অবিলম্বে কর্মবিরতির অবসান ঘটান-ডিএমসি হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিকেল কলেজকে (ডিএমসি) বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ডিএমসি হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তি শুরু হয়েছে। হাসপাতালটির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীসহসেবক-সেবিকারা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।
তাঁরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে পর্যায়ক্রমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছেন গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কর্মবিরতি এবং উচ্চকণ্ঠে স্লোগান দিতে দিতে হাসপাতালের প্রাঙ্গণ ও করিডরগুলো প্রদক্ষিণ করা। গত মঙ্গলবার তাঁরা শেষ দফায় এ কর্মসূচি পালন করেছেন। আগামী রোববার থেকে তাঁরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। তা ছাড়া হাসপাতালটিতে সব সময়ই চিকিৎসারত থাকে বিপুলসংখ্যক রোগী। রোগীর তুলনায় শয্যা নিতান্তই কম বলে অনেক রোগীর ঠাঁই হয় বিভিন্ন বিভাগের করিডরে। এই অবস্থায় যদি হাসপাতালের সেবক-সেবিকারা কাজ বন্ধ করে প্রাঙ্গণ-করিডরে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন, তাহলে অসুস্থ মানুষগুলোর কী অবস্থা হতে পারে, তা কি তাঁরা ভেবে দেখেছেন?
ডিএমসির সেবক-সেবিকাসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা ডিএমসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত মানেন না এই আশঙ্কা থেকে যে এতে তাঁরা চাকরি হারাবেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের নিশ্চিত আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যাঁরা হাসপাতালে থাকতে চান তাঁরা সেখানেই থাকবেন, আর যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে চান, তাঁদের সেই সুযোগ থাকবে। তবু তাঁরা কেন কর্মবিরতি পালন করছেন এবং সরকার কেন এদিকে মোটেও কর্ণপাত করছে না, তা বোধগম্য নয়। সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় হয় বেশি। ঠিক এই সময়টাই তাঁরা বেছে নিয়েছেন কর্মবিরতির জন্য। আমরা মনে করি, আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে বিষয়টির ফয়সালা হওয়া উচিত। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে, কিন্তু সেই দাবি আদায়ের জন্য তাঁরা রোগীদের জিম্মি করতে পারেন না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। তা ছাড়া হাসপাতালটিতে সব সময়ই চিকিৎসারত থাকে বিপুলসংখ্যক রোগী। রোগীর তুলনায় শয্যা নিতান্তই কম বলে অনেক রোগীর ঠাঁই হয় বিভিন্ন বিভাগের করিডরে। এই অবস্থায় যদি হাসপাতালের সেবক-সেবিকারা কাজ বন্ধ করে প্রাঙ্গণ-করিডরে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন, তাহলে অসুস্থ মানুষগুলোর কী অবস্থা হতে পারে, তা কি তাঁরা ভেবে দেখেছেন?
ডিএমসির সেবক-সেবিকাসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা ডিএমসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত মানেন না এই আশঙ্কা থেকে যে এতে তাঁরা চাকরি হারাবেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের নিশ্চিত আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যাঁরা হাসপাতালে থাকতে চান তাঁরা সেখানেই থাকবেন, আর যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে চান, তাঁদের সেই সুযোগ থাকবে। তবু তাঁরা কেন কর্মবিরতি পালন করছেন এবং সরকার কেন এদিকে মোটেও কর্ণপাত করছে না, তা বোধগম্য নয়। সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় হয় বেশি। ঠিক এই সময়টাই তাঁরা বেছে নিয়েছেন কর্মবিরতির জন্য। আমরা মনে করি, আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে বিষয়টির ফয়সালা হওয়া উচিত। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে, কিন্তু সেই দাবি আদায়ের জন্য তাঁরা রোগীদের জিম্মি করতে পারেন না।
No comments