কালের যাত্রা by পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
রবীন্দ্রনাথের নাটক প্রযোজনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের অনেক নাট্যদল। একসঙ্গে রবিঠাকুরের এত নাটক প্রযোজনার আকাঙ্ক্ষা দেশের নাট্যদলগুলো আগে কখনো প্রকাশ করেছে বলে আমার জানা নেই। যত দল নাট্যকার রবীন্দ্রনাথকে মঞ্চায়ন করার আয়োজন করছে, তত নাটক বোধ হয় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ লেখেননি।
সে কারণে হয়তো তাঁর একই নাটক একাধিক দলের প্রযোজনা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেটা এক অর্থে ভালোই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেই যে বাংলাদেশের নাট্যদল ও নাট্যকর্মীরা এই মহাকর্মযজ্ঞে নেচে উঠেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আধুনিক বাংলা নাটকের অগ্রণী গুরুদেবকে নিয়ে বাংলাদেশে তাঁর শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাতামাতি হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। তবে এটাও সত্য, প্রায় ৪০ বছরে দেশের নব নাট্যচর্চায় যতবার তাঁর নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে, এর চেয়ে ঢের বেশি হবে এ বছর_তাঁর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী ঘিরে।
মঞ্চনাটক প্রযোজনায় সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুদান দিয়েছে। সেই অনুদান ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে কয়েকটি নাট্যদলকে। অনুদান প্রার্থনা করে আবেদন এসেছে অনেক। সবাই হয়তো এ সহযোগিতা পাবে না। তাই বলে কি আবেদনকারী দলগুলো হাত গুটিয়ে পিছিয়ে যাবে! আমার তো তা মনে হয় না। পিছিয়ে যাওয়া উচিতও হবে না। বরং সবার নাট্য প্রযোজনায় বছরজুড়ে নাট্যালয়গুলো বরীন্দ্রনাথ হয়ে উঠুক, সেটাই তো প্রত্যাশা করি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে নানা আয়োজনে উৎসব করেছে। সবই যে সুপরিকল্পিত হয়েছে, তা বলব না। প্রত্যাশার আকাশ যতটা ঘন হয়ে গর্জে ছিল, ততটা সুখদায়ী বর্ষণ হয়নি। মনীষীরা বলেছেন, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এক সুরে খুব একটা বাজে না। সে জন্য হতাশা আসে না, আমি হতাশাকে প্রশ্রয় দেব না। শুধু বলব, একটু আগেভাগে প্রস্তুতি নিলে এবং সবাইকে নিয়ে পরিকল্পনা করলে সব আয়োজনই শোভন ও সুন্দর হতে পারত। আর খরচটাও গৌরী সেনের মতো হতো না। গুণীজনের সমাবেশ যতই ঘটুক, আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম তার আপন পথেই চলে। চেনা পথ ছেড়ে কেনই বা তারা অন্য পথে চলবে! বেসরকারি গুণীজনেরা তাদের সঙ্গে কৌশলে পেরে উঠতে পারেননি হয়তো।
যা হোক, সে অন্য কথা। অন্য সময় সুযোগ এলে বলা যাবে। ফিরে আসি বরং রবীন্দ্র-নাটকে। আমি প্রথমেই স্বীকার করে নিই, ৪০ বছর ধরে দেশের নামিদামি দলগুলোর সবাই যে রবীন্দ্র-নাটক মঞ্চায়ন করেনি সেটা আমাদের দুর্বলতা। কিছুটা হলেও ব্যর্থতা বলতেও দ্বিধা নেই। তবে এবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে যেভাবে এবং যতভাবে রবীন্দ্র-নাটক নিয়ে ভাবনা-চিন্তা, প্রস্তুতি, আয়োজন চলছে তা বিগত দিনের দুর্বলতা, ব্যর্থতা কাটিয়ে দেবে। নানা দৃষ্টিভঙ্গি, নানা ব্যাখ্যা ও প্রযোজনার আঙ্গিকের বৈচিত্র্যে রবীন্দ্রনাথের নাটক বহুরূপে প্রকাশ পাবে। নতুন আর পুরনোর ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিতে ধরা দেবেন নতুন রবীন্দ্রনাথ। কারো ভালো লাগবে, কারো লাগবে না। সনাতনপন্থীরা হয়তো কথা বলবেন। বলুন। তবু একাধিক নাট্য প্রযোজনার ভেতরে নবরূপে রবীন্দ্রনাথকে তো পাওয়া হবে। একাধিক নির্মাতার প্রয়োগরীতি ও বিশ্লেষণের বৈচিত্র্যে যে রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করা যাবে, তা হবে আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশের নাট্যকর্মীদের অর্জন।
যে দলগুলো রবীন্দ্রনাথের নাটক প্রযোজনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তারা কোন কোন নাটক নিয়ে ভাবছে, তা আমার সব জানা নেই। কিছু নাটকের নাম শুনেছি পত্রিকার মাধ্যমে অথবা বন্ধুদের কাছ থেকে। সেখানে 'তপতী' কিংবা 'ফাল্গুনী' নাটকের নাম শুনেছি কি! অথবা 'শারদোৎসব' কিংবা 'প্রায়শ্চিত্ত'! মনে হয় না। 'শারদোৎসব' নাটকটির মঞ্চায়নে রবীন্দ্রনাথ পুরনো প্রথা ভেঙে নতুন মঞ্চরীতির প্রবর্তন করেছিলেন। কারণ তত দিনে তিনি গভীর বিশ্বাসে বলে ফেলেছেন, চিত্রপটের চেয়ে চিত্তপটই বেশি দরকারি। তা ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের ইউরোপপ্রীতিকে পাশ কাটিয়ে তত দিনে তিনি ভারতীয় ঐতিহ্যিক রীতিতে স্থির প্রাজ্ঞ হয়ে গেছেন।
নৃত্য-গীত-সংলাপ বাদ দিয়ে তিনি নাট্য প্রযোজনার কথা ভাবতেই পারতেন না। তিনি নিজেই এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'সংলাপ যেখানে অন্তর্লীন সুরে ভরা, তার অভিনয়ও চায় তেমনি কোনও সুর। আর, কথার সুর যেমন তাকে নিয়ে যায় গানে, শরীরের সুর তেমনি তাকে ভরে তোলে নাচে।' এ বিষয়টি বাংলা নাটকের প্রাচীন রীতি ও আঙ্গিকের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলে যায়। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে প্রয়াত নাট্যকার সেলিম আল দীন এ সত্যকে নব-আবিষ্কার এবং নিয়ত চর্চার মাধ্যমে নবরূপে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঔপনিবেশিক প্রচলিত বাঁধন থেকে মুক্ত করে বাংলা নাটকে ঢেলেছেন নব জলধারা এবং তা আজ স্রোতস্বিনী।
রবীন্দ্র-নাটক প্রযোজনায় আগ্রহী দলগুলো কি তাঁর 'বাল্মীকি প্রতিভা', 'শ্যামা', 'চিত্রাঙ্গদা', 'শাপমোচন' কিংবা 'মায়ার খেলা' মঞ্চায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে! নাকি এগুলোকে নৃত্যনাট্য বলে দূরে রেখেছেন নাট্যকর্মী বন্ধুরা! তা-ই যদি হয়, তাহলে তো বিশাল ভুল হবে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নিজ বিবেচনায় এগুলোকে তো নাটকই ভেবেছেন। সেলিম আল দীন তাঁর বিশ্লেষণে তা প্রতিষ্ঠাও করে গেছেন। সুলিখিত নাটকগুলো ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের যেকোনো লেখা অথবা তার অংশবিশেষ উপজীব্য করেও মঞ্চনাটক হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। তাঁর উপন্যাস, গল্প-কবিতা, গান, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, জীবনস্মৃতি নিয়েও মঞ্চ পরিভ্রমণ কঠিন হবে না এবং তাতে দর্শক মনোরঞ্জনও হবে। রবীন্দ্রনাথের যেকোনা লেখার সামান্য অংশও দর্শককে মজিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে আমার বিশ্বাস। শেষে বলি, নাগরিক নাট্যমঞ্চে রবীন্দ্র প্রযোজনা করে মধ্যবিত্তের মন ভরানোর পাশাপাশি যারা আছে 'মাটির কাছাকাছি' অর্থাৎ দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছেও রবীন্দ্র-নাটককে নিয়ে যেতে হবে। দেশের বেশির ভাগ মানুষকে পেছনে ফেলে রেখে সমাজ ও সভ্যতা এগিয়ে যেতে পারবে না। গ্রামে গ্রামে, খোলা আকাশের নিচেও রবীন্দ্র-নাটক মঞ্চায়ন করতে হবে। নইলে 'যারে তুমি নীচে ফেলো সে তোমারে টানিবে যে নীচে'। জয় বাংলা!
লেখক : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
মঞ্চনাটক প্রযোজনায় সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুদান দিয়েছে। সেই অনুদান ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে কয়েকটি নাট্যদলকে। অনুদান প্রার্থনা করে আবেদন এসেছে অনেক। সবাই হয়তো এ সহযোগিতা পাবে না। তাই বলে কি আবেদনকারী দলগুলো হাত গুটিয়ে পিছিয়ে যাবে! আমার তো তা মনে হয় না। পিছিয়ে যাওয়া উচিতও হবে না। বরং সবার নাট্য প্রযোজনায় বছরজুড়ে নাট্যালয়গুলো বরীন্দ্রনাথ হয়ে উঠুক, সেটাই তো প্রত্যাশা করি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে নানা আয়োজনে উৎসব করেছে। সবই যে সুপরিকল্পিত হয়েছে, তা বলব না। প্রত্যাশার আকাশ যতটা ঘন হয়ে গর্জে ছিল, ততটা সুখদায়ী বর্ষণ হয়নি। মনীষীরা বলেছেন, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এক সুরে খুব একটা বাজে না। সে জন্য হতাশা আসে না, আমি হতাশাকে প্রশ্রয় দেব না। শুধু বলব, একটু আগেভাগে প্রস্তুতি নিলে এবং সবাইকে নিয়ে পরিকল্পনা করলে সব আয়োজনই শোভন ও সুন্দর হতে পারত। আর খরচটাও গৌরী সেনের মতো হতো না। গুণীজনের সমাবেশ যতই ঘটুক, আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম তার আপন পথেই চলে। চেনা পথ ছেড়ে কেনই বা তারা অন্য পথে চলবে! বেসরকারি গুণীজনেরা তাদের সঙ্গে কৌশলে পেরে উঠতে পারেননি হয়তো।
যা হোক, সে অন্য কথা। অন্য সময় সুযোগ এলে বলা যাবে। ফিরে আসি বরং রবীন্দ্র-নাটকে। আমি প্রথমেই স্বীকার করে নিই, ৪০ বছর ধরে দেশের নামিদামি দলগুলোর সবাই যে রবীন্দ্র-নাটক মঞ্চায়ন করেনি সেটা আমাদের দুর্বলতা। কিছুটা হলেও ব্যর্থতা বলতেও দ্বিধা নেই। তবে এবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে যেভাবে এবং যতভাবে রবীন্দ্র-নাটক নিয়ে ভাবনা-চিন্তা, প্রস্তুতি, আয়োজন চলছে তা বিগত দিনের দুর্বলতা, ব্যর্থতা কাটিয়ে দেবে। নানা দৃষ্টিভঙ্গি, নানা ব্যাখ্যা ও প্রযোজনার আঙ্গিকের বৈচিত্র্যে রবীন্দ্রনাথের নাটক বহুরূপে প্রকাশ পাবে। নতুন আর পুরনোর ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিতে ধরা দেবেন নতুন রবীন্দ্রনাথ। কারো ভালো লাগবে, কারো লাগবে না। সনাতনপন্থীরা হয়তো কথা বলবেন। বলুন। তবু একাধিক নাট্য প্রযোজনার ভেতরে নবরূপে রবীন্দ্রনাথকে তো পাওয়া হবে। একাধিক নির্মাতার প্রয়োগরীতি ও বিশ্লেষণের বৈচিত্র্যে যে রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করা যাবে, তা হবে আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশের নাট্যকর্মীদের অর্জন।
যে দলগুলো রবীন্দ্রনাথের নাটক প্রযোজনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তারা কোন কোন নাটক নিয়ে ভাবছে, তা আমার সব জানা নেই। কিছু নাটকের নাম শুনেছি পত্রিকার মাধ্যমে অথবা বন্ধুদের কাছ থেকে। সেখানে 'তপতী' কিংবা 'ফাল্গুনী' নাটকের নাম শুনেছি কি! অথবা 'শারদোৎসব' কিংবা 'প্রায়শ্চিত্ত'! মনে হয় না। 'শারদোৎসব' নাটকটির মঞ্চায়নে রবীন্দ্রনাথ পুরনো প্রথা ভেঙে নতুন মঞ্চরীতির প্রবর্তন করেছিলেন। কারণ তত দিনে তিনি গভীর বিশ্বাসে বলে ফেলেছেন, চিত্রপটের চেয়ে চিত্তপটই বেশি দরকারি। তা ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের ইউরোপপ্রীতিকে পাশ কাটিয়ে তত দিনে তিনি ভারতীয় ঐতিহ্যিক রীতিতে স্থির প্রাজ্ঞ হয়ে গেছেন।
নৃত্য-গীত-সংলাপ বাদ দিয়ে তিনি নাট্য প্রযোজনার কথা ভাবতেই পারতেন না। তিনি নিজেই এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'সংলাপ যেখানে অন্তর্লীন সুরে ভরা, তার অভিনয়ও চায় তেমনি কোনও সুর। আর, কথার সুর যেমন তাকে নিয়ে যায় গানে, শরীরের সুর তেমনি তাকে ভরে তোলে নাচে।' এ বিষয়টি বাংলা নাটকের প্রাচীন রীতি ও আঙ্গিকের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলে যায়। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে প্রয়াত নাট্যকার সেলিম আল দীন এ সত্যকে নব-আবিষ্কার এবং নিয়ত চর্চার মাধ্যমে নবরূপে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঔপনিবেশিক প্রচলিত বাঁধন থেকে মুক্ত করে বাংলা নাটকে ঢেলেছেন নব জলধারা এবং তা আজ স্রোতস্বিনী।
রবীন্দ্র-নাটক প্রযোজনায় আগ্রহী দলগুলো কি তাঁর 'বাল্মীকি প্রতিভা', 'শ্যামা', 'চিত্রাঙ্গদা', 'শাপমোচন' কিংবা 'মায়ার খেলা' মঞ্চায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে! নাকি এগুলোকে নৃত্যনাট্য বলে দূরে রেখেছেন নাট্যকর্মী বন্ধুরা! তা-ই যদি হয়, তাহলে তো বিশাল ভুল হবে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নিজ বিবেচনায় এগুলোকে তো নাটকই ভেবেছেন। সেলিম আল দীন তাঁর বিশ্লেষণে তা প্রতিষ্ঠাও করে গেছেন। সুলিখিত নাটকগুলো ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের যেকোনো লেখা অথবা তার অংশবিশেষ উপজীব্য করেও মঞ্চনাটক হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। তাঁর উপন্যাস, গল্প-কবিতা, গান, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, জীবনস্মৃতি নিয়েও মঞ্চ পরিভ্রমণ কঠিন হবে না এবং তাতে দর্শক মনোরঞ্জনও হবে। রবীন্দ্রনাথের যেকোনা লেখার সামান্য অংশও দর্শককে মজিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে আমার বিশ্বাস। শেষে বলি, নাগরিক নাট্যমঞ্চে রবীন্দ্র প্রযোজনা করে মধ্যবিত্তের মন ভরানোর পাশাপাশি যারা আছে 'মাটির কাছাকাছি' অর্থাৎ দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছেও রবীন্দ্র-নাটককে নিয়ে যেতে হবে। দেশের বেশির ভাগ মানুষকে পেছনে ফেলে রেখে সমাজ ও সভ্যতা এগিয়ে যেতে পারবে না। গ্রামে গ্রামে, খোলা আকাশের নিচেও রবীন্দ্র-নাটক মঞ্চায়ন করতে হবে। নইলে 'যারে তুমি নীচে ফেলো সে তোমারে টানিবে যে নীচে'। জয় বাংলা!
লেখক : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
No comments