ধর্ম-সেহির খাওয়ার গুরুত্ব ও উপকারিতা by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
মাহে রমজানে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে শেষ রাতে উষা উদয়ের আগে যে পানাহার করা হয়, তা সেহির হিসেবে পরিচিত। ‘সেহির’ উর্দু শব্দ, মূল আরবি ‘সুহুর’; এর শাব্দিক অর্থ নিদ্রা ভঙ্গ, ঘুম থেকে জেগে ওঠা, রাত্রি জাগরণ প্রভৃতি। রোজা পালনের জন্য সুবহে সাদিকের পূর্বে ভোররাতে যা কিছু খাওয়া হয়, একে উর্দুতে ‘সাহির’ আর আরবিতে ‘সুহুর’ বলা হয়।
প্রচলিতভাবে সেহির এদেশীয় উচ্চারণ। রোজা পালনের জন্য সেহির খাওয়া সুন্নত ও অধিক সওয়াবের কাজ। সেহির খাওয়ার মধ্যে অফুরন্ত রহমত, বরকত, নিয়ামত ও কল্যাণ আছে। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা সেহির খাও, কারণ সেহির খাওয়ার মধ্যে বরকত নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সেহির খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখার শক্তি অর্জিত হয়। এতে করে রোজার কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সেহির খেলে রোজাদার সহজে দুর্বল ও মনোবলহীন হয়ে পড়েন না, সারা দিন দীর্ঘ সময়ের উপবাস বা অনাহারে থাকলেও কর্মঠ থাকার প্রাণশক্তি পান এবং সিয়াম পালন সহ্যসীমার মধ্যে থাকে। রমজান মাসে শেষ রাতে ক্ষুধা না থাকলেও অন্তত দু-একটি খোরমা বা খেজুর অথবা অন্য কোনো জিনিস খাবেন। কিছু না হলে একটু পানি পান করবেন। এতে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। পেট ভরে সেহির খাওয়া জরুরি নয়, সামান্য খাবারই যথেষ্ট। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যদি কিছু না জোটে তবে একটি খেজুর এবং এক গ্লাস পানি পান করো।’ হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা সেহির খাও! যদিও তা এক ঢোক পানিও হয়।’ অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘তোমরা সেহির খাও! যদিও তা এক লোকমা হয়।’
রমজান মাসে সেহির যথাসম্ভব দেরি করে খাওয়া ভালো। তবে এত বেশি দেরি করা উচিত নয়, যাতে সুবহে সাদিক হওয়ার আশঙ্কা হয় এবং রোজার মধ্যে সন্দেহ চলে আসে। যদি সেহির খেতে বিলম্ব্ব হয় এবং এ ধারণা প্রবল হয় যে ভোর হওয়ার পর কিছু পানাহার করেছে, তবে এই অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার ত্যাগ করা এবং পরে ওই রোজার কাজা আদায় করা ওয়াজিব। সুবহে সাদিকের আগে রাতের শেষ ভাগে সেহির খাওয়া মুস্তাহাব বা পছন্দনীয়। রোজাদার ব্যক্তির যেন সাধ্যাতীত কোনো কষ্ট না হয়, এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) সেহিরকে সুন্নত এবং বিলম্বে সেহির গ্রহণ করাকে মুস্তাহাব ঘোষণা করেছেন।
মাহে রমজানে সেহির খাওয়ার আসল সময় সূর্যাস্ত থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত যে কয় ঘণ্টা সময়, তার ছয় ভাগের শেষ ভাগ। যদি কেউ এর আগে ভাত খান; কিন্তু চা, পান ইত্যাদি এ ষষ্ঠাংশে করেন, এতেও মুস্তাহাবের সওয়াব পাবেন। যদি শেষ রাতে ঘুম না ভাঙে এবং এ জন্য সেহির খেতে না পারেন, তাহলে সেহির না খেয়ে রোজা রাখবেন। সেহির না খাওয়ার কারণে রোজা ছেড়ে দেওয়া বড়ই গুনাহের কাজ। আর যদি নিদ্রা বা অন্য কোনো কারণবশত কেউ সেহির খেতে না পারেন, তাহলে সেহির না খাওয়াতে তাঁর রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সুবহে সাদিক না হয় অর্থাৎ পূর্ব দিগন্তে সাদা বর্ণ না দেখা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেহির খাওয়া দুরস্ত আছে। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে তারপর আর কিছু খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ নেই।
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত অনুগ্রহ করে বিশ্বনবী (সা.)-এর উম্মতদের মাহে রমজানে ক্ষুধা-তৃষ্ণা অনেকাংশে লাঘব করার উদ্দেশ্যে এবং তাঁরা যাতে পূর্ণ ৩০ দিন ক্রমাগতভাবে রোজা রাখতে সক্ষম হন, সে জন্য ভোররাতে সেহির খাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেহির খাওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা পানাহার করো, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৭)
মাহে রমজানে সেহির রোজাদারের মনে সাহস সঞ্চার করে থাকে। নবী করিম (সা.)-এর মহানুভব হূদয় তাঁর উম্মতে মুসলিমার প্রতি অনুকম্পা ও সহূদয়তা প্রকাশের মাধ্যমে সেহির গ্রহণ করে রোজার নির্দেশ দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং সেহির খেয়েছেন এবং অন্যদের খাওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তাঁর অনুসারী সাহাবায়ে কিরামও সেহির খেয়ে রোজা রাখতেন। এ সম্পর্কে সাহাবি হজরত যায়িদ ইবনে সাবিত (রা.) বলেছেন, ‘আমরা রাসুলে করিম (সা.)-এর সঙ্গে খেয়েছি। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেহির ও নামাজের মধ্যে (ফজরের) কী পরিমাণ সময় ছিল? তিনি উত্তরে বললেন, পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াতের সমান।’ মোট কথা, সেহির দেরিতে খাওয়া উত্তম। আগেভাগে খেয়ে নেওয়া সুন্নতের বরখেলাফ।
রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তি যদি নিয়মিত সেহির না খান, তাহলে অত্যন্ত ক্লান্ত-শ্রান্ত-অবসন্ন হয়ে পড়বেন। ফলে পরের দিন রোজা রাখার সাহস হারিয়ে ফেলবেন এবং কাহিল হয়ে পড়তে পারেন। পক্ষান্তরে ওই রোজাদার ব্যক্তি যদি শেষ রাতে পরিমাণমতো সেহির খেয়ে পুরো দিন না খেয়ে থাকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন, তবে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে মজবুত থাকেন এবং অতিশয় ক্ষুধায় তেমন কষ্ট পাবেন না। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সেহির বরকতময়, আল্লাহ তোমাদের যা দান করেছেন তা তোমরা ত্যাগ কোরো না।’
ধনী-গরিব আপামর রোজাদার এভাবে রোজার মাসে ত্যাগ-তিতিক্ষার অনুশীলনের মাধ্যমে সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হন। সেহিরর ফজিলত সম্পর্কে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতারা সেহির গ্রহণকারীদের জন্য দোয়া করে থাকেন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সেহির খায় তার ওপর আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ রহমত বর্ষণ করেন।’ (তাবারানি)
ইসলামের প্রতিটি ইবাদতকে সহজ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষ ইবাদতের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এ জন্য কোনো কাজের নির্দিষ্ট পরিসীমা থাকা দরকার। যদি রাসুলে করিম (সা.) রোজার সীমা নির্ধারণ করে না দিতেন, তাহলে রোজাদারদের নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) সেহির ও ইফতারের সীমা নির্ধারণ করে উম্মতের জন্য রোজা পালন সহজ করে দিয়েছেন। সুতরাং রোজাদারদের সময়মতো মাহে রমজানে সেহির খাওয়া উচিত।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
সেহির খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখার শক্তি অর্জিত হয়। এতে করে রোজার কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সেহির খেলে রোজাদার সহজে দুর্বল ও মনোবলহীন হয়ে পড়েন না, সারা দিন দীর্ঘ সময়ের উপবাস বা অনাহারে থাকলেও কর্মঠ থাকার প্রাণশক্তি পান এবং সিয়াম পালন সহ্যসীমার মধ্যে থাকে। রমজান মাসে শেষ রাতে ক্ষুধা না থাকলেও অন্তত দু-একটি খোরমা বা খেজুর অথবা অন্য কোনো জিনিস খাবেন। কিছু না হলে একটু পানি পান করবেন। এতে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। পেট ভরে সেহির খাওয়া জরুরি নয়, সামান্য খাবারই যথেষ্ট। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যদি কিছু না জোটে তবে একটি খেজুর এবং এক গ্লাস পানি পান করো।’ হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা সেহির খাও! যদিও তা এক ঢোক পানিও হয়।’ অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘তোমরা সেহির খাও! যদিও তা এক লোকমা হয়।’
রমজান মাসে সেহির যথাসম্ভব দেরি করে খাওয়া ভালো। তবে এত বেশি দেরি করা উচিত নয়, যাতে সুবহে সাদিক হওয়ার আশঙ্কা হয় এবং রোজার মধ্যে সন্দেহ চলে আসে। যদি সেহির খেতে বিলম্ব্ব হয় এবং এ ধারণা প্রবল হয় যে ভোর হওয়ার পর কিছু পানাহার করেছে, তবে এই অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার ত্যাগ করা এবং পরে ওই রোজার কাজা আদায় করা ওয়াজিব। সুবহে সাদিকের আগে রাতের শেষ ভাগে সেহির খাওয়া মুস্তাহাব বা পছন্দনীয়। রোজাদার ব্যক্তির যেন সাধ্যাতীত কোনো কষ্ট না হয়, এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) সেহিরকে সুন্নত এবং বিলম্বে সেহির গ্রহণ করাকে মুস্তাহাব ঘোষণা করেছেন।
মাহে রমজানে সেহির খাওয়ার আসল সময় সূর্যাস্ত থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত যে কয় ঘণ্টা সময়, তার ছয় ভাগের শেষ ভাগ। যদি কেউ এর আগে ভাত খান; কিন্তু চা, পান ইত্যাদি এ ষষ্ঠাংশে করেন, এতেও মুস্তাহাবের সওয়াব পাবেন। যদি শেষ রাতে ঘুম না ভাঙে এবং এ জন্য সেহির খেতে না পারেন, তাহলে সেহির না খেয়ে রোজা রাখবেন। সেহির না খাওয়ার কারণে রোজা ছেড়ে দেওয়া বড়ই গুনাহের কাজ। আর যদি নিদ্রা বা অন্য কোনো কারণবশত কেউ সেহির খেতে না পারেন, তাহলে সেহির না খাওয়াতে তাঁর রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সুবহে সাদিক না হয় অর্থাৎ পূর্ব দিগন্তে সাদা বর্ণ না দেখা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেহির খাওয়া দুরস্ত আছে। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে তারপর আর কিছু খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ নেই।
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত অনুগ্রহ করে বিশ্বনবী (সা.)-এর উম্মতদের মাহে রমজানে ক্ষুধা-তৃষ্ণা অনেকাংশে লাঘব করার উদ্দেশ্যে এবং তাঁরা যাতে পূর্ণ ৩০ দিন ক্রমাগতভাবে রোজা রাখতে সক্ষম হন, সে জন্য ভোররাতে সেহির খাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেহির খাওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা পানাহার করো, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৭)
মাহে রমজানে সেহির রোজাদারের মনে সাহস সঞ্চার করে থাকে। নবী করিম (সা.)-এর মহানুভব হূদয় তাঁর উম্মতে মুসলিমার প্রতি অনুকম্পা ও সহূদয়তা প্রকাশের মাধ্যমে সেহির গ্রহণ করে রোজার নির্দেশ দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং সেহির খেয়েছেন এবং অন্যদের খাওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তাঁর অনুসারী সাহাবায়ে কিরামও সেহির খেয়ে রোজা রাখতেন। এ সম্পর্কে সাহাবি হজরত যায়িদ ইবনে সাবিত (রা.) বলেছেন, ‘আমরা রাসুলে করিম (সা.)-এর সঙ্গে খেয়েছি। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেহির ও নামাজের মধ্যে (ফজরের) কী পরিমাণ সময় ছিল? তিনি উত্তরে বললেন, পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াতের সমান।’ মোট কথা, সেহির দেরিতে খাওয়া উত্তম। আগেভাগে খেয়ে নেওয়া সুন্নতের বরখেলাফ।
রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তি যদি নিয়মিত সেহির না খান, তাহলে অত্যন্ত ক্লান্ত-শ্রান্ত-অবসন্ন হয়ে পড়বেন। ফলে পরের দিন রোজা রাখার সাহস হারিয়ে ফেলবেন এবং কাহিল হয়ে পড়তে পারেন। পক্ষান্তরে ওই রোজাদার ব্যক্তি যদি শেষ রাতে পরিমাণমতো সেহির খেয়ে পুরো দিন না খেয়ে থাকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন, তবে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে মজবুত থাকেন এবং অতিশয় ক্ষুধায় তেমন কষ্ট পাবেন না। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সেহির বরকতময়, আল্লাহ তোমাদের যা দান করেছেন তা তোমরা ত্যাগ কোরো না।’
ধনী-গরিব আপামর রোজাদার এভাবে রোজার মাসে ত্যাগ-তিতিক্ষার অনুশীলনের মাধ্যমে সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হন। সেহিরর ফজিলত সম্পর্কে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতারা সেহির গ্রহণকারীদের জন্য দোয়া করে থাকেন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সেহির খায় তার ওপর আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ রহমত বর্ষণ করেন।’ (তাবারানি)
ইসলামের প্রতিটি ইবাদতকে সহজ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষ ইবাদতের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এ জন্য কোনো কাজের নির্দিষ্ট পরিসীমা থাকা দরকার। যদি রাসুলে করিম (সা.) রোজার সীমা নির্ধারণ করে না দিতেন, তাহলে রোজাদারদের নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) সেহির ও ইফতারের সীমা নির্ধারণ করে উম্মতের জন্য রোজা পালন সহজ করে দিয়েছেন। সুতরাং রোজাদারদের সময়মতো মাহে রমজানে সেহির খাওয়া উচিত।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments