বুক অব ফ্যাক্টস-অভিযান by আইজ্যাক আজিমভ
প্রথম যে স্প্যানিশ জাহাজ নিউ ওয়ার্ল্ডে পৌঁছায়, তার নেতৃত্বে ছিলেন ইতালিয়ান ক্রিস্টোফার কলম্বাস। আর নিউ ওয়ার্ল্ডে পৌঁছানো প্রথম ইংরেজ জাহাজগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন ইতালিয়ান জিওভান্নি কাবোটো (জন কাবোট)। নিউ ওয়ার্ল্ডে পৌঁছানো প্রথম ফরাসি জাহাজগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন ইতালিয়ান জিওভান্নি ডা ভেরাজ্যানো।
কোনো ইতালীয় জাহাজ নিউ ওয়ার্ল্ড অভিযানে যায়নি।
কলম্বাস ১৪৭৭ সালে ইংল্যান্ডে যান এবং সম্ভবত সেখানেই তিনি প্রথম গ্রেট ওশান সি-র ওপারে দূর পশ্চিমের ভূমির কথা শোনেন। কলম্বাস ১৪৮০ সালের দিকে আইসল্যান্ড ভ্রমণ করেন।
সর্বকালের সেরা সমুদ্র অভিযাত্রী ছিল পলিনেশিয়ানরা। কম্পাস ছাড়া পলিনেশিয়ানরা ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের আগের শতকে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দ্বীপ চিহ্নিত করে। নিউজিল্যান্ড থেকে হাওয়াই ও ইস্টার আইল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাদের অঞ্চল। তাদের অধিকৃত প্রায় সব দ্বীপেই তারা উপনিবেশ স্থাপন করে।
অভিযাত্রী এডমন্ড হিলারি পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পৌঁছান এবং তিনি ছিলেন পুরো অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ পাড়ি দেওয়া প্রথম অভিযানের নেতা।
১৬১৫ সালে ইংরেজ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিন উত্তর মেরুর ৮০০ মাইলের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরবর্তী ২৫০ বছরে কেউ এর কাছাকাছিও যেতে পারেনি।
রাশিয়ান কশাকরা শুধু অশ্বচালক হিসেবে নয়, বরং অভিযাত্রী ও নাবিক হিসেবে দক্ষতার জন্যও পরিচিত ছিল। তারাই প্রথম সাইবেরিয়ায় অভিযান চালায় এবং উপনিবেশ স্থাপন করে। তারা সাইবেরিয়ার উত্তরে জলপথে সুমেরু পর্যন্ত অভিযান চালায়। কশাক সেমিয়ন দেজনেভ খোলা নৌকায় ৯০ জন লোক নিয়ে ১৬৪৮ সালে এশিয়ার পূর্ব অংশ ঘুরে আসেন।
১৬৪২ সালে ডাচ্ অভিযাত্রী অ্যাবেল জ্যানসজুন তাসমান পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে একটা সম্ভাব্য মহাদেশ খোঁজার জন্য দক্ষিণ দিকে যাত্রা করেন। ১০ মাসের অভিযানে তিনি পুরো অস্ট্রেলিয়ার চারপাশ ঘোরেন কিন্তু এক মহাদেশ হিসেবে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হন। তবে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে একটা ছোট ভূখণ্ডের নামকরণ করা হয় তাঁর সম্মানে, যাকে বলা হয় তাসমানিয়া।
নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী রোয়াল্ড অ্যামুন্ডসেন ১৯১০ সালের জুন মাসে নরওয়ে ত্যাগ করেন তথাকথিত আরেকটি সুমেরু অভিযানের ঘোষণা দিয়ে। কেউ জানত না তাঁর আসল উদ্দেশ্য দক্ষিণ দিকে ঘুরে যাওয়া এবং দক্ষিণ মেরু অভিযানে ইংরেজ ক্যাপ্টেন রবার্ট স্কটকে পরাজিত করার চেষ্টায় অ্যান্টার্কটিকার উদ্দেশে যাত্রা করা। তিনি ১৯১১ সালের ১১ ডিসেম্বর অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছে স্কটকে ৩৪ দিনে হারান।
১৭৬৮ সালে ক্যাপ্টেন জেমস কুক যখন তাহিতি পৌঁছান, তখন মুখ বন্ধ করা আদেশনামা খোলেন, যাতে লেখা ছিল: ‘যেহেতু এটা কল্পনা করার যুক্তি আছে যে একটা মহাদেশ অথবা বিশাল বিস্তৃত ভূমি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে...এবং তা যেকোনো সাবেক নাবিকের পথের দক্ষিণ দিকে...দক্ষিণে নতুন এক মহাদেশ আবিষ্কারের জন্য তোমাকে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হতে হবে।’ তিনি দক্ষিণের সেই মহাদেশ খুঁজে পেয়েছিলেন, সেটি বর্তমানের অস্ট্রেলিয়া।
ফার্ডিনান্ড ম্যাগিলন ছিলেন পর্তুগিজ কিন্তু তিনি তাঁর পৃথিবী ঘুরে আসার অভিযানে স্পেনের পতাকার অধীনে যাত্রা করেন।
তবে ম্যাগিলন পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে পর্তুগিজ অভিযানে ছিলেন এবং মরক্কোতে যুদ্ধ করেন, সেখানে তিনি আহত হন এবং স্থায়ীভাবে পঙ্গু হন।
এ সময় তাঁকে মরক্কানদের সঙ্গে বাণিজ্যের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এবং ১৫১৭ সালে তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর প্রতি এই অন্যায় আচরণে বিরক্ত হয়ে ম্যাগিলন স্পেনে গিয়ে চাকরিতে যোগ দেন।
অনুবাদ: হাসান খুরশীদ
কলম্বাস ১৪৭৭ সালে ইংল্যান্ডে যান এবং সম্ভবত সেখানেই তিনি প্রথম গ্রেট ওশান সি-র ওপারে দূর পশ্চিমের ভূমির কথা শোনেন। কলম্বাস ১৪৮০ সালের দিকে আইসল্যান্ড ভ্রমণ করেন।
সর্বকালের সেরা সমুদ্র অভিযাত্রী ছিল পলিনেশিয়ানরা। কম্পাস ছাড়া পলিনেশিয়ানরা ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের আগের শতকে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দ্বীপ চিহ্নিত করে। নিউজিল্যান্ড থেকে হাওয়াই ও ইস্টার আইল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাদের অঞ্চল। তাদের অধিকৃত প্রায় সব দ্বীপেই তারা উপনিবেশ স্থাপন করে।
অভিযাত্রী এডমন্ড হিলারি পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পৌঁছান এবং তিনি ছিলেন পুরো অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ পাড়ি দেওয়া প্রথম অভিযানের নেতা।
১৬১৫ সালে ইংরেজ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিন উত্তর মেরুর ৮০০ মাইলের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরবর্তী ২৫০ বছরে কেউ এর কাছাকাছিও যেতে পারেনি।
রাশিয়ান কশাকরা শুধু অশ্বচালক হিসেবে নয়, বরং অভিযাত্রী ও নাবিক হিসেবে দক্ষতার জন্যও পরিচিত ছিল। তারাই প্রথম সাইবেরিয়ায় অভিযান চালায় এবং উপনিবেশ স্থাপন করে। তারা সাইবেরিয়ার উত্তরে জলপথে সুমেরু পর্যন্ত অভিযান চালায়। কশাক সেমিয়ন দেজনেভ খোলা নৌকায় ৯০ জন লোক নিয়ে ১৬৪৮ সালে এশিয়ার পূর্ব অংশ ঘুরে আসেন।
১৬৪২ সালে ডাচ্ অভিযাত্রী অ্যাবেল জ্যানসজুন তাসমান পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে একটা সম্ভাব্য মহাদেশ খোঁজার জন্য দক্ষিণ দিকে যাত্রা করেন। ১০ মাসের অভিযানে তিনি পুরো অস্ট্রেলিয়ার চারপাশ ঘোরেন কিন্তু এক মহাদেশ হিসেবে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হন। তবে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে একটা ছোট ভূখণ্ডের নামকরণ করা হয় তাঁর সম্মানে, যাকে বলা হয় তাসমানিয়া।
নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী রোয়াল্ড অ্যামুন্ডসেন ১৯১০ সালের জুন মাসে নরওয়ে ত্যাগ করেন তথাকথিত আরেকটি সুমেরু অভিযানের ঘোষণা দিয়ে। কেউ জানত না তাঁর আসল উদ্দেশ্য দক্ষিণ দিকে ঘুরে যাওয়া এবং দক্ষিণ মেরু অভিযানে ইংরেজ ক্যাপ্টেন রবার্ট স্কটকে পরাজিত করার চেষ্টায় অ্যান্টার্কটিকার উদ্দেশে যাত্রা করা। তিনি ১৯১১ সালের ১১ ডিসেম্বর অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছে স্কটকে ৩৪ দিনে হারান।
১৭৬৮ সালে ক্যাপ্টেন জেমস কুক যখন তাহিতি পৌঁছান, তখন মুখ বন্ধ করা আদেশনামা খোলেন, যাতে লেখা ছিল: ‘যেহেতু এটা কল্পনা করার যুক্তি আছে যে একটা মহাদেশ অথবা বিশাল বিস্তৃত ভূমি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে...এবং তা যেকোনো সাবেক নাবিকের পথের দক্ষিণ দিকে...দক্ষিণে নতুন এক মহাদেশ আবিষ্কারের জন্য তোমাকে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হতে হবে।’ তিনি দক্ষিণের সেই মহাদেশ খুঁজে পেয়েছিলেন, সেটি বর্তমানের অস্ট্রেলিয়া।
ফার্ডিনান্ড ম্যাগিলন ছিলেন পর্তুগিজ কিন্তু তিনি তাঁর পৃথিবী ঘুরে আসার অভিযানে স্পেনের পতাকার অধীনে যাত্রা করেন।
তবে ম্যাগিলন পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে পর্তুগিজ অভিযানে ছিলেন এবং মরক্কোতে যুদ্ধ করেন, সেখানে তিনি আহত হন এবং স্থায়ীভাবে পঙ্গু হন।
এ সময় তাঁকে মরক্কানদের সঙ্গে বাণিজ্যের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এবং ১৫১৭ সালে তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর প্রতি এই অন্যায় আচরণে বিরক্ত হয়ে ম্যাগিলন স্পেনে গিয়ে চাকরিতে যোগ দেন।
অনুবাদ: হাসান খুরশীদ
No comments