সাঙ্গুর নতুন কূপের গ্যাস কেনার কেউ নেই! by শিমুল নজরুল
গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিল্পোৎপাদন অর্ধেক হ্রাস পাওয়ার দুঃসহ সময়ে সুখবর হচ্ছে সাঙ্গুর নতুন কূপে গ্যাসপ্রাপ্তি। নতুন কূপ থেকে দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রস্তুত সান্তোস-সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড লিমিটেড। কিন্তু এই গ্যাস বিক্রির জন্য এখনো ক্রেতা পায়নি গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থাটি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে এই গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে সান্তোস। তবে এ ব্যাপারে এখনো সরকারের অনুমতি পায়নি পিডিবি।
সান্তোসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বি এ সিরাজুদ্দৌলা পিডিবির কাছে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাঙ্গু-১১ নামের নতুন কূপ থেকে প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্যাস বিক্রির বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। সরকারি অনুমতি পাওয়া মাত্রই আমরা গ্যাস সরবরাহে প্রস্তুত।'
এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর বলেন, 'সান্তোস তাদের নতুন গ্যাসের বাজারদর যাচাই করছে। গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য পিডিবির কাছে সান্তোস গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব করেছে। তবে এখনো পেট্রোবাংলার কাছে পিডিবি কিংবা সান্তোস কেউই গ্যাসের ব্যাপারে লিখিত প্রস্তাব পাঠায়নি।'
সান্তোস সূত্র জানায়, সাঙ্গু-১১ নামের নতুন কূপ থেকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিল্প বিনিয়োগ থমকে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। চট্টগ্রামে নতুন গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে বিদ্যুতের লোডশেডিং কমার পাশাপাশি শিল্প-কারখানায় উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন চৌধুরী।
সাঙ্গুর কর্মকর্তারা জানান, সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলিত গ্যাস তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবে সাঙ্গু। তাই সান্তোস সরাসরি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে পিডিবির কাছে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব করার পর তারা বিষয়টি সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। এখন শুধু সরকারি অনুমতির অপেক্ষা।
এ প্রসঙ্গে পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির বলেন, 'সান্তোসের পক্ষ থেকে আমরা গ্যাস কেনার প্রস্তাব পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু রাষ্ট্রীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যাপার, তাই পেট্রোবাংলার পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। পেট্রোবাংলার কাছ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।'
জানা গেছে, পিডিবির কাছে সাড়ে চার মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে সান্তোস কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির (কেজিডিসিএল) পাইপলাইন ব্যবহারের জন্য হুইলিং চার্জ হিসেবে কেজিডিসিএল পাবে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৩৬ সেন্ট।
সাঙ্গু গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সাঙ্গুর পুরনো কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক মাত্র সাত মিলিয়ন ঘনফুট। এই গ্যাস পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করা হয় ২ দশমিক ৮৯ মার্কিন ডলার প্রতি হাজার ঘনফুট দরে। সাঙ্গু দেশের একমাত্র সাগরকেন্দ্রিক (অফশোর) গ্যাসক্ষেত্র। ভূমিতে অবস্থিত গ্যাসক্ষেত্রের সঙ্গে সাগরকেন্দ্রিক গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের দামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ড. হোসেন মনসুর বলেন, 'সান্তোস যখন পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাব পাঠাবে, তখন গ্যাসের মূল্য বিবেচনা করে দেখব। যদি গ্যাসের মূল্য পেট্রোবাংলার কেনার সাধ্যের মধ্যে থাকে, তাহলে কেনার বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে। তবে বেশি দামে গ্যাস কিনে ভর্তুকি দেওয়ার ইচ্ছা পেট্রোবাংলার নেই।'
এদিকে শুধু গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রামে ৪৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। এ ছাড়া ১৫০ মেগাওয়াটের শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্লান্টটি ক্ষমতার মাত্র অর্ধেক উৎপাদন করছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বিমল কুমার হালদার কালের কণ্ঠকে বলেন, গ্যাসনির্ভর সরকারি তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন ১৪২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাস দেওয়া হচ্ছে মাত্র ২২ মিলিয়ন ঘনফুট, যা দিয়ে মাত্র ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।
সান্তোসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বি এ সিরাজুদ্দৌলা পিডিবির কাছে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাঙ্গু-১১ নামের নতুন কূপ থেকে প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্যাস বিক্রির বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। সরকারি অনুমতি পাওয়া মাত্রই আমরা গ্যাস সরবরাহে প্রস্তুত।'
এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর বলেন, 'সান্তোস তাদের নতুন গ্যাসের বাজারদর যাচাই করছে। গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য পিডিবির কাছে সান্তোস গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব করেছে। তবে এখনো পেট্রোবাংলার কাছে পিডিবি কিংবা সান্তোস কেউই গ্যাসের ব্যাপারে লিখিত প্রস্তাব পাঠায়নি।'
সান্তোস সূত্র জানায়, সাঙ্গু-১১ নামের নতুন কূপ থেকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিল্প বিনিয়োগ থমকে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। চট্টগ্রামে নতুন গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে বিদ্যুতের লোডশেডিং কমার পাশাপাশি শিল্প-কারখানায় উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন চৌধুরী।
সাঙ্গুর কর্মকর্তারা জানান, সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলিত গ্যাস তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবে সাঙ্গু। তাই সান্তোস সরাসরি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে পিডিবির কাছে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব করার পর তারা বিষয়টি সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। এখন শুধু সরকারি অনুমতির অপেক্ষা।
এ প্রসঙ্গে পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির বলেন, 'সান্তোসের পক্ষ থেকে আমরা গ্যাস কেনার প্রস্তাব পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু রাষ্ট্রীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যাপার, তাই পেট্রোবাংলার পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। পেট্রোবাংলার কাছ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।'
জানা গেছে, পিডিবির কাছে সাড়ে চার মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে সান্তোস কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির (কেজিডিসিএল) পাইপলাইন ব্যবহারের জন্য হুইলিং চার্জ হিসেবে কেজিডিসিএল পাবে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৩৬ সেন্ট।
সাঙ্গু গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সাঙ্গুর পুরনো কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক মাত্র সাত মিলিয়ন ঘনফুট। এই গ্যাস পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করা হয় ২ দশমিক ৮৯ মার্কিন ডলার প্রতি হাজার ঘনফুট দরে। সাঙ্গু দেশের একমাত্র সাগরকেন্দ্রিক (অফশোর) গ্যাসক্ষেত্র। ভূমিতে অবস্থিত গ্যাসক্ষেত্রের সঙ্গে সাগরকেন্দ্রিক গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের দামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ড. হোসেন মনসুর বলেন, 'সান্তোস যখন পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাব পাঠাবে, তখন গ্যাসের মূল্য বিবেচনা করে দেখব। যদি গ্যাসের মূল্য পেট্রোবাংলার কেনার সাধ্যের মধ্যে থাকে, তাহলে কেনার বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে। তবে বেশি দামে গ্যাস কিনে ভর্তুকি দেওয়ার ইচ্ছা পেট্রোবাংলার নেই।'
এদিকে শুধু গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রামে ৪৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। এ ছাড়া ১৫০ মেগাওয়াটের শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্লান্টটি ক্ষমতার মাত্র অর্ধেক উৎপাদন করছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বিমল কুমার হালদার কালের কণ্ঠকে বলেন, গ্যাসনির্ভর সরকারি তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন ১৪২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাস দেওয়া হচ্ছে মাত্র ২২ মিলিয়ন ঘনফুট, যা দিয়ে মাত্র ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।
No comments