পাহাড় আবার অশান্ত-চাই শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন
পাহাড় আবার অশান্ত। আবার রক্তপাত! কবে শান্তি আসবে পাহাড়ে! পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বরকল উপজেলার মিতিঙ্গাছড়িতে গত শনিবার দুর্বৃত্তদের গুলিতে শান্তিচুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
ইউপিডিএফ এ ঘটনার জন্য শান্তিচুক্তির পক্ষে থাকা পাহাড়িদের অপর সংগঠন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে। জেএসএস সে দাবি অস্বীকার করেছে। ফলে পাহাড়ে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শান্তিচুক্তির আগে পাহাড়ে সরকার ও শান্তিবাহিনীর মধ্যে দ্বিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটত। চুক্তির পর চুক্তির বিরোধিতা করে ইউপিডিএফ সক্রিয় হলে শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘাত। এদিকে পাহাড়ে এখন বসতি স্থাপনকারী বাঙালিদের সংখ্যাও প্রায় সমানে সমান। কোথাও কোথাও তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে তাদের সঙ্গেও প্রায়ই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। এ প্রসঙ্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনাটি স্মরণ করা যেতে পারে। রাঙামাটিরই বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি-বাঙালি-সরকারি বাহিনীগুলোর ত্রিমুখী সংঘর্ষের সেই ঘটনায় বহু লোক হতাহত হয়েছিল। শতাধিক বাড়িঘরে অগি্নসংযোগ করা হয়েছিল। কাজেই পাহাড়ে চলতে থাকা এই চতুর্মুখী লড়াই অদূর ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে, তা ভাবতেও কষ্ট হয়।
শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর এক যুগেরও বেশি সময় পার হয়েছে, কিন্তু শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের চিত্র এখনো আশাব্যঞ্জক নয়। ফলে শান্তিচুক্তির পর শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের যে স্বপ্ন দেখেছিল পাহাড়ের অধিবাসীরা, তাও এখন হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। তারাও ক্রমেই হতাশ হচ্ছে। অপরদিকে পাহাড়িদের মধ্যে শান্তিচুক্তি না মানা লোকের সংখ্যাও কম নয়। দীর্ঘদিন থেকে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের সমানে সমান লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে। আবার সেখানে বসতি স্থাপনকারী বাঙালিরাও শুরু থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে। সর্বোপরি দেশের প্রধান কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শান্তিচুক্তির পক্ষে নয়। তাদের একটি অংশ পাহাড়ের পরিস্থিতি অশান্ত করার জন্য নানাভাবে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। এ অবস্থায় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হলেই যে পাহাড়ে শান্তি চলে আসবে, তাও বলা যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও পাহাড়ে যে হানাহানি এবং জীবনহানির ঘটনা ঘটছে, তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আর সে জন্য সবার আগে প্রয়োজন সেখানে থাকা অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা। প্রয়োজনে সে জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে, দরকার হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাসহ সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগাতে হবে। পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা বর্তমান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা কারণে চুক্তির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে। বর্তমান সরকারকে তাই দ্রুততম সময়ে চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আর কেবল চুক্তি বাস্তবায়ন করলেই হবে না, একই সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নের পর যাতে পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।
শান্তিচুক্তির আগে পাহাড়ে সরকার ও শান্তিবাহিনীর মধ্যে দ্বিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটত। চুক্তির পর চুক্তির বিরোধিতা করে ইউপিডিএফ সক্রিয় হলে শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘাত। এদিকে পাহাড়ে এখন বসতি স্থাপনকারী বাঙালিদের সংখ্যাও প্রায় সমানে সমান। কোথাও কোথাও তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে তাদের সঙ্গেও প্রায়ই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। এ প্রসঙ্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনাটি স্মরণ করা যেতে পারে। রাঙামাটিরই বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি-বাঙালি-সরকারি বাহিনীগুলোর ত্রিমুখী সংঘর্ষের সেই ঘটনায় বহু লোক হতাহত হয়েছিল। শতাধিক বাড়িঘরে অগি্নসংযোগ করা হয়েছিল। কাজেই পাহাড়ে চলতে থাকা এই চতুর্মুখী লড়াই অদূর ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে, তা ভাবতেও কষ্ট হয়।
শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর এক যুগেরও বেশি সময় পার হয়েছে, কিন্তু শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের চিত্র এখনো আশাব্যঞ্জক নয়। ফলে শান্তিচুক্তির পর শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের যে স্বপ্ন দেখেছিল পাহাড়ের অধিবাসীরা, তাও এখন হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। তারাও ক্রমেই হতাশ হচ্ছে। অপরদিকে পাহাড়িদের মধ্যে শান্তিচুক্তি না মানা লোকের সংখ্যাও কম নয়। দীর্ঘদিন থেকে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের সমানে সমান লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে। আবার সেখানে বসতি স্থাপনকারী বাঙালিরাও শুরু থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে। সর্বোপরি দেশের প্রধান কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শান্তিচুক্তির পক্ষে নয়। তাদের একটি অংশ পাহাড়ের পরিস্থিতি অশান্ত করার জন্য নানাভাবে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। এ অবস্থায় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হলেই যে পাহাড়ে শান্তি চলে আসবে, তাও বলা যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও পাহাড়ে যে হানাহানি এবং জীবনহানির ঘটনা ঘটছে, তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আর সে জন্য সবার আগে প্রয়োজন সেখানে থাকা অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা। প্রয়োজনে সে জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে, দরকার হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাসহ সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগাতে হবে। পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা বর্তমান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা কারণে চুক্তির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে। বর্তমান সরকারকে তাই দ্রুততম সময়ে চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আর কেবল চুক্তি বাস্তবায়ন করলেই হবে না, একই সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নের পর যাতে পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।
No comments