মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৭ এপ্রিল
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হবে কি না—এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শেষে এ দিন ধার্য
করেন। গতকাল শুনানিতে অভিযোগ গঠন না করার বিষয়ে আসামিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ শুনানি শুরু হয়।
যুক্তি খণ্ডনকালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ আল-মালুম বলেন, শুনানিতে আসামিপক্ষ ৩৮ বার উল্লেখ করেছে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারপ্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করতে অসৎ উদ্দেশ্যে আসামিপক্ষ এ কথা বলেছে। আসামিপক্ষের বক্তব্য অনুসারে রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি বাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী বাহিনী নয়। এ প্রসঙ্গে ১৯৯২ সালের ১৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের উল্লেখ করে জেয়াদ-আল মালুম বলেন, তিনি ওই সময়েই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি করেন। বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে বলে আসামিপক্ষের বক্তব্য সঠিক নয়। ওই সময়ে শেখ হাসিনা সংসদে পাকিস্তান সরকারের একটি প্রজ্ঞাপন উপস্থাপন করেছিলেন। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনা আইনের ধারা রাজাকার বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। সে অনুসারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী বাহিনী হিসেবে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়।
ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, এই প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি জানাতে এত দেরি হলো কেন? রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী কি না, এ বিষয়ে আসামিপক্ষ দীর্ঘ সময় শুনানি করেছে। এটি আগেই দেখানো হলে দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন হতো না।
যুক্তি খণ্ডনের একপর্যায়ে অনলাইন সংবাদপত্র বাংলানিউজে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর প্রকাশিত গোলাম আযমের সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে কৌঁসুলি বলেন, এখানে গোলাম আযম বলেছেন, এসব বাহিনীর মাধ্যমে দেশের মানুষকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলাম। কৌঁসুলি বলেন, এর পরও রাজাকার বাহিনী গঠনের বিষয়ে গোলাম আযমের ভূমিকা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে?
জেয়াদ-আল মালুম বলেন, গোলাম আযমকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ হিসেবে পর্যাপ্ত উপাদান আসামিপক্ষ দাখিল করতে পারেনি। পক্ষান্তরে অভিযোগ গঠনের মতো যথেষ্ট উপাদান রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালের কাছে দিয়েছে। তিনি গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আরজি জানান।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। এখনো একটু সীমাবদ্ধতা আছে। আসামিপক্ষ যেভাবে ধারাবাহিকভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করে, রাষ্ট্রপক্ষ সেভাবে করে না। তার পরও অনেক উন্নতি হয়েছে, জেয়াদ-আল মালুম অনেক পরিশ্রম করেছেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি ১ এপ্রিল: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানির জন্য ১ এপ্রিল দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১। গতকাল আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।
যুক্তি খণ্ডনকালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ আল-মালুম বলেন, শুনানিতে আসামিপক্ষ ৩৮ বার উল্লেখ করেছে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারপ্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করতে অসৎ উদ্দেশ্যে আসামিপক্ষ এ কথা বলেছে। আসামিপক্ষের বক্তব্য অনুসারে রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি বাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী বাহিনী নয়। এ প্রসঙ্গে ১৯৯২ সালের ১৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের উল্লেখ করে জেয়াদ-আল মালুম বলেন, তিনি ওই সময়েই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি করেন। বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে বলে আসামিপক্ষের বক্তব্য সঠিক নয়। ওই সময়ে শেখ হাসিনা সংসদে পাকিস্তান সরকারের একটি প্রজ্ঞাপন উপস্থাপন করেছিলেন। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনা আইনের ধারা রাজাকার বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। সে অনুসারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী বাহিনী হিসেবে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়।
ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, এই প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি জানাতে এত দেরি হলো কেন? রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী কি না, এ বিষয়ে আসামিপক্ষ দীর্ঘ সময় শুনানি করেছে। এটি আগেই দেখানো হলে দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন হতো না।
যুক্তি খণ্ডনের একপর্যায়ে অনলাইন সংবাদপত্র বাংলানিউজে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর প্রকাশিত গোলাম আযমের সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে কৌঁসুলি বলেন, এখানে গোলাম আযম বলেছেন, এসব বাহিনীর মাধ্যমে দেশের মানুষকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলাম। কৌঁসুলি বলেন, এর পরও রাজাকার বাহিনী গঠনের বিষয়ে গোলাম আযমের ভূমিকা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে?
জেয়াদ-আল মালুম বলেন, গোলাম আযমকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ হিসেবে পর্যাপ্ত উপাদান আসামিপক্ষ দাখিল করতে পারেনি। পক্ষান্তরে অভিযোগ গঠনের মতো যথেষ্ট উপাদান রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালের কাছে দিয়েছে। তিনি গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আরজি জানান।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। এখনো একটু সীমাবদ্ধতা আছে। আসামিপক্ষ যেভাবে ধারাবাহিকভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করে, রাষ্ট্রপক্ষ সেভাবে করে না। তার পরও অনেক উন্নতি হয়েছে, জেয়াদ-আল মালুম অনেক পরিশ্রম করেছেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি ১ এপ্রিল: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানির জন্য ১ এপ্রিল দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১। গতকাল আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।
No comments