'নাই' করদাতা!
'নাই' করদাতার ছড়াছড়ি_এই শিরোনামে ২১ মে কালের কণ্ঠের শীর্ষ প্রতিবেদনে যে চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে তা একদিকে বিস্ময়কর, অন্যদিকে প্রশ্নবোধকও। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব অনুসন্ধানেও যেসব তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে, তাও যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপের সন্ধান পাওয়ার মতো।
কাগজপত্রে আয়কর ও ভ্যাট এই দুই খাতেই ব্যক্তি ও কম্পানি পর্যায়ে করদাতার সংখ্যা বাড়ছে বটে, কিন্তু এর বেশির ভাগই কর দেয় না। মোট ২৮ লাখ নিবন্ধিত করদাতার মাত্র ২৯ শতাংশ রিটার্ন জমা দেয়, বাকি ৬১ শতাংশই লাপাত্তা। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, ট্যাঙ্পেয়ারস আইডেনটিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) নেওয়ার মাধ্যমে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা কাগজে-কলমে বাড়লেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। ২৮ লাখের মধ্যে মাত্র ১১ লাখ করদাতা টিআইএন জমা দেয়, কিন্তু তাদের সবাই কর দেয় না।
কর প্রদান একটি উন্নত সংস্কৃতি। করদানযোগ্য রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক কিংবা কম্পানি মাত্রই কর প্রদানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠ হবে_এটাই একটি সভ্য, গণতান্ত্রিক, রাজনীতি মেনে চলা নাগরিক সমাজের কর্তব্য ও দায়িত্ব। কিন্তু এ দেশে কর প্রদানের ক্ষেত্রে যে চিত্র পরিলক্ষিত হয়, তা শুভপ্রদ নয়। প্রকৃত করদাতা যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হবে_সেটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রেরও এমন করদাতাদের ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ থাকার দরকার রয়েছে। কালের কণ্ঠের ওই প্রতিবেদনে খোদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নানা দুর্বলতা, অদক্ষতা, অদূরদর্শিতার বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়েছে। রাজস্ব খাতে প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়টি নানা মহল থেকে বারবার আলোচনায় এলেও এর কোনো সুফল মিলছে না। প্রকৃত ভ্যাট ও করদাতাদের এনবিআরের নজরদারিতে আনার সব রকম প্রতিবন্ধকতা দূর করতে না পারলে রাষ্ট্রের ক্ষতি ক্রমেই স্ফীত হবে এবং বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়।
একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজস্ব খাত অবশ্যই অতি জরুরি এবং এর জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু ও দূরদর্শী নীতিমালা। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বিষয়টির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে বিদেশি পিএসআই সংস্থাকে দিয়ে শুল্ক ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ অব্যাহত রাখলে সরকারের, প্রকারান্তরে রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক ক্ষতি। এ জন্য দরকার শুল্ক বিভাগের যথাযথ সক্ষমতা। রাজস্ব খাতে এ পর্যন্ত কাজকর্ম যেটুকু হয়েছে, এর প্রায় সবই বিচ্ছিন্ন ও বিঘি্নত। এর জন্য দরকার মাঠপর্যায়ে একটি শক্তিশালী অবকাঠামো। একই সঙ্গে করদাতাদের হয়রানি করার যেসব অভিযোগ রয়েছে, তারও অবসান ঘটিয়ে কর ও ভ্যাট প্রদানে মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। করদাতাদের রাষ্ট্রের সম্মানিত ও ন্যায়সংগত সুযোগ-সুবিধাভোগী নাগরিক হিসেবে গণ্য করতে হবে। বৃহৎ স্বার্থে কাজগুলো যত ত্বরিত সম্পন্ন হবে ততই মঙ্গল।
কর প্রদান একটি উন্নত সংস্কৃতি। করদানযোগ্য রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক কিংবা কম্পানি মাত্রই কর প্রদানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠ হবে_এটাই একটি সভ্য, গণতান্ত্রিক, রাজনীতি মেনে চলা নাগরিক সমাজের কর্তব্য ও দায়িত্ব। কিন্তু এ দেশে কর প্রদানের ক্ষেত্রে যে চিত্র পরিলক্ষিত হয়, তা শুভপ্রদ নয়। প্রকৃত করদাতা যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হবে_সেটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রেরও এমন করদাতাদের ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ থাকার দরকার রয়েছে। কালের কণ্ঠের ওই প্রতিবেদনে খোদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নানা দুর্বলতা, অদক্ষতা, অদূরদর্শিতার বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়েছে। রাজস্ব খাতে প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়টি নানা মহল থেকে বারবার আলোচনায় এলেও এর কোনো সুফল মিলছে না। প্রকৃত ভ্যাট ও করদাতাদের এনবিআরের নজরদারিতে আনার সব রকম প্রতিবন্ধকতা দূর করতে না পারলে রাষ্ট্রের ক্ষতি ক্রমেই স্ফীত হবে এবং বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়।
একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজস্ব খাত অবশ্যই অতি জরুরি এবং এর জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু ও দূরদর্শী নীতিমালা। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বিষয়টির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে বিদেশি পিএসআই সংস্থাকে দিয়ে শুল্ক ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ অব্যাহত রাখলে সরকারের, প্রকারান্তরে রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক ক্ষতি। এ জন্য দরকার শুল্ক বিভাগের যথাযথ সক্ষমতা। রাজস্ব খাতে এ পর্যন্ত কাজকর্ম যেটুকু হয়েছে, এর প্রায় সবই বিচ্ছিন্ন ও বিঘি্নত। এর জন্য দরকার মাঠপর্যায়ে একটি শক্তিশালী অবকাঠামো। একই সঙ্গে করদাতাদের হয়রানি করার যেসব অভিযোগ রয়েছে, তারও অবসান ঘটিয়ে কর ও ভ্যাট প্রদানে মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। করদাতাদের রাষ্ট্রের সম্মানিত ও ন্যায়সংগত সুযোগ-সুবিধাভোগী নাগরিক হিসেবে গণ্য করতে হবে। বৃহৎ স্বার্থে কাজগুলো যত ত্বরিত সম্পন্ন হবে ততই মঙ্গল।
No comments