সেই শ্রীলঙ্কারই বাঁচা-মরার ম্যাচ by আরিফুল ইসলাম
মাহেলা জয়াবর্ধনে হাসলেন। ওই হাসিতে লুকিয়ে যেন সাহস আর নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা। যেন বোঝাতে চাইলেন, কত দুর্গম গিরি কান্তার মরু পেরিয়ে এলাম, এই পথ আর এমন কী দুর্গম! অ্যাডিলেড থেকে শ্রীলঙ্কা ঢাকায় এসেছে ৯ মার্চ। একটি ম্যাচও খেলে ফেলেছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কালই ছিল শ্রীলঙ্কার প্রথম অনুশীলন সেশন।
পরদিনই অর্থাৎ আজ আবার নামতে হচ্ছে মাঠে, একরকম বাঁচা-মরার ম্যাচে! পরশু ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু, আজও হারলে কার্যত টুর্নামেন্টই শেষ। এমন এক ম্যাচে প্রতিপক্ষ আবার পাকিস্তান, বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের মুখ থেকে যারা ছিনিয়ে এনেছে দারুণ এক জয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যাদের রেকর্ডও খুব উজ্জ্বল।
তার পরও জয়াবর্ধনের মুখে হাসি থাকে কীভাবে? কারণটা অনুমেয়। এই দিন দশেক আগেই যে এমন কঠিন পরিস্থিতি জয় করে এসেছেন! সিবি সিরিজের ফাইনাল খেলতে হলে শেষ গ্রুপ ম্যাচে হারাতেই হতো স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে। ২৩৯ রান করেও দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ঠিকই জয় ছিনিয়ে এনেছিল শ্রীলঙ্কা।
জয়াবর্ধনের নেতৃত্বের দর্শন বরাবরই ইতিবাচক। নিজেদের ভাগ্য নিজেরা গড়ায় বিশ্বাসী। সিবি সিরিজের সেই ম্যাচের আগে যেমন বলেছিলেন, কালও ঠিক একই কথা বললেন আত্মবিশ্বাসী হাসি ছড়িয়ে, ‘এসবে আমরা অনেকটাই অভ্যস্ত। অস্ট্রেলিয়াতেও আমাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল, উতরে গেছি ভালোভাবেই। এটা একদিক থেকে ভালো যে আমাদের ভাগ্য আমাদের হাতেই। ফাইনাল খেলতে হলে আমাদেরই পারফর্ম করতে হবে, অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। এ ধরনের পরিস্থিতি আমার ভালোই লাগে!’
চাপটাকে উপভোগ করতে পারলে এর চেয়ে ভালো কিছু তো আর হয় না। তবে সমস্যা হলো, পাকিস্তানের জন্যও একটা সমীকরণ আছে। আজ জিতলেই ফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলবে মিসবাহ-উল-হকের দল। শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, ফাইনাল-ভাগ্যটা স্নায়ুচাপের ওই ম্যাচের ওপর নিশ্চয়ই ঝুলিয়ে রাখতে চাইবে না তারা।
প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটি পরস্পরের খুব চেনা। ওয়ানডেতে ক্রিকেটের সবচেয়ে নিয়মিত দৃশ্য ভারত-শ্রীলঙ্কা লড়াই (১৩৪), কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে নেই পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাও। এশিয়া কাপ ইতিহাসের প্রথম দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ খেলেছে ১২৬ ম্যাচ! জয়-পরাজয়ের হিসাবে অনেকটাই এগিয়ে পাকিস্তান (৭৫-৪৭)। গত নভেম্বরে আমিরাতে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজটাও ছিল এরকমই একতরফা (৪-১)। তবে এশিয়া কাপের ইতিহাস আবার উল্টো। এখানে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে, ১১ ম্যাচের ৮টিতেই জয়।
এবারও প্রাক্-টুর্নামেন্ট ফেবারিট ছিল শ্রীলঙ্কাই। কিন্তু হঠাৎই পাল্টে গেছে পরিস্থিতি, একটা পরাজয়েই এখন তারা খাদের কিনারায়! এই টুর্নামেন্টের ধরনটাই আসলে এমন। সিবি সিরিজের কথাই ধরুন, গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল খেলেছে আটটি করে ম্যাচ। আর এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে ম্যাচ মাত্র তিনটি। পা হড়কালেই বিপদ!
দীর্ঘ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় সিবি সিরিজে নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দেওয়ার পর শারীরিক ও মানসিকভাবেও এই টুর্নামেন্টটা শ্রীলঙ্কার জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। জয়াবর্ধনের কণ্ঠে অবশ্য পেশাদারি কথাই, ‘ইদানীং এত খেলা হয়, এক টুর্নামেন্ট থেকে আরেক টুর্নামেন্টে দ্রুত মানিয়ে নিতেই হয়। আমরা জানি, এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কাল (পরশু) আমরা কিছু ভুল করেছি, সেসবের খেসারত দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে। আশা করছি, ওই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি আর হবে না।’
মিসবাহ-উল-হক কী ভাবছেন, জানার উপায় নেই। কালও পাকিস্তানের কেউ সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। কোচ ডেভ হোয়াটমোর পাকিস্তানি টিভিতে তিন প্রশ্নের ছোট্ট একটা সাক্ষাৎকার দিয়েই চলে গেলেন। তাতেও ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি কথা নেই।
তার পরও জয়াবর্ধনের মুখে হাসি থাকে কীভাবে? কারণটা অনুমেয়। এই দিন দশেক আগেই যে এমন কঠিন পরিস্থিতি জয় করে এসেছেন! সিবি সিরিজের ফাইনাল খেলতে হলে শেষ গ্রুপ ম্যাচে হারাতেই হতো স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে। ২৩৯ রান করেও দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ঠিকই জয় ছিনিয়ে এনেছিল শ্রীলঙ্কা।
জয়াবর্ধনের নেতৃত্বের দর্শন বরাবরই ইতিবাচক। নিজেদের ভাগ্য নিজেরা গড়ায় বিশ্বাসী। সিবি সিরিজের সেই ম্যাচের আগে যেমন বলেছিলেন, কালও ঠিক একই কথা বললেন আত্মবিশ্বাসী হাসি ছড়িয়ে, ‘এসবে আমরা অনেকটাই অভ্যস্ত। অস্ট্রেলিয়াতেও আমাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল, উতরে গেছি ভালোভাবেই। এটা একদিক থেকে ভালো যে আমাদের ভাগ্য আমাদের হাতেই। ফাইনাল খেলতে হলে আমাদেরই পারফর্ম করতে হবে, অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। এ ধরনের পরিস্থিতি আমার ভালোই লাগে!’
চাপটাকে উপভোগ করতে পারলে এর চেয়ে ভালো কিছু তো আর হয় না। তবে সমস্যা হলো, পাকিস্তানের জন্যও একটা সমীকরণ আছে। আজ জিতলেই ফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলবে মিসবাহ-উল-হকের দল। শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, ফাইনাল-ভাগ্যটা স্নায়ুচাপের ওই ম্যাচের ওপর নিশ্চয়ই ঝুলিয়ে রাখতে চাইবে না তারা।
প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটি পরস্পরের খুব চেনা। ওয়ানডেতে ক্রিকেটের সবচেয়ে নিয়মিত দৃশ্য ভারত-শ্রীলঙ্কা লড়াই (১৩৪), কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে নেই পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাও। এশিয়া কাপ ইতিহাসের প্রথম দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ খেলেছে ১২৬ ম্যাচ! জয়-পরাজয়ের হিসাবে অনেকটাই এগিয়ে পাকিস্তান (৭৫-৪৭)। গত নভেম্বরে আমিরাতে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজটাও ছিল এরকমই একতরফা (৪-১)। তবে এশিয়া কাপের ইতিহাস আবার উল্টো। এখানে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে, ১১ ম্যাচের ৮টিতেই জয়।
এবারও প্রাক্-টুর্নামেন্ট ফেবারিট ছিল শ্রীলঙ্কাই। কিন্তু হঠাৎই পাল্টে গেছে পরিস্থিতি, একটা পরাজয়েই এখন তারা খাদের কিনারায়! এই টুর্নামেন্টের ধরনটাই আসলে এমন। সিবি সিরিজের কথাই ধরুন, গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল খেলেছে আটটি করে ম্যাচ। আর এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে ম্যাচ মাত্র তিনটি। পা হড়কালেই বিপদ!
দীর্ঘ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় সিবি সিরিজে নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দেওয়ার পর শারীরিক ও মানসিকভাবেও এই টুর্নামেন্টটা শ্রীলঙ্কার জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। জয়াবর্ধনের কণ্ঠে অবশ্য পেশাদারি কথাই, ‘ইদানীং এত খেলা হয়, এক টুর্নামেন্ট থেকে আরেক টুর্নামেন্টে দ্রুত মানিয়ে নিতেই হয়। আমরা জানি, এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কাল (পরশু) আমরা কিছু ভুল করেছি, সেসবের খেসারত দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে। আশা করছি, ওই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি আর হবে না।’
মিসবাহ-উল-হক কী ভাবছেন, জানার উপায় নেই। কালও পাকিস্তানের কেউ সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। কোচ ডেভ হোয়াটমোর পাকিস্তানি টিভিতে তিন প্রশ্নের ছোট্ট একটা সাক্ষাৎকার দিয়েই চলে গেলেন। তাতেও ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি কথা নেই।
No comments