ভোলায় আদালত স্থানান্তর আইনজীবীদের আপত্তি by নেয়ামতউল্যাহ
বিচারপ্রার্থীরা যেন কম ভোগান্তিতে দ্রুত বিচার পান, এ জন্য ভোলা জেলা শহর থেকে মফস্বলে আদালত স্থানান্তর হচ্ছে। কিন্তু আদালত জনগণের দোরগোড়ায় গেলেও বিচারপ্রার্থীর ভোগান্তি আরও বাড়ছে। এমনই দাবি ভোলার আইনজীবীদের। তাঁরা জানান, আইন মন্ত্রণালয় বেআইনি আদেশবলে জেলা থেকে মফস্বলে আদালত পাঠাচ্ছে, তা বাতিল করা হোক।
গত ৫ জানুয়ারি ভোলা জেলা জজ আদালত থেকে ‘লালমোহন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত ও জ্যেষ্ঠ সহকারী বিচারিক হাকিমি আদালত’ লালমোহন উপজেলায় স্থানান্তরের আদেশ এসেছে আইন মন্ত্রণালয় থেকে। এ আদেশ বাতিলের দাবিতে ভোলা আইনজীবী সমিতি মানববন্ধন, প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ, সংবাদ সম্মেলনসহ ব্যাপক কর্মসূচি পালন করেছে।
১১ ফেব্রুয়ারি শতাধিক আইনজীবী মহুরিও ভোলা-গাজীপুর সড়কে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন। তখন লিখিতভাবে জানান, ‘বিচার বিভাগ পৃথক্করণের পরে প্রধান বিচারপতির নিয়ন্ত্রণে সব অধস্তন আদালত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। জেলা থেকে আদালত স্থানান্তরের দায়িত্ব একমাত্র প্রধান বিচারপতির। আইন মন্ত্রণালয় বেআইনিভাবে প্রশাসনিক আদেশ বলে আদালত স্থানান্তর করছে, যা আইনের পরিপন্থী।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে বারবার আদালত জেলা শহর থেকে মফস্বলে স্থানান্তরের প্রশাসনিক আদেশ দিচ্ছে।’ গত ৫ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ‘লালমোহন উপজেলার অবকাঠামোগত অবস্থান, লোকবল, মামলার পরিমাণ’ সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন দিতে জেলা জজকে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা জজ ইতিমধ্যে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছেন। এর আগে ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় জেলা থেকে একই প্রক্রিয়ায় চরফ্যাশন উপজেলায় আদালত স্থানান্তর করেছেন। সেটি আবার ফিরিয়ে আনতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানান চরফ্যাশনে পাঁচ হাজার মামলার জন্য মাত্র ১৩ জন কনিষ্ঠ আইনজীবী। যদি জেলা শহর থেকে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীকে চরফ্যাশনে নিয়ে মামলা পরিচালনা করাতে হয়, তা হলে কমপক্ষে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। সেটি গরিব বিচারপ্রার্থীর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া আপিল, রিভিশন, জামিন, মিসকেস, নারী ও শিশু মামলা, সেশন মামলা ও নির্বাহী কোর্টের মামলার জন্য বিচারপ্রার্থীকে আবার ভোলা শহরে আসতে হচ্ছে। এ কারণে হয়রানি আরও বাড়ছে। চরফ্যাশনে টাউট-দালালদের উৎপাত বেড়ে গেছে।
১১ ফেব্রুয়ারি শতাধিক আইনজীবী মহুরিও ভোলা-গাজীপুর সড়কে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন। তখন লিখিতভাবে জানান, ‘বিচার বিভাগ পৃথক্করণের পরে প্রধান বিচারপতির নিয়ন্ত্রণে সব অধস্তন আদালত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। জেলা থেকে আদালত স্থানান্তরের দায়িত্ব একমাত্র প্রধান বিচারপতির। আইন মন্ত্রণালয় বেআইনিভাবে প্রশাসনিক আদেশ বলে আদালত স্থানান্তর করছে, যা আইনের পরিপন্থী।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে বারবার আদালত জেলা শহর থেকে মফস্বলে স্থানান্তরের প্রশাসনিক আদেশ দিচ্ছে।’ গত ৫ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ‘লালমোহন উপজেলার অবকাঠামোগত অবস্থান, লোকবল, মামলার পরিমাণ’ সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন দিতে জেলা জজকে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা জজ ইতিমধ্যে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছেন। এর আগে ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় জেলা থেকে একই প্রক্রিয়ায় চরফ্যাশন উপজেলায় আদালত স্থানান্তর করেছেন। সেটি আবার ফিরিয়ে আনতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানান চরফ্যাশনে পাঁচ হাজার মামলার জন্য মাত্র ১৩ জন কনিষ্ঠ আইনজীবী। যদি জেলা শহর থেকে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীকে চরফ্যাশনে নিয়ে মামলা পরিচালনা করাতে হয়, তা হলে কমপক্ষে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। সেটি গরিব বিচারপ্রার্থীর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া আপিল, রিভিশন, জামিন, মিসকেস, নারী ও শিশু মামলা, সেশন মামলা ও নির্বাহী কোর্টের মামলার জন্য বিচারপ্রার্থীকে আবার ভোলা শহরে আসতে হচ্ছে। এ কারণে হয়রানি আরও বাড়ছে। চরফ্যাশনে টাউট-দালালদের উৎপাত বেড়ে গেছে।
No comments