যা নিয়ে আছি-শ্রীকান্ত ও শেষের কবিতা
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, জাতীয় অধ্যাপক। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষকতা, লেখালেখি ও গবেষণা করছেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৫০। বাংলা একাডেমী, একুশে পদকসহ উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। নাওয়া-খাওয়া পর্যন্ত ভুলে যাই
আমার নেশা বই পড়া। নাওয়া-খাওয়া পর্যন্ত ভুলে যাই। বাবার কাছে এ জন্য প্রহূত হয়েছি। চোখের অসুখের কারণে এখন বই পড়তে কষ্ট হয়। ভালো লাগে কথাসাহিত্য, আত্মজীবনীমূলক রচনা, ভ্রমণকাহিনি ও গবেষণাধর্মী বই পড়তে। প্রিয় বই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরে বাইরে, শেষের কবিতা, বিসর্জন, তাসের দেশ; শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রীকান্ত। বারবার পড়া বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: শ্রীকান্ত ও শেষের কবিতা। পড়া থেকেই লেখালেখির প্রতি আগ্রহ জন্মে। রুটিন করে কখনো লেখালেখি করি না, মনের ওপর চাপ এলে তখনই লিখি।
আবাল্য দুর্বলতা
গান শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। আবাল্য আমার গানের প্রতি দুর্বলতা। প্রতিদিনই গান শুনি। প্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, ভাটিয়ালি ও লালনগীতি। প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আব্বাসউদ্দীন আহমেদ, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, আবদুল আলীম, আবদুল লতিফ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মিতা হক ও নন্দিতা ইয়াসমিন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম
বাবার চাকরির সূত্রে আমার বহু জায়গায় থাকা ও বেড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। কলকাতা হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত আটটি স্কুলে পড়েছি। দুটি কলেজ আনন্দমোহন ও সুরেন্দ্রনাথে পড়েছি। দেশের ভেতরে পার্বত্য চট্টগ্রাম আমার বেশি প্রিয়। দেশের বাইরে উত্তর কোরিয়া, চীন ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ভালো লাগে। বারবার যেতে ইচ্ছা করে লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, বোস্টন, দিল্লি, পুরী ও কলকাতায়।
অবসর কখনো পাইনি
অবসর বা অবকাশ বলতে যা বোঝায়, তা আমি কখনো পাইনি।
সারা জীবন রুটিন কাজের বাইরে আরও অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি। ক্লাসে পড়ানোর বাইরে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন, লেখালেখি, গবেষণা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত সময় কেটেছে আমার। এখন অবসর কাটে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটাহাঁটি ও বই পড়ে।
আড্ডাবাজ মানুষ
খেলাধুলা, সাহিত্য আর ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নেশার মতো ছিল মধুর ক্যানটিনের আড্ডা। পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ, সওগাত অফিস ও বিউটি বোর্ডিংয়ের আড্ডার স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। আড্ডায় অনেকে হতাশার কথা বলে, যা ঠিক নয়। আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা ইতিহাসের সন্তান। ইতিহাস আমাদের পক্ষে। সুতরাং, আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: আহমেদ হোসেনআবাল্য দুর্বলতা
গান শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। আবাল্য আমার গানের প্রতি দুর্বলতা। প্রতিদিনই গান শুনি। প্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, ভাটিয়ালি ও লালনগীতি। প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আব্বাসউদ্দীন আহমেদ, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, আবদুল আলীম, আবদুল লতিফ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মিতা হক ও নন্দিতা ইয়াসমিন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম
বাবার চাকরির সূত্রে আমার বহু জায়গায় থাকা ও বেড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। কলকাতা হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত আটটি স্কুলে পড়েছি। দুটি কলেজ আনন্দমোহন ও সুরেন্দ্রনাথে পড়েছি। দেশের ভেতরে পার্বত্য চট্টগ্রাম আমার বেশি প্রিয়। দেশের বাইরে উত্তর কোরিয়া, চীন ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ভালো লাগে। বারবার যেতে ইচ্ছা করে লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, বোস্টন, দিল্লি, পুরী ও কলকাতায়।
অবসর কখনো পাইনি
অবসর বা অবকাশ বলতে যা বোঝায়, তা আমি কখনো পাইনি।
সারা জীবন রুটিন কাজের বাইরে আরও অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি। ক্লাসে পড়ানোর বাইরে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন, লেখালেখি, গবেষণা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত সময় কেটেছে আমার। এখন অবসর কাটে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটাহাঁটি ও বই পড়ে।
আড্ডাবাজ মানুষ
খেলাধুলা, সাহিত্য আর ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নেশার মতো ছিল মধুর ক্যানটিনের আড্ডা। পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ, সওগাত অফিস ও বিউটি বোর্ডিংয়ের আড্ডার স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। আড্ডায় অনেকে হতাশার কথা বলে, যা ঠিক নয়। আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা ইতিহাসের সন্তান। ইতিহাস আমাদের পক্ষে। সুতরাং, আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
No comments