ঢাকায় মহাসমাবেশের পর উজ্জীবিত চট্টগ্রাম বিএনপি by একরামুল হক
ঢাকার মহাসমাবেশের পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনোবল আরও বেড়েছে। নানা বাধা পেরিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেন। কর্মসূচির পর ইতিমধ্যে তাঁরা চট্টগ্রামে ফিরে এসেছেন। আগামী ১২ জুনের ঢাকার মহাসমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে তাঁরা আবার গণসংযোগ ও পথসভা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সমমনা দলগুলো আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ১২ মার্চের ঢাকার কর্মসূচিতে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার ১০ মার্চ থেকে কৌশলে ঢাকাগামী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বিকল্প হিসেবে ট্রেন ও আকাশ পথে নেতা-কর্মীরা দলে দলে পল্টনের মহাসমাবেশে যোগ দেন।
নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শত বাধা অতিক্রম করে ২০ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক পল্টনের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। এতে তাঁদের ভীতি কেটে গেছে। জেল-জুলুমকে তাঁরা এখন আর ভয় পায় না। কারণ, গাড়ি চলাচল বন্ধ করে সরকার ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে মহাসমাবেশ সফল করেছেন।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘দেশে বিএনপির নেতৃত্বে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে বাধ্য করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আগামী ১২ জুন মহাসমাবেশে আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। এখন আমরা ১২ জুনের কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।’
বিএনপির নেতারা জানান, ঢাকার মহাসমাবেশ সফল হওয়ার কারণে কর্মীদের মনোবল আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। পুলিশের হয়রানি ও জেল-জুলুমের ভীতি তাঁদের কেটে গেছে। এতে বাধা যত আসবে, আন্দোলনও তত বেগবান হবে বলে একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার গণগ্রেপ্তার চালিয়েও আমাদের মহাসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং সরকারের ধরপাকড় ও বাধা সৃষ্টির কারণে কর্মীদের মনোবল বেশ চাঙা হয়েছে। ২৯ মার্চের হরতালে পিকেটিং করতে কর্মীরা সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামবে। ওই সময়ও গণগ্রেপ্তার চালাতে পারে সরকার। তবে তাতে লাভ হবে না।’
ঢাকা ফেরত বিএনপির কর্মী আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের বাধা আঁচ করতে পেরে মহাসমাবেশের তিন দিন আগে বাসে চড়ে শুক্রবার আমি ঢাকায় চলে যাই। সমাবেশের আগের রাতে বাইরে রাত কাটিয়েছি। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। কষ্ট হয়েছে অনেক। কিন্তু মহাসমাবেশে গণজোয়ার দেখে সব কষ্ট ভুলে গেছি।’
নগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ আকবর বলেন, ‘সরকারের তিন দিনের অঘোষিত হরতাল আমাদের আরও সাহস যুগিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, যেকোনো বড় ধরনের কর্মসূচি আমরা সফল করতে পারব। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিএনপি ও ছাত্রদলের রাজনীতিতে যে বিভেদ ও ভুল বোঝাবুঝি আছে, তা আপাতত আর থাকবে না। সরকারই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সহায়তা করছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সমমনা দলগুলো আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ১২ মার্চের ঢাকার কর্মসূচিতে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার ১০ মার্চ থেকে কৌশলে ঢাকাগামী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বিকল্প হিসেবে ট্রেন ও আকাশ পথে নেতা-কর্মীরা দলে দলে পল্টনের মহাসমাবেশে যোগ দেন।
নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শত বাধা অতিক্রম করে ২০ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক পল্টনের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। এতে তাঁদের ভীতি কেটে গেছে। জেল-জুলুমকে তাঁরা এখন আর ভয় পায় না। কারণ, গাড়ি চলাচল বন্ধ করে সরকার ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে মহাসমাবেশ সফল করেছেন।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘দেশে বিএনপির নেতৃত্বে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে বাধ্য করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আগামী ১২ জুন মহাসমাবেশে আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। এখন আমরা ১২ জুনের কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।’
বিএনপির নেতারা জানান, ঢাকার মহাসমাবেশ সফল হওয়ার কারণে কর্মীদের মনোবল আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। পুলিশের হয়রানি ও জেল-জুলুমের ভীতি তাঁদের কেটে গেছে। এতে বাধা যত আসবে, আন্দোলনও তত বেগবান হবে বলে একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার গণগ্রেপ্তার চালিয়েও আমাদের মহাসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং সরকারের ধরপাকড় ও বাধা সৃষ্টির কারণে কর্মীদের মনোবল বেশ চাঙা হয়েছে। ২৯ মার্চের হরতালে পিকেটিং করতে কর্মীরা সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামবে। ওই সময়ও গণগ্রেপ্তার চালাতে পারে সরকার। তবে তাতে লাভ হবে না।’
ঢাকা ফেরত বিএনপির কর্মী আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের বাধা আঁচ করতে পেরে মহাসমাবেশের তিন দিন আগে বাসে চড়ে শুক্রবার আমি ঢাকায় চলে যাই। সমাবেশের আগের রাতে বাইরে রাত কাটিয়েছি। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। কষ্ট হয়েছে অনেক। কিন্তু মহাসমাবেশে গণজোয়ার দেখে সব কষ্ট ভুলে গেছি।’
নগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ আকবর বলেন, ‘সরকারের তিন দিনের অঘোষিত হরতাল আমাদের আরও সাহস যুগিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, যেকোনো বড় ধরনের কর্মসূচি আমরা সফল করতে পারব। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিএনপি ও ছাত্রদলের রাজনীতিতে যে বিভেদ ও ভুল বোঝাবুঝি আছে, তা আপাতত আর থাকবে না। সরকারই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সহায়তা করছে।’
No comments