জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নেইঃ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে দ্রুত নিয়োগ দিন
দেশে দেশে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য দূতাবাস তথা রাষ্ট্রদূত থাকা আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় একটি অপরিহার্য দিক। প্রাচীনকাল থেকেই দূত বিনিময়ের প্রথা প্রচলিত। বর্তমান বিশ্বে এর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে বহুগুণ। দূত এখন সংশ্লিষ্ট দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্র।
অন্য দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় প্রধানত রাষ্ট্রদূতকে কেন্দ্র করে। এক্ষেত্রে শূন্যতার সৃষ্টি হলে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে যে কোনো সময় সঙ্কট দেখা দেয়ার ঝুঁকি থাকে। ছোটবড় সব দেশের জন্যই এ কথা প্রযোজ্য। বিশেষ কারণে কূটনৈতিক সম্পর্কে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া সার্বক্ষণিকভাবে অন্য দেশে নিজ দেশের দূতাবাস সক্রিয় থাকা আবশ্যক। অথচ জার্মানির মতো উন্নত দেশে গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নেই। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন।
জানা গেছে, জার্মানিতে ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে পদটি ফাঁকা। এ সময়ে দু’জনকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলেও তাদের কেউই দায়িত্বে যোগ দেননি। শূন্যস্থান পূরণের জন্য ছয় মাস পর জরুরি সরকার তত্কালীন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিবকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়। জার্মান সরকার এ নিয়োগ অনুমোদন করলেও ওই সচিব তার দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। তার ব্যক্তিগত কিছু মর্জি পূরণ না হওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ও বিএনপি সরকারের আমলে ওএসডি করায় আলোচ্য সচিব মত বদলালেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাননি। এরপর ২০০৯ সালের মে মাসে আওয়ামী লীগ সরকার জনৈক সাবেক কূটনীতিককে জার্মানিতে রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ দেয় চুক্তিভিত্তিতে। শেষ পর্যন্ত তিনিও দায়িত্ব না নেয়ায় তার নিয়োগ বাতিল করা হয়। এই হচ্ছে দুই বছর ধরে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত না থাকার শানেনজুল। শোনা যাচ্ছে, সেখানে নতুন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কি নাগাদ তিনি জার্মানিতে দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেবেন তা এখনও অনিশ্চিত।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জার্মানির মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশে রাষ্ট্রদূত না থাকা পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কমবেশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এতে যেমন বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাবনাও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ঢাকার জার্মান দূতাবাসও তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। জার্মান দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সম্প্রতি জানিয়েছেন, জার্মানি বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্ব দেয় এবং দেশটি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগীও বটে। অথচ ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত আছেন কিন্তু বার্লিনে নেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এ পরিস্থিতি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভালো নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এতসব জানার পরেও সরকার কেন এখনও জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিচ্ছে না? এ প্রশ্নের আপাতত একটি জবাব পাওয়া গেছে বর্তমান পররাষ্ট্র সচিবের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, আমরা জার্মানিতে নতুন করে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করছি। কিন্তু এটাকে লাগসই জবাব বলা যায় না এজন্য যে, এই প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে তিনি সে কথা স্পষ্ট করে বলেননি। কিন্তু দুই বছর তো কম সময় নয়। জার্মানির মতো উন্নত দেশে এই দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রদূত নেই, সেখানে নিয়োগ দেয়া সত্ত্বেও এর মধ্যে কেউ যোগদান করেননি, এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে—এ সবকিছুতেই বড় হয়ে উঠছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দীনতা। এটা আমাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। আমাদের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার উন্নয়নের ব্যবস্থা নেবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিগত দু’বছরের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্যও দ্রুত রষ্ট্রদূত নিয়োগের বিকল্প নেই।
জানা গেছে, জার্মানিতে ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে পদটি ফাঁকা। এ সময়ে দু’জনকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলেও তাদের কেউই দায়িত্বে যোগ দেননি। শূন্যস্থান পূরণের জন্য ছয় মাস পর জরুরি সরকার তত্কালীন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিবকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়। জার্মান সরকার এ নিয়োগ অনুমোদন করলেও ওই সচিব তার দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। তার ব্যক্তিগত কিছু মর্জি পূরণ না হওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ও বিএনপি সরকারের আমলে ওএসডি করায় আলোচ্য সচিব মত বদলালেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাননি। এরপর ২০০৯ সালের মে মাসে আওয়ামী লীগ সরকার জনৈক সাবেক কূটনীতিককে জার্মানিতে রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ দেয় চুক্তিভিত্তিতে। শেষ পর্যন্ত তিনিও দায়িত্ব না নেয়ায় তার নিয়োগ বাতিল করা হয়। এই হচ্ছে দুই বছর ধরে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত না থাকার শানেনজুল। শোনা যাচ্ছে, সেখানে নতুন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কি নাগাদ তিনি জার্মানিতে দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেবেন তা এখনও অনিশ্চিত।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জার্মানির মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশে রাষ্ট্রদূত না থাকা পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কমবেশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এতে যেমন বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাবনাও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ঢাকার জার্মান দূতাবাসও তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। জার্মান দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সম্প্রতি জানিয়েছেন, জার্মানি বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্ব দেয় এবং দেশটি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগীও বটে। অথচ ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত আছেন কিন্তু বার্লিনে নেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এ পরিস্থিতি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভালো নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এতসব জানার পরেও সরকার কেন এখনও জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিচ্ছে না? এ প্রশ্নের আপাতত একটি জবাব পাওয়া গেছে বর্তমান পররাষ্ট্র সচিবের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, আমরা জার্মানিতে নতুন করে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করছি। কিন্তু এটাকে লাগসই জবাব বলা যায় না এজন্য যে, এই প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে তিনি সে কথা স্পষ্ট করে বলেননি। কিন্তু দুই বছর তো কম সময় নয়। জার্মানির মতো উন্নত দেশে এই দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রদূত নেই, সেখানে নিয়োগ দেয়া সত্ত্বেও এর মধ্যে কেউ যোগদান করেননি, এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে—এ সবকিছুতেই বড় হয়ে উঠছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দীনতা। এটা আমাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। আমাদের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার উন্নয়নের ব্যবস্থা নেবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিগত দু’বছরের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্যও দ্রুত রষ্ট্রদূত নিয়োগের বিকল্প নেই।
No comments