চরাচর-নেতাজি ভবন by ফখরে আলম
কলকাতার এলগিন রোডের ৩৮/২ নম্বর হলুদ রঙের তিন তলা বাড়িটি ২৩ জানুয়ারি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শত শত মানুষ ফুল হাতে নিয়ে লোহার বিরাট গেট ডিঙিয়ে এ বাড়িতে প্রবেশ করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নায়কের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফুল দিতে সরকারি দল,
বিরোধী দলের নেতারাও আসেন। তাঁরাও ভারতবর্ষের নেতাজিকে স্মরণ করেন। এলগিন রোডের এ বাড়িটি ভারতবর্ষের স্বাধীনতার চূড়ান্ত সশস্ত্র সংগ্রামের নায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর। গেটের পাশে লেখা রয়েছে নেতাজি ভবন। ১৯০৯ সালে বাবা জনাকিনাথ বোস এ বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। পশ্চিমবঙ্গের ডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজম এ বাড়িটি দেখভাল করছে। বিরাট হলুদ রঙের বাড়ি। প্রথম তলায় নেতাজির কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় নেতাজি জাদুঘর। বাড়ির সামনে নেতাজির ওয়ান্ডার বিএল ৭১৬৯ মডেলের গাড়িটিও রয়েছে। আর নেতাজির কক্ষ ও জাদুঘরে রয়েছে তাঁরই খাট, টেবিল, ঘড়ি, আলনা, ছাতা, জুতো। এ ছাড়া অসংখ্য মূল্যবান আলোকচিত্র। ওই সব আলোকচিত্রে মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে।
২৩ জানুয়ারি ১১৬তম জন্মদিনে নেতাজির বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুসহ সরকারি, বিরোধী দলের নেতারা। এ ছাড়া সাধারণ মানুষও এসে নেতাজির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু টোকিও যাওয়ার সময় তাইহোকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। দুর্ঘটনার কয়েক দিন পর ২৩ আগস্ট টোকিও রেডিও ঘোষণা করে বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নেতাজি তাইহোকুর সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের কিনারা ৬৭ বছরেও হয়নি। ভারতবাসী এখনো সেই রহস্য জানার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। জানা যায়, তাঁর এই অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনের জন্য ১৯৫৫, ১৯৭০ ও ১৯৯৯ সালে তিনটি তদন্ত কমিশন হয়েছিল। তদন্তের মূল লক্ষ্য ছিল ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজি তাইহোকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন কি না? আজাদ হিন্দ ফৌজের যে ধন-রত্ন তাঁর সঙ্গে বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা কোথায় গেল? যদি ওই দুর্ঘটনায় মারা না গিয়ে থাকেন তাহলে নেতাজি কোথায়, কিভাবে নিরুদ্দেশ হলেন এবং কোথায় আছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর আজও পরিষ্কার হয়নি। সাংবাদিক পার্থ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, 'দীর্ঘদিনেও নেতাজির অন্তর্ধানের কোনো কিনারা হয়নি। তদন্ত কমিশন যেসব রিপোর্ট দিয়েছিল তার মধ্যে অনেক গরমিল ছিল। আমরা আজও প্রকৃত রহস্য জানার জন্য অপেক্ষা করছি।' রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, 'নেতাজির অন্তর্ধান তথ্য জানার অধিকার সবার রয়েছে। অতীতে যে তিনটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল সেই তদন্তে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ১৯৫৬ সালে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারক ড. রাধা বিনোদ পাল বেসরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছিলেন, ওই দিন ১৬ আগস্ট তাইহোকুতে কোনো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। এ কারণে আমরা তাইহোকু বিমানবন্দরের বিমান দুর্ঘটনার কথা বিশ্বাস করি না।'
ফখরে আলম
২৩ জানুয়ারি ১১৬তম জন্মদিনে নেতাজির বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুসহ সরকারি, বিরোধী দলের নেতারা। এ ছাড়া সাধারণ মানুষও এসে নেতাজির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু টোকিও যাওয়ার সময় তাইহোকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। দুর্ঘটনার কয়েক দিন পর ২৩ আগস্ট টোকিও রেডিও ঘোষণা করে বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নেতাজি তাইহোকুর সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের কিনারা ৬৭ বছরেও হয়নি। ভারতবাসী এখনো সেই রহস্য জানার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। জানা যায়, তাঁর এই অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনের জন্য ১৯৫৫, ১৯৭০ ও ১৯৯৯ সালে তিনটি তদন্ত কমিশন হয়েছিল। তদন্তের মূল লক্ষ্য ছিল ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজি তাইহোকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন কি না? আজাদ হিন্দ ফৌজের যে ধন-রত্ন তাঁর সঙ্গে বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা কোথায় গেল? যদি ওই দুর্ঘটনায় মারা না গিয়ে থাকেন তাহলে নেতাজি কোথায়, কিভাবে নিরুদ্দেশ হলেন এবং কোথায় আছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর আজও পরিষ্কার হয়নি। সাংবাদিক পার্থ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, 'দীর্ঘদিনেও নেতাজির অন্তর্ধানের কোনো কিনারা হয়নি। তদন্ত কমিশন যেসব রিপোর্ট দিয়েছিল তার মধ্যে অনেক গরমিল ছিল। আমরা আজও প্রকৃত রহস্য জানার জন্য অপেক্ষা করছি।' রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, 'নেতাজির অন্তর্ধান তথ্য জানার অধিকার সবার রয়েছে। অতীতে যে তিনটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল সেই তদন্তে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ১৯৫৬ সালে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারক ড. রাধা বিনোদ পাল বেসরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছিলেন, ওই দিন ১৬ আগস্ট তাইহোকুতে কোনো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। এ কারণে আমরা তাইহোকু বিমানবন্দরের বিমান দুর্ঘটনার কথা বিশ্বাস করি না।'
ফখরে আলম
No comments