শুধু বাণিজ্য নয়, হোক বন্ধুত্বেরও প্রতীক-সীমান্ত হাটের শুভযাত্রা
এটি একটি সুসংবাদ: বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সীমান্ত হাটের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। এই দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগকে বিপুল করতালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে দুই দেশের মানুষ।
কারণ তারা এটিকে বিবেচনা করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার সার্বিক সুসম্পর্কের একটি প্রতীক হিসেবে। আমরাও মনে করি, সীমান্ত হাটের বাস্তবতা যতটা ব্যবহারিক, তার চেয়ে বেশি প্রতীকী।
আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন যাত্রা শুরু হলো। এই সীমান্ত হাটের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী এই সীমান্ত হাটকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, এতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নানা পথই খোলা আছে; কিন্তু সীমান্ত হাটকে এ ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করার তা ৎ পর্যটা নিশ্চয়ই প্রতীকী। এই প্রতীকের অর্থ, দুই দেশের সম্পর্কের সব ক্ষেত্র পরিব্যাপ্ত হলেই যথার্থভাবে উপকৃত হতে পারে উভয় দেশের মানুষ। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অনিষ্পন্ন সমস্যাগুলোর ন্যায্যতাভিত্তিক সমাধান প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। সমাধানগুলো যেন উভয় দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে সন্তোষজনক হয়, যেন কোনো পক্ষের মানুষেরই মনে না হয় যে তারা দিচ্ছে বেশি কিন্তু পাচ্ছে কম—সেটাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখা উচিত। বাংলাদেশে এমন একটি ধারণা বেশ জোরালো যে, বৃহ ৎ ও শক্তিমান প্রতিবেশী হিসেবে ভারত অভিন্ন নদীর পানি, সমুদ্রসীমা, ছিটমহল ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল নয়; সে নিজের অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলোরই সুরাহা করে নিতে চায় আগে। এই ধারণা দূর করতে হলে ভারতকে এসব ক্ষেত্রে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে ত ৎ পর হতে হবে। বিশেষ করে, তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টনের উদ্যোগ নিতে আর কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত একটি স্পর্শকাতর রেখা। এই বিভাজনরেখার এপারে-ওপারে প্রায়ই উত্তেজনা দেখা দেয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় এপারে তীব্র প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। ওপারে কখনো দুঃখ প্রকাশ, কখনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের প্রতিশ্রুতি। কখনো দুই পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক। কিন্তু এসব ঘটনা সীমান্তবর্তী সাধারণ নাগরিকদের বিরূপ মানসিকতার অবসান ঘটাতে পারে না। তাই দুই দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সীমান্তবর্তী কোনো স্থানে যখন হাটের উদ্যোগ চালু হলো, তখন এমন আশাবাদই বড় হয়ে উঠল যে, এখানে দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে দেওয়া ও নেওয়ার, মেলানোর ও মিলবার যে সুযোগ সৃষ্টি হলো, তাতে বিরূপ মানসিকতা লাঘব হবে; প্রীতি ও বন্ধুত্বের অনুভূতি স্থায়ী হবে। সীমান্ত হাট এই নিশ্চয়তাও সৃষ্টি করুক যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে আর প্রাণ হারাতে হবে না।
আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন যাত্রা শুরু হলো। এই সীমান্ত হাটের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী এই সীমান্ত হাটকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, এতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নানা পথই খোলা আছে; কিন্তু সীমান্ত হাটকে এ ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করার তা ৎ পর্যটা নিশ্চয়ই প্রতীকী। এই প্রতীকের অর্থ, দুই দেশের সম্পর্কের সব ক্ষেত্র পরিব্যাপ্ত হলেই যথার্থভাবে উপকৃত হতে পারে উভয় দেশের মানুষ। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অনিষ্পন্ন সমস্যাগুলোর ন্যায্যতাভিত্তিক সমাধান প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। সমাধানগুলো যেন উভয় দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে সন্তোষজনক হয়, যেন কোনো পক্ষের মানুষেরই মনে না হয় যে তারা দিচ্ছে বেশি কিন্তু পাচ্ছে কম—সেটাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখা উচিত। বাংলাদেশে এমন একটি ধারণা বেশ জোরালো যে, বৃহ ৎ ও শক্তিমান প্রতিবেশী হিসেবে ভারত অভিন্ন নদীর পানি, সমুদ্রসীমা, ছিটমহল ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল নয়; সে নিজের অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলোরই সুরাহা করে নিতে চায় আগে। এই ধারণা দূর করতে হলে ভারতকে এসব ক্ষেত্রে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে ত ৎ পর হতে হবে। বিশেষ করে, তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টনের উদ্যোগ নিতে আর কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত একটি স্পর্শকাতর রেখা। এই বিভাজনরেখার এপারে-ওপারে প্রায়ই উত্তেজনা দেখা দেয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় এপারে তীব্র প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। ওপারে কখনো দুঃখ প্রকাশ, কখনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের প্রতিশ্রুতি। কখনো দুই পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক। কিন্তু এসব ঘটনা সীমান্তবর্তী সাধারণ নাগরিকদের বিরূপ মানসিকতার অবসান ঘটাতে পারে না। তাই দুই দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সীমান্তবর্তী কোনো স্থানে যখন হাটের উদ্যোগ চালু হলো, তখন এমন আশাবাদই বড় হয়ে উঠল যে, এখানে দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে দেওয়া ও নেওয়ার, মেলানোর ও মিলবার যে সুযোগ সৃষ্টি হলো, তাতে বিরূপ মানসিকতা লাঘব হবে; প্রীতি ও বন্ধুত্বের অনুভূতি স্থায়ী হবে। সীমান্ত হাট এই নিশ্চয়তাও সৃষ্টি করুক যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে আর প্রাণ হারাতে হবে না।
No comments