বহে কাল নিরবধি-জীবনের জন্য : চাই নদী, চাই পল্লবঘন বৃক্ষ by এম আবদুল হাফিজ
অসংখ্য নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাঁওড়ে আকীর্ণ বাংলাদেশ। বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। তিনটি বিশাল নদী- পদ্মা, যমুনা, মেঘনা বিধৌত এই দেশ। আমাদের ছোট নদী/ চলে বাঁকে বাঁকে/ বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে। কবিগুরুর কবিতার চরণে বিধৃত সংবৎসর বহমান সেই নদীর দেশ কবেই হারিয়ে গেছে।
এখন তো ভরা ভাদরেও এককালের প্রমত্তা নদীগুলোতে হাঁটুজল থাকে না। সেগুলোর বক্ষজুড়ে থাকে বরং রোপা ধানের ক্ষেত। আমাদের রুগ্ণ-অবহেলিত নদীগুলোর অপমৃত্যু হলো। আমরা তাকিয়েও দেখলাম না। এখনো যেগুলো মৃত্যুর অপেক্ষায় ধুঁকছে, সেগুলোকেও বাঁচানোর কোনো উদ্যোগ নেই।
ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। একসময়ের সবুজের হাতছানি দেওয়া দেশটি এখন খাঁ খাঁ করে। সমগ্র পরিবেশেই পড়েছে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া। অপঘাতে মৃত্যুবরণকারীদের জন্যও তবু বিলাপ করার কেউ না কেউ থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নীরবে মৃত্যুপথযাত্রী আমাদের নদীগুলোর কান্না কদাচিৎ কেউ শুনেছে। এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা তো দূরের কথা, অযত্ন-অবহেলায় নদীগুলোর বিলুপ্তিকে আমরা ত্বরান্বিত করেছি। মানুষের সুস্থ-সবলভাবে বেঁচে থাকার জন্য কত না উপাদানের প্রয়োজন হয়। নিঃসংশয়ে নদী ও অরণ্য তার অন্যতম। এগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনের এবং দানবসদৃশ বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব ঠেকায়। আমরা এই ভরা বসন্তেই চৈত্রের দাবদাহে ওষ্ঠাগতপ্রাণ, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির।
বছর দুই আগেও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও, ঢাকা বাঁচাওয়ের নামে একটি পরিবেশ আন্দোলন দানা বেঁধেছিল। তখন এই নিবন্ধকার এই আন্দোলনকে সম্প্রসারিত করে সারা দেশের তাবৎ নদীকে বাঁচানোর পক্ষে ওকালতি করেছিলেন। এখন দেখছি যে ঢাকাভিত্তিক বা সম্প্রসারিত নদী বাঁচাও আন্দোলন দুটোই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। অবশ্য কয়েক দিন আগে ব্রহ্মপুত্র থেকে পানিপ্রবাহকে ডাইভার্ট করে বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার একটি সংবাদ পড়েছিলাম। ভালো কথা। কিন্তু সেটাও তো হবে একটি সীমাবদ্ধ উদ্দেশ্য সাধনের উদ্যোগ। তবে অনেক দেশেই এমন খণ্ডিত উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে।
বার্নের (সুইজারল্যান্ড) অদূরে ব্যাসেল শহরে রয়েছে সুইসদের বিশাল ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প। কিন্তু রাইন নদীর প্রবাহকে দূষণমুক্ত রাখতে সুইসরা ওই অত্যন্ত লাভজনক শিল্প স্থাপনাগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছিল। তদ্রূপ আমরা যুগপৎ রাজধানী দূষণমুক্ত করার প্রয়াস নিতে পারি। কিন্তু তা অবশ্যই সারা দেশের নদীগুলোতে প্রাণসঞ্চারে বাধা হবে বলে আমি মনে করি না। দেশের মৃতপ্রায় নদীগুলোতে প্রাণসঞ্চার করতে পদক্ষেপ এখনই দরকার, দেশের মরুকরণ অবশ্যম্ভাবী।
অবশ্য দেশে নদী ধ্বংসের প্রধান কারণ নদীর উৎসে এবং প্রবাহপথে আমাদের নিয়ন্ত্রণহীনতা, ভারতের প্রস্তাবিত আন্তনদীসংযোগ এবং উজানে উজান দেশের প্রবাহপথে নানা প্রকল্প বা স্থাপনার মাধ্যমে বিঘ্ন সৃষ্টি। দৃষ্টান্তস্বরূপ- ফারাক্কা, টিপাইমুখ ইত্যাদি আমাদের অভিন্ন নদীগুলোকে ভাটিতে টুঁটি চেপে মেরেছে অথবা মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই দ্বিপক্ষীয় সমস্যা এবং বিরোধ সত্ত্বেও আমরা যেটুকু করতে পারতাম, আমরা তো তাও করিনি। আঞ্চলিকভাবে স্বনির্ভরতার ভিত্তিতে নদী খননের মধ্য দিয়ে নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয় কি? সংযোগ খাল খনন করেও একটি নদীর প্রবহমান অংশের সঙ্গে মৃত অংশের সংযোগ ঘটানো যায়। এতে করে হয়তো নদীর বিকীর্ণ ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব।
কৈশোরে বসতবাড়ির পুকুরকে বিস্তীর্ণ ক্ষেত-খামারের সঙ্গে সংযোজিত দেখেছি। এতে করে মৎস্যের একটি বিশাল আবাসন এলাকাও গড়ে ওঠে। সেকালে হিন্দু জমিদাররা স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার মতো নানা জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে বিশাল বিশাল দীঘি খনন করতেন। যাতে বিভিন্ন প্রয়োজনে এই দীঘির পানিই যথেষ্ট হয়। এখন বছরের অধিকাংশ সময় নদী-নালা শুষ্ক থাকায় সংবৎসর পানির আকাল লেগেই থাকে।
নদী বাঁচাতে না পারলে বা তা দূষণমুক্ত না থাকলে যেসব সম্ভাব্য ক্ষতির কথা পরিবেশবিদদের কাছ থেকে জানা যায়, তার মধ্যে একটি জীববৈচিত্র্যের দ্রুত বিলুপ্তি। জলচর মৎস্য শিকারি ভোঁদড় ইতিমধ্যেই হারিয়ে গেছে। আর হারিয়ে গেছে মৎস্য শিকারে লক্ষ্যভেদী মাছরাঙা পাখি। নদী বা জলাশয়সংলগ্ন এলাকায় সচরাচর মৎস্য শিকারি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাস।
চাই যাত্রী বা পণ্য পরিবহনের জন্য হোক বা নেহাৎ আনন্দ ভ্রমণের হোক- নদীর মতো এমন সুলভ ও পরিবেশবান্ধব উপায় আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই সর্বশক্তি নিয়োগ করে হলেও আমাদরকে আমাদের নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতেই হবে। যখনই বন্যা-প্লাবনের মতো দুর্যোগ দেশে হয়, তা নীরবে-নিঃশব্দে ভবিষ্যতের জন্যও দুর্যোগ সৃষ্টি করে। শুনেছি, যখনই বন্যা হয়, তা নাকি অন্ততপক্ষে দুই বিলিয়ন টন পলি বহন করে আনা ছাড়া উজানের দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য বহন করে আনে। ফলে নদীর প্রবাহ-পরিসর সংকুচিত হয় এবং জলযান চলাচলের জন্যও তা অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই এ মুহূর্তে আমাদের প্রায় সব নদীই নাব্যতা হারিয়েছে। তবে এই প্রযুক্তির যুগে এই নাব্যতা ফিরিয়ে আনা আজকাল কঠিন কিছু নয়।
সমস্যা এই যে অন্য ক্ষেত্রের মতো এখানে উদ্যোগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে সংগঠিত কোনো নদীশাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। কিন্তু আমরা আশাবাদী, প্রকৃতির এই অকৃপণ দান আমাদের নৌব্যবস্থাকে একটি বহুমুখী সম্ভাবনার দ্বারে পৌঁছিয়ে দিতে হবে। নতুবা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর কঠিন খেসারত দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে আমাদের নদীগুলোকে পুনরুদ্ধার রীতিমতো চ্যালেঞ্জের কাজ। কিন্তু আমাদের প্রকৃতিপ্রেমীগোষ্ঠী একটি সুসংহত পরিবেশ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা করবে বলে ভাবতে ভালো লাগছে। সুখের কথা হলো, দেরিতে হলেও এ দেশে পরিবেশ সচেতনতা দ্রুত লয়ে এগিয়েছে। আমাদের নদীগুলোকে সন্তানের মতো লালন করতে হবে।
লেখক : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইএসএস ও কলামিস্ট
ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। একসময়ের সবুজের হাতছানি দেওয়া দেশটি এখন খাঁ খাঁ করে। সমগ্র পরিবেশেই পড়েছে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া। অপঘাতে মৃত্যুবরণকারীদের জন্যও তবু বিলাপ করার কেউ না কেউ থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নীরবে মৃত্যুপথযাত্রী আমাদের নদীগুলোর কান্না কদাচিৎ কেউ শুনেছে। এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা তো দূরের কথা, অযত্ন-অবহেলায় নদীগুলোর বিলুপ্তিকে আমরা ত্বরান্বিত করেছি। মানুষের সুস্থ-সবলভাবে বেঁচে থাকার জন্য কত না উপাদানের প্রয়োজন হয়। নিঃসংশয়ে নদী ও অরণ্য তার অন্যতম। এগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনের এবং দানবসদৃশ বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব ঠেকায়। আমরা এই ভরা বসন্তেই চৈত্রের দাবদাহে ওষ্ঠাগতপ্রাণ, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির।
বছর দুই আগেও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও, ঢাকা বাঁচাওয়ের নামে একটি পরিবেশ আন্দোলন দানা বেঁধেছিল। তখন এই নিবন্ধকার এই আন্দোলনকে সম্প্রসারিত করে সারা দেশের তাবৎ নদীকে বাঁচানোর পক্ষে ওকালতি করেছিলেন। এখন দেখছি যে ঢাকাভিত্তিক বা সম্প্রসারিত নদী বাঁচাও আন্দোলন দুটোই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। অবশ্য কয়েক দিন আগে ব্রহ্মপুত্র থেকে পানিপ্রবাহকে ডাইভার্ট করে বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার একটি সংবাদ পড়েছিলাম। ভালো কথা। কিন্তু সেটাও তো হবে একটি সীমাবদ্ধ উদ্দেশ্য সাধনের উদ্যোগ। তবে অনেক দেশেই এমন খণ্ডিত উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে।
বার্নের (সুইজারল্যান্ড) অদূরে ব্যাসেল শহরে রয়েছে সুইসদের বিশাল ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প। কিন্তু রাইন নদীর প্রবাহকে দূষণমুক্ত রাখতে সুইসরা ওই অত্যন্ত লাভজনক শিল্প স্থাপনাগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছিল। তদ্রূপ আমরা যুগপৎ রাজধানী দূষণমুক্ত করার প্রয়াস নিতে পারি। কিন্তু তা অবশ্যই সারা দেশের নদীগুলোতে প্রাণসঞ্চারে বাধা হবে বলে আমি মনে করি না। দেশের মৃতপ্রায় নদীগুলোতে প্রাণসঞ্চার করতে পদক্ষেপ এখনই দরকার, দেশের মরুকরণ অবশ্যম্ভাবী।
অবশ্য দেশে নদী ধ্বংসের প্রধান কারণ নদীর উৎসে এবং প্রবাহপথে আমাদের নিয়ন্ত্রণহীনতা, ভারতের প্রস্তাবিত আন্তনদীসংযোগ এবং উজানে উজান দেশের প্রবাহপথে নানা প্রকল্প বা স্থাপনার মাধ্যমে বিঘ্ন সৃষ্টি। দৃষ্টান্তস্বরূপ- ফারাক্কা, টিপাইমুখ ইত্যাদি আমাদের অভিন্ন নদীগুলোকে ভাটিতে টুঁটি চেপে মেরেছে অথবা মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই দ্বিপক্ষীয় সমস্যা এবং বিরোধ সত্ত্বেও আমরা যেটুকু করতে পারতাম, আমরা তো তাও করিনি। আঞ্চলিকভাবে স্বনির্ভরতার ভিত্তিতে নদী খননের মধ্য দিয়ে নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয় কি? সংযোগ খাল খনন করেও একটি নদীর প্রবহমান অংশের সঙ্গে মৃত অংশের সংযোগ ঘটানো যায়। এতে করে হয়তো নদীর বিকীর্ণ ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব।
কৈশোরে বসতবাড়ির পুকুরকে বিস্তীর্ণ ক্ষেত-খামারের সঙ্গে সংযোজিত দেখেছি। এতে করে মৎস্যের একটি বিশাল আবাসন এলাকাও গড়ে ওঠে। সেকালে হিন্দু জমিদাররা স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার মতো নানা জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে বিশাল বিশাল দীঘি খনন করতেন। যাতে বিভিন্ন প্রয়োজনে এই দীঘির পানিই যথেষ্ট হয়। এখন বছরের অধিকাংশ সময় নদী-নালা শুষ্ক থাকায় সংবৎসর পানির আকাল লেগেই থাকে।
নদী বাঁচাতে না পারলে বা তা দূষণমুক্ত না থাকলে যেসব সম্ভাব্য ক্ষতির কথা পরিবেশবিদদের কাছ থেকে জানা যায়, তার মধ্যে একটি জীববৈচিত্র্যের দ্রুত বিলুপ্তি। জলচর মৎস্য শিকারি ভোঁদড় ইতিমধ্যেই হারিয়ে গেছে। আর হারিয়ে গেছে মৎস্য শিকারে লক্ষ্যভেদী মাছরাঙা পাখি। নদী বা জলাশয়সংলগ্ন এলাকায় সচরাচর মৎস্য শিকারি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাস।
চাই যাত্রী বা পণ্য পরিবহনের জন্য হোক বা নেহাৎ আনন্দ ভ্রমণের হোক- নদীর মতো এমন সুলভ ও পরিবেশবান্ধব উপায় আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই সর্বশক্তি নিয়োগ করে হলেও আমাদরকে আমাদের নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতেই হবে। যখনই বন্যা-প্লাবনের মতো দুর্যোগ দেশে হয়, তা নীরবে-নিঃশব্দে ভবিষ্যতের জন্যও দুর্যোগ সৃষ্টি করে। শুনেছি, যখনই বন্যা হয়, তা নাকি অন্ততপক্ষে দুই বিলিয়ন টন পলি বহন করে আনা ছাড়া উজানের দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য বহন করে আনে। ফলে নদীর প্রবাহ-পরিসর সংকুচিত হয় এবং জলযান চলাচলের জন্যও তা অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই এ মুহূর্তে আমাদের প্রায় সব নদীই নাব্যতা হারিয়েছে। তবে এই প্রযুক্তির যুগে এই নাব্যতা ফিরিয়ে আনা আজকাল কঠিন কিছু নয়।
সমস্যা এই যে অন্য ক্ষেত্রের মতো এখানে উদ্যোগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে সংগঠিত কোনো নদীশাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। কিন্তু আমরা আশাবাদী, প্রকৃতির এই অকৃপণ দান আমাদের নৌব্যবস্থাকে একটি বহুমুখী সম্ভাবনার দ্বারে পৌঁছিয়ে দিতে হবে। নতুবা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর কঠিন খেসারত দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে আমাদের নদীগুলোকে পুনরুদ্ধার রীতিমতো চ্যালেঞ্জের কাজ। কিন্তু আমাদের প্রকৃতিপ্রেমীগোষ্ঠী একটি সুসংহত পরিবেশ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা করবে বলে ভাবতে ভালো লাগছে। সুখের কথা হলো, দেরিতে হলেও এ দেশে পরিবেশ সচেতনতা দ্রুত লয়ে এগিয়েছে। আমাদের নদীগুলোকে সন্তানের মতো লালন করতে হবে।
লেখক : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইএসএস ও কলামিস্ট
No comments