ধরা পড়ল সাবেক স্বামী-তেজগাঁওয়ে খুন গার্মেন্টকর্মী
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় গতকাল বুধবার এক গার্মেন্টকর্মীকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত গার্মেন্টকর্মীর নাম সুমী আক্তার (২২)। অভিযুক্ত ঘাতক মানিক প্রধানকে ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। মানিক ওই গার্মেন্টকর্মীর সাবেক স্বামী। আটক হওয়ার পর মানিক অকপটে স্বীকার করে হত্যার অভিযোগ।
পুলিশ ও সুমীর স্বজনরা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ কারোরই জানা নেই। তবে মানিক আটক হওয়ার পর অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলছে।
স্বজনরা জানান, সুমী তেজগাঁও শিল্প এলাকায় গ্লোরি ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। সাবলেট থাকতেন দক্ষিণ কুনিপাড়ার বাবলী জামে মসজিদ রোডের ১৬/৪ নমর হোল্ডিংয়ের হাবুল মিয়ার বাড়ির পাঁচতলার একটি কক্ষে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক শফিউল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে সুমী কর্মস্থল থেকে খাওয়ার জন্য বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে ফিলিং স্টেশনের কাছে মানিক তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুমী। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে মানিককে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ মানিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার কাছ থেকে বাঁকা হয়ে যাওয়া একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। সুমীকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমীর বুকের ডান পাশে তিনটি, বাঁ হাতে দুটি ও ডান পাঁজরে একটি জখম দেখা গেছে।
গতকাল বিকেলে সুমীর বাসায় গেলে তাঁর দূরসম্পর্কের বোন কারিনা, ভগি্নপতি নাসির ও প্রতিবেশী চুন্নু বলেন, কী কারণে মানিক সুমীকে হত্যা করেছে, তা তাঁরা জানেন না। মানিকের সঙ্গে সুমীর সম্পর্কের বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
স্বজনরা জানান, সুমীর বাবার নাম হানিফ। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার বৈলাপুর গ্রামে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সুমী সবার বড়। আড়াই বছর আগে সুমীর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছু দিন পরই বিচ্ছেদ ঘটে বলে জানান তাঁরা। দুই বছর ধরে সুমী ঢাকায় থাকতেন।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অভিযুক্ত মানিক কালের কণ্ঠের কাছে অকপটে স্বীকার করে হত্যার অভিযোগ। মানিক বলে, 'ও শংকিনী নারী। ও আমারে শেষ কইরা দিছে। ওরে আমি আগেই মারতে চাইছি। পারি নাই। এইবার শেষ কইরা দিছি।' মানিক জানায়, তার বাবার নাম মাহমুদ প্রধান। বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খুটমারা গ্রামে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মানিক দ্বিতীয়। সুমীকে হত্যা করে খারাপ লাগছে কি না, জানতে চাইলে মানিক বলে, 'আমি দুই বছর ধরে মইরা আছি। আমার কিছু যায় আসে না।' 'আধ্যাত্মিক শক্তির' বলে সুমী তার ক্ষতি করেছে বলে দাবি করে মানিক। বিষয়টি টের পাওয়ার পর সে সুমীকে তালাক দেয়। মানিক স্বীকার করে, সে মাদকাসক্ত।
গতকাল বিকেলে সুমীর সহকর্মীরা অভিযুক্ত খুনিকে দেখতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ভিড় করেন। তাঁরা মানিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। গ্লোরি ফ্যাশনওয়্যারের আয়রনম্যান আকাশ, মুক্তা, রাবেয়সাহ কয়েকজন বলেন, সুমী খুবই ভালো মেয়ে ছিল। সুমীকে হত্যার ঘটনা মানতে পারছেন না তাঁরা।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অপারেশন অফিসার মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মানিক আটক হওয়ার পর আধ্যাত্মিক ধরনের কথাবার্তা বলছে। তবে খুনের অভিযোগ সে স্বীকার করেছে। সুমীর স্বজনরা এলে মামলা দায়ের এবং আইনগত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।'
কাফরুলে তরুণীর গলিত লাশ : ভাসানটেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউর রহমান জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে ভাসানটেক দ্বিন মোহাম্মদ কলোনির পেছনের ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর। পরনে ছিল সাদা ও লাল রঙের ছাপার জামা এবং ফিরোজা রঙের পায়জামা। লাশে পচন ধরে ফুলে ওঠায় চেহারা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লাশের ধরন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্বজনরা জানান, সুমী তেজগাঁও শিল্প এলাকায় গ্লোরি ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। সাবলেট থাকতেন দক্ষিণ কুনিপাড়ার বাবলী জামে মসজিদ রোডের ১৬/৪ নমর হোল্ডিংয়ের হাবুল মিয়ার বাড়ির পাঁচতলার একটি কক্ষে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক শফিউল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে সুমী কর্মস্থল থেকে খাওয়ার জন্য বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে ফিলিং স্টেশনের কাছে মানিক তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুমী। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে মানিককে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ মানিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার কাছ থেকে বাঁকা হয়ে যাওয়া একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। সুমীকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমীর বুকের ডান পাশে তিনটি, বাঁ হাতে দুটি ও ডান পাঁজরে একটি জখম দেখা গেছে।
গতকাল বিকেলে সুমীর বাসায় গেলে তাঁর দূরসম্পর্কের বোন কারিনা, ভগি্নপতি নাসির ও প্রতিবেশী চুন্নু বলেন, কী কারণে মানিক সুমীকে হত্যা করেছে, তা তাঁরা জানেন না। মানিকের সঙ্গে সুমীর সম্পর্কের বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
স্বজনরা জানান, সুমীর বাবার নাম হানিফ। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার বৈলাপুর গ্রামে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সুমী সবার বড়। আড়াই বছর আগে সুমীর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছু দিন পরই বিচ্ছেদ ঘটে বলে জানান তাঁরা। দুই বছর ধরে সুমী ঢাকায় থাকতেন।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অভিযুক্ত মানিক কালের কণ্ঠের কাছে অকপটে স্বীকার করে হত্যার অভিযোগ। মানিক বলে, 'ও শংকিনী নারী। ও আমারে শেষ কইরা দিছে। ওরে আমি আগেই মারতে চাইছি। পারি নাই। এইবার শেষ কইরা দিছি।' মানিক জানায়, তার বাবার নাম মাহমুদ প্রধান। বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খুটমারা গ্রামে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মানিক দ্বিতীয়। সুমীকে হত্যা করে খারাপ লাগছে কি না, জানতে চাইলে মানিক বলে, 'আমি দুই বছর ধরে মইরা আছি। আমার কিছু যায় আসে না।' 'আধ্যাত্মিক শক্তির' বলে সুমী তার ক্ষতি করেছে বলে দাবি করে মানিক। বিষয়টি টের পাওয়ার পর সে সুমীকে তালাক দেয়। মানিক স্বীকার করে, সে মাদকাসক্ত।
গতকাল বিকেলে সুমীর সহকর্মীরা অভিযুক্ত খুনিকে দেখতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ভিড় করেন। তাঁরা মানিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। গ্লোরি ফ্যাশনওয়্যারের আয়রনম্যান আকাশ, মুক্তা, রাবেয়সাহ কয়েকজন বলেন, সুমী খুবই ভালো মেয়ে ছিল। সুমীকে হত্যার ঘটনা মানতে পারছেন না তাঁরা।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অপারেশন অফিসার মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মানিক আটক হওয়ার পর আধ্যাত্মিক ধরনের কথাবার্তা বলছে। তবে খুনের অভিযোগ সে স্বীকার করেছে। সুমীর স্বজনরা এলে মামলা দায়ের এবং আইনগত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।'
কাফরুলে তরুণীর গলিত লাশ : ভাসানটেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউর রহমান জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে ভাসানটেক দ্বিন মোহাম্মদ কলোনির পেছনের ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর। পরনে ছিল সাদা ও লাল রঙের ছাপার জামা এবং ফিরোজা রঙের পায়জামা। লাশে পচন ধরে ফুলে ওঠায় চেহারা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লাশের ধরন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
No comments