পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় চট্টগ্রামের পুলিশ এ মানদণ্ড অনুসরণ করতে পারছে না। জানা যায়, গাড়ি-সংকটের কারণে ভাড়া করা গাড়ি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এ জন্য চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে গাড়িভাড়া বাবদ খরচ হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছিল ২০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
সিএমপির যানবাহন বিভাগের এক সহকারী কমিশনার (এসি) নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘৩০ বছরের পুরোনো পিকআপ ভ্যান নিয়ে আমরা কাজ করছি। পুরোনো গাড়ি বলে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি ওঠে না। বহদ্দারহাট থেকে টহল শুরু করে জিইসি মোড়ে আসার আগেই রাস্তায় অবৈধ পার্কিং করা গাড়ি সরে যায়।’
সিএমপি সূত্র জানায়, বর্তমানে মহানগর পুলিশের বিভিন্ন ধরনের ২৭৮টি যানবাহন আছে। এর মধ্যে ১৭৬টি মোটরসাইকেল। চাহিদার তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যাও অপ্রতুল বলে জানান পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য একজন দায়িত্ব পালন শেষে কখন মোটরসাইকেল জমা দেবেন সেই অপেক্ষায় থাকেন পরের পালার পুলিশ সদস্য।
এ ছাড়া সিএমপির ১০ উপকমিশনার পদের বিপরীতে যানবাহন আছে চারটি। একইভাবে ১৪ জন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারের (এডিসি) বিপরীতে একটি এবং ২৩ জন সহকারী কমিশনার পদের বিপরীতে মাত্র নয়টি গাড়ি আছে।
নগরের ১২টি থানায় ১২ জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও আরও ১২ জন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আছেন। অথচ তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শকের জন্য গাড়ি নেই। টহলের জন্য প্রতি থানায় তিনটি করে পিকআপ ভ্যান থাকার কথা থাকলেও আছে একটি করে।
সিএমপির কর্মকর্তারা জানান, জনবল অনুযায়ী নগর পুলিশের আরও ১২৫টি গাড়ি ও ২২০টি মোটরসাইকেল প্রয়োজন। এ-সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র তৈরি করেছে সিএমপি। দু-এক দিনের মধ্যেই এটি ঢাকায় পাঠানো হবে।
নগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে পুলিশের মাননির্ধারণের অন্যতম মানদণ্ড হচ্ছে কত দ্রুত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে তার ওপর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ সময় দুই থেকে তিন মিনিট। কিন্তু পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় চট্টগ্রামের পুলিশ এ মানদণ্ড অনুসরণ করতে পারছে না। জানা যায়, গাড়ি-সংকটের কারণে ভাড়া করা গাড়ি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এ জন্য চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে গাড়িভাড়া বাবদ খরচ হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছিল ২০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
সিএমপির যানবাহন বিভাগের এক সহকারী কমিশনার (এসি) নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘৩০ বছরের পুরোনো পিকআপ ভ্যান নিয়ে আমরা কাজ করছি। পুরোনো গাড়ি বলে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি ওঠে না। বহদ্দারহাট থেকে টহল শুরু করে জিইসি মোড়ে আসার আগেই রাস্তায় অবৈধ পার্কিং করা গাড়ি সরে যায়।’
সিএমপি সূত্র জানায়, বর্তমানে মহানগর পুলিশের বিভিন্ন ধরনের ২৭৮টি যানবাহন আছে। এর মধ্যে ১৭৬টি মোটরসাইকেল। চাহিদার তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যাও অপ্রতুল বলে জানান পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য একজন দায়িত্ব পালন শেষে কখন মোটরসাইকেল জমা দেবেন সেই অপেক্ষায় থাকেন পরের পালার পুলিশ সদস্য।
এ ছাড়া সিএমপির ১০ উপকমিশনার পদের বিপরীতে যানবাহন আছে চারটি। একইভাবে ১৪ জন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারের (এডিসি) বিপরীতে একটি এবং ২৩ জন সহকারী কমিশনার পদের বিপরীতে মাত্র নয়টি গাড়ি আছে।
নগরের ১২টি থানায় ১২ জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও আরও ১২ জন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আছেন। অথচ তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শকের জন্য গাড়ি নেই। টহলের জন্য প্রতি থানায় তিনটি করে পিকআপ ভ্যান থাকার কথা থাকলেও আছে একটি করে।
সিএমপির কর্মকর্তারা জানান, জনবল অনুযায়ী নগর পুলিশের আরও ১২৫টি গাড়ি ও ২২০টি মোটরসাইকেল প্রয়োজন। এ-সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র তৈরি করেছে সিএমপি। দু-এক দিনের মধ্যেই এটি ঢাকায় পাঠানো হবে।
No comments