রাজধানীতে ভবনধস-অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ হোক
বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! জেগে ঘুমাচ্ছে যেন দালান নির্মাতারা। কিংবা একেবারে বেপরোয়া আর ভ্রূক্ষেপহীন থাকছে এ ব্যাপারে। এ স্পর্ধার, এ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রতিকার কী! প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসতি রাজধানী ঢাকায় অপরিকল্পিতভাবেই বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। এটি একটি বড় সমস্যা।
এ কারণে ভবনধসের মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে মাঝেমধ্যে। হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। সব সময়ই সাবধানবাণী উচ্চারণ করা হয়, ভবিষ্যতে বাড়ি করার সময় যেন পরিকল্পনামতো অর্থাৎ বিল্ডিং কোড মেনে করা হয়। এত সাবধানবাণী উচ্চারণ এবং কিছু দুর্ঘটনা চোখে দেখার পরও এখানে-ওখানে কিছু ভবন তৈরি হয়ে যায় অপরিকল্পিতভাবে। এর মধ্যে কিছু চোখে পড়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার পরই।
মাত্র কয়েক মাস আগে ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকায় একটি বাড়ি হেলে পড়ায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোনো প্রাণহানি সেখানে না ঘটলেও আশপাশের মানুষের মধ্যে মানসিক দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল যথেষ্ট। আশপাশে একাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেখানে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। দেখা গেছে, নাখালপাড়ার মতো উদ্ধারকাজে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন অংশ নিয়েছিল। পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনগুলো ফলাও করে সেই খবর প্রচার করেছিল। বেগুনবাড়ীতে ভবনধসে ২৩ ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালের ১ জুন। তার পাঁচ দিন পর শান্তিনগরে কনকর্ড টাওয়ারে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যাপকভাবে। কিন্তু সকলি গরল ভেল! আবার খবর হলো নাখালপাড়ার ভবনধস-সংক্রান্ত। সেখানে আবার ৬০ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়েছিল ২০ তলা ভবন তৈরির জন্য। সেই গর্তে ধসে পড়ে পাশের ছোট কয়েকটি স্থাপনা এবং রাস্তার একাংশ। রাজউক চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে যাতে আর কোনো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই গর্ত ভরাট করা হচ্ছে বালু দিয়ে। যে জায়গায় ৬০ ফুট গর্ত করা হয়েছিল, ওই জায়গায় এত গভীর করার মতো উপযুক্ততা মাটির আছে কি না সেদিকে খেয়াল করা হয়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে ভবনটি সব নিয়মকানুন অমান্য করেই তৈরি হচ্ছিল। রাজউক চেয়ারম্যানের মন্তব্য থেকে তা-ই অনুমান করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলাও করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। কিন্তু আমাদের জানামতে, এ ধরনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হয় খুবই কম ক্ষেত্রে। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিও একই কারণে পার পেয়ে যায়। ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলার কারণে পরবর্তী সময়ে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে আর দ্বিধা করে না। নাখালপাড়ায় ভবনধসের সঠিক তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের বের করে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড কড়াকড়িভাবে মানতে বাধ্য করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও যাতে করা হয় সেদিকটিও নিশ্চিত করতে হবে।
মাত্র কয়েক মাস আগে ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকায় একটি বাড়ি হেলে পড়ায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোনো প্রাণহানি সেখানে না ঘটলেও আশপাশের মানুষের মধ্যে মানসিক দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল যথেষ্ট। আশপাশে একাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেখানে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। দেখা গেছে, নাখালপাড়ার মতো উদ্ধারকাজে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন অংশ নিয়েছিল। পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনগুলো ফলাও করে সেই খবর প্রচার করেছিল। বেগুনবাড়ীতে ভবনধসে ২৩ ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালের ১ জুন। তার পাঁচ দিন পর শান্তিনগরে কনকর্ড টাওয়ারে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যাপকভাবে। কিন্তু সকলি গরল ভেল! আবার খবর হলো নাখালপাড়ার ভবনধস-সংক্রান্ত। সেখানে আবার ৬০ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়েছিল ২০ তলা ভবন তৈরির জন্য। সেই গর্তে ধসে পড়ে পাশের ছোট কয়েকটি স্থাপনা এবং রাস্তার একাংশ। রাজউক চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে যাতে আর কোনো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই গর্ত ভরাট করা হচ্ছে বালু দিয়ে। যে জায়গায় ৬০ ফুট গর্ত করা হয়েছিল, ওই জায়গায় এত গভীর করার মতো উপযুক্ততা মাটির আছে কি না সেদিকে খেয়াল করা হয়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে ভবনটি সব নিয়মকানুন অমান্য করেই তৈরি হচ্ছিল। রাজউক চেয়ারম্যানের মন্তব্য থেকে তা-ই অনুমান করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলাও করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। কিন্তু আমাদের জানামতে, এ ধরনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হয় খুবই কম ক্ষেত্রে। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিও একই কারণে পার পেয়ে যায়। ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলার কারণে পরবর্তী সময়ে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে আর দ্বিধা করে না। নাখালপাড়ায় ভবনধসের সঠিক তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের বের করে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড কড়াকড়িভাবে মানতে বাধ্য করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও যাতে করা হয় সেদিকটিও নিশ্চিত করতে হবে।
No comments