নদীগর্ভ থেকে তীরে আনা হলো লঞ্চটি-১১২ লাশ উদ্ধার
মেঘনাতীরের বাতাসে কেবলই লাশের গন্ধ। থামছে না কান্না, বুকফাটা আহাজারি। লাশের পর লাশ পাওয়া গেছে গতকাল দিনভর। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লাশের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১২। তবু মেঘনাতীরে ভিড় কমছে না স্বজনহারা মানুষের। এখনো নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা খুঁজে ফিরছে প্রিয়জনের লাশ। নদীতীরে, নদীবক্ষে- সর্বত্রই মানুষের ভিড়।
স্থানীয় বাসিন্দারাও নৌকা-ট্রলার নিয়ে নদীর এখানে-সেখানে লাশের খোঁজে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তারা বিপর্যস্ত ও অনাহারী স্বজনহারাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে স্বপ্রণোদিত হয়েই। স্থানীয় প্রশাসন কেবল লাশ গুনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেই ব্যস্ত- এ অভিযোগ তুলে স্বজনহারারা গতকাল একপর্যায়ে প্রশাসনের লোকজনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
সোমবার মধ্যরাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবির পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৩৬ জনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল। এর পর থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায় আরো ৭৬ জনের লাশ। সব মিলিয়ে ১২ শিশু, ৩২ জন নারী ও ৬৮ জন পুরুষ। এদের মধ্যে কেবল একজন বাদে বাকি সবার পরিচয় পাওয়া সাপেক্ষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ শেষ হয় ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি শরীয়তপুর-১-এর উদ্ধারকাজ। এর আগে প্রায় ৩২ ঘণ্টা চেষ্টার পর লঞ্চটি উদ্ধার করে নদীর গভীর থেকে তীরে টেনে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকারি দুই উদ্ধারকারী নৌযান হামজা ও রুস্তম।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম কালের কণ্ঠকে জানান, লঞ্চটি তীরে আনার পর ভেতরেও কিছু লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২।
এমভি শরীয়তপুর-১ নামের দ্বিতল লঞ্চটি আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উদ্ধার পাওয়া যাত্রীরা বলেছে, অন্য একটি নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে লঞ্চটি ডুবে যায়। রাতেই আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করা হলেও অন্য যাত্রীরা উঠতে পারেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের মূল উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। লঞ্চ উদ্ধার হয়েছে, লঞ্চের ভেতরে এখন আর লাশ নেই। এ পর্যন্ত ১১২ জনের লাশ পাওয়া গেছে। তবে আমাদের উদ্ধার টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করে নদীতে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। যদি আর কোনো লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায় তবে দ্রুত তা উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'
শামসুদ্দোহা খন্দকার আরো বলেন, এ ধরনের বড় কোনো দুর্ঘটনায় এবারই প্রথম অতিদ্রুত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলো। উদ্ধারযান হামজা ও রুস্তমের সঙ্গে বিআইডাব্লিউটিএর আরো পাঁচটি, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর একটি করে বোট এবং উদ্ধারকারী জনবল একযোগে কাজ করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনও উদ্ধারকাজে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
তদন্তকাজ সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, মঙ্গলবার উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম নারায়ণগঞ্জ থেকে দ্রুত উদ্ধারকাজে লেগে গেলেও দূরত্বের কারণে অপর জাহাজ হামজা বরিশাল থেকে ঘটনাস্থলে এসে পেঁৗছায় মঙ্গলবার গভীর রাতে। পরে বুধবার ভোর থেকেই লঞ্চটি পানির ৭০ ফুট গভীর থেকে পুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে তীরে আনার কাজ শুরু করে। এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে গঠিত তিনটি তদন্ত টিমই মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছে বলে জানান শামসুদ্দোহা খন্দকার। তিনি বলেন, 'আশা করি, তদন্ত টিম সময়মতোই প্রতিবেদন দেবে। তবে এখন পর্যন্ত ধাক্কা দেওয়া নৌযানটি শনাক্ত বা আটক করা যায়নি।'
এদিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চের ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠা প্রসঙ্গে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার ফকরুল আবেদীন কালের কণ্ঠকে বলেন, এমভি শরীয়তপুর-১ লঞ্চটির প্রয়োজনীয় সব সার্ভে ফিটনেট রয়েছে। এমনকি লঞ্চটির বয়সও মাত্র ২১ বছর, মেয়াদোত্তীর্ণ হয় ৩০ বছর পরে।
ফখরুল আবেদীন বলেন, লঞ্চটি তীরে ওঠানোর পর দেখা গেছে, পানির লেবেল বরাবর একটি স্থানে দেড় মিটার বাই এক মিটার মাপের একটি বড় গর্ত হয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বালু উত্তোলনকারী নৌযানের মাথা লঞ্চটির নিচের অংশে প্রচণ্ড আঘাত করায় ওই গর্ত হয়ে সেখান দিয়ে পানি ঢুকে লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দেয়। তবে পুরো বিষয়টি বেরিয়ে আসবে তদন্তে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, 'লঞ্চের ভেতরে যেসব লাশ ছিল, তা বের করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এ ছাড়া যদি কোনো লাশ ভেসে যায়, তা উদ্ধারের জন্য পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত থাকবে।'
মৃতদের যাদের পরিচয় মিলেছে : আলেয়া বেগম (৪০), স্বামী সাদেক (৪৫), সানজিদা বেগম (১৭), রহিম (২৫), পলি (২৫), মাসুক চৌধুরী (৩৩), পান্না চৌধুরী (২৮), নাহিদ চৌধুরী (৩), আমেনা বেগম (৩০), তোফাজ্জল (৩২), সাব্বির হোসেন (১২), আলী আকবর (৪৫), দীপা (৬), মজিবুর রহমান (৪৮), লিজা চৌধুরী (৩২), মেসবাহ উদ্দিন মোড়ল (৫৫), নিয়াজ (৭), সাথী (৩০), লিটন (৩০), রুবিনা (১১), সোনিয়া (১৮), শামীম (৪০), সৈয়দ মাজহারুল হক সোহেল (৩২), শহর বানু (৫০), সৈকত (২২), তামিম (২৫), বাবা কাশেম (৫০), আছিয়া (৪৫), আমিন (৪০), আক্কাস (৪৫) গাজীপুর, আবুল কাশেম (২৭), আশরাফ মোল্লা (৩০) সখীপুর, খোদেজা বেগম (৪৫), রিনা আক্তার (২৫), হেনা (৩০), মাসুম (৩২), রাতুল (৩), রায়হান (১৭), ফাহিমা (৩৫), চান মিয়া (৩৫), রাবিয়া (৫০), তুষার (৩০), তারিকুল ইসলাম (২৪), মিনহাজুল (২৪), বাপ্পি (২৩), শাহরিয়ার সরদার (৩৫), রাশিদা (১৬), রিপন (৩৫), শাহজালাল (২৪), রেজা ফারুক (৩৬), ফাহিমা আক্তার (২২), হোসনে আরা বেগম (৬০), কুলসুম (৩২), আবুল কাশেম (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), এছাক গাজী (৬৫), আমজাদ হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৫), আকরাম হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান (৩০), আলাউদ্দিন (৪০), হাবু বেপারি (৪০), শিনু বেগম (৫৫), মাসুদা বেগম (৪৫), হাবিব (৫০), কাদির কবিরাজ (৩৬), সেলিম (৩৮), সেলিম (২০), হাবিবুর রহমান হালদার (৩৫), জাহাঙ্গীর ঢালী (২৫), মিনারা বেগম (৩৪), দিদার সরদার (৩৬), শান্তা আক্তার (১৮), সুমন (২৫), শিমুল (২২), আবু বকর (২৮), সাথী বেগম (১৮), পারভীন (২৬), রায়হান (৮), জাকির হোসেন (২৮), ইলিয়াস (৩৫), দুলাল (৪৫), মনির (৩২), মজিবুর (৪৮), আইয়ুব আলী (২৮), রিপা (৬), তারিকুল (২৪), রাকিব (৪০), আমেনা (৩০) ও মাহিন (৩)।
সোমবার মধ্যরাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবির পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৩৬ জনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল। এর পর থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায় আরো ৭৬ জনের লাশ। সব মিলিয়ে ১২ শিশু, ৩২ জন নারী ও ৬৮ জন পুরুষ। এদের মধ্যে কেবল একজন বাদে বাকি সবার পরিচয় পাওয়া সাপেক্ষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ শেষ হয় ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি শরীয়তপুর-১-এর উদ্ধারকাজ। এর আগে প্রায় ৩২ ঘণ্টা চেষ্টার পর লঞ্চটি উদ্ধার করে নদীর গভীর থেকে তীরে টেনে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকারি দুই উদ্ধারকারী নৌযান হামজা ও রুস্তম।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম কালের কণ্ঠকে জানান, লঞ্চটি তীরে আনার পর ভেতরেও কিছু লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২।
এমভি শরীয়তপুর-১ নামের দ্বিতল লঞ্চটি আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উদ্ধার পাওয়া যাত্রীরা বলেছে, অন্য একটি নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে লঞ্চটি ডুবে যায়। রাতেই আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করা হলেও অন্য যাত্রীরা উঠতে পারেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের মূল উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। লঞ্চ উদ্ধার হয়েছে, লঞ্চের ভেতরে এখন আর লাশ নেই। এ পর্যন্ত ১১২ জনের লাশ পাওয়া গেছে। তবে আমাদের উদ্ধার টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করে নদীতে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। যদি আর কোনো লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায় তবে দ্রুত তা উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'
শামসুদ্দোহা খন্দকার আরো বলেন, এ ধরনের বড় কোনো দুর্ঘটনায় এবারই প্রথম অতিদ্রুত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলো। উদ্ধারযান হামজা ও রুস্তমের সঙ্গে বিআইডাব্লিউটিএর আরো পাঁচটি, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর একটি করে বোট এবং উদ্ধারকারী জনবল একযোগে কাজ করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনও উদ্ধারকাজে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
তদন্তকাজ সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, মঙ্গলবার উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম নারায়ণগঞ্জ থেকে দ্রুত উদ্ধারকাজে লেগে গেলেও দূরত্বের কারণে অপর জাহাজ হামজা বরিশাল থেকে ঘটনাস্থলে এসে পেঁৗছায় মঙ্গলবার গভীর রাতে। পরে বুধবার ভোর থেকেই লঞ্চটি পানির ৭০ ফুট গভীর থেকে পুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে তীরে আনার কাজ শুরু করে। এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে গঠিত তিনটি তদন্ত টিমই মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছে বলে জানান শামসুদ্দোহা খন্দকার। তিনি বলেন, 'আশা করি, তদন্ত টিম সময়মতোই প্রতিবেদন দেবে। তবে এখন পর্যন্ত ধাক্কা দেওয়া নৌযানটি শনাক্ত বা আটক করা যায়নি।'
এদিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চের ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠা প্রসঙ্গে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার ফকরুল আবেদীন কালের কণ্ঠকে বলেন, এমভি শরীয়তপুর-১ লঞ্চটির প্রয়োজনীয় সব সার্ভে ফিটনেট রয়েছে। এমনকি লঞ্চটির বয়সও মাত্র ২১ বছর, মেয়াদোত্তীর্ণ হয় ৩০ বছর পরে।
ফখরুল আবেদীন বলেন, লঞ্চটি তীরে ওঠানোর পর দেখা গেছে, পানির লেবেল বরাবর একটি স্থানে দেড় মিটার বাই এক মিটার মাপের একটি বড় গর্ত হয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বালু উত্তোলনকারী নৌযানের মাথা লঞ্চটির নিচের অংশে প্রচণ্ড আঘাত করায় ওই গর্ত হয়ে সেখান দিয়ে পানি ঢুকে লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দেয়। তবে পুরো বিষয়টি বেরিয়ে আসবে তদন্তে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, 'লঞ্চের ভেতরে যেসব লাশ ছিল, তা বের করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এ ছাড়া যদি কোনো লাশ ভেসে যায়, তা উদ্ধারের জন্য পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত থাকবে।'
মৃতদের যাদের পরিচয় মিলেছে : আলেয়া বেগম (৪০), স্বামী সাদেক (৪৫), সানজিদা বেগম (১৭), রহিম (২৫), পলি (২৫), মাসুক চৌধুরী (৩৩), পান্না চৌধুরী (২৮), নাহিদ চৌধুরী (৩), আমেনা বেগম (৩০), তোফাজ্জল (৩২), সাব্বির হোসেন (১২), আলী আকবর (৪৫), দীপা (৬), মজিবুর রহমান (৪৮), লিজা চৌধুরী (৩২), মেসবাহ উদ্দিন মোড়ল (৫৫), নিয়াজ (৭), সাথী (৩০), লিটন (৩০), রুবিনা (১১), সোনিয়া (১৮), শামীম (৪০), সৈয়দ মাজহারুল হক সোহেল (৩২), শহর বানু (৫০), সৈকত (২২), তামিম (২৫), বাবা কাশেম (৫০), আছিয়া (৪৫), আমিন (৪০), আক্কাস (৪৫) গাজীপুর, আবুল কাশেম (২৭), আশরাফ মোল্লা (৩০) সখীপুর, খোদেজা বেগম (৪৫), রিনা আক্তার (২৫), হেনা (৩০), মাসুম (৩২), রাতুল (৩), রায়হান (১৭), ফাহিমা (৩৫), চান মিয়া (৩৫), রাবিয়া (৫০), তুষার (৩০), তারিকুল ইসলাম (২৪), মিনহাজুল (২৪), বাপ্পি (২৩), শাহরিয়ার সরদার (৩৫), রাশিদা (১৬), রিপন (৩৫), শাহজালাল (২৪), রেজা ফারুক (৩৬), ফাহিমা আক্তার (২২), হোসনে আরা বেগম (৬০), কুলসুম (৩২), আবুল কাশেম (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), এছাক গাজী (৬৫), আমজাদ হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৫), আকরাম হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান (৩০), আলাউদ্দিন (৪০), হাবু বেপারি (৪০), শিনু বেগম (৫৫), মাসুদা বেগম (৪৫), হাবিব (৫০), কাদির কবিরাজ (৩৬), সেলিম (৩৮), সেলিম (২০), হাবিবুর রহমান হালদার (৩৫), জাহাঙ্গীর ঢালী (২৫), মিনারা বেগম (৩৪), দিদার সরদার (৩৬), শান্তা আক্তার (১৮), সুমন (২৫), শিমুল (২২), আবু বকর (২৮), সাথী বেগম (১৮), পারভীন (২৬), রায়হান (৮), জাকির হোসেন (২৮), ইলিয়াস (৩৫), দুলাল (৪৫), মনির (৩২), মজিবুর (৪৮), আইয়ুব আলী (২৮), রিপা (৬), তারিকুল (২৪), রাকিব (৪০), আমেনা (৩০) ও মাহিন (৩)।
No comments