ভারতের আশ্বাস যেন কথার কথা না হয়-সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও তিস্তা চুক্তি
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকটি এমন সময় হলো, যখন সীমান্ত-পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত এবং তা হয়েছে বিএসএফের বেপরোয়া আচরণের কারণেই। বৈঠকের পর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সীমান্তে বিএসএফের গুলির ঘটনা কমেছে—দাবি করে বলেছেন, তাঁরা এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চান। এ ব্যাপারে দুই পক্ষের
সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো এবং উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে আলোচনার কথাও বলেছেন তিনি। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলির ঘটনাটি তিনি বৈঠকে তুলেছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে ভারতীয় পক্ষ তাঁকে আশ্বস্ত করেছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আশ্বাসে বাংলাদেশের মানুষ কতটা আশ্বস্ত হবে, তা নির্ভর করবে বিএসএফের আচরণের ওপর। তাঁর আশ্বাস যেন কথার কথা না হয়। দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের কয়েক দিন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সীমান্তে গুলি বন্ধ করা সম্ভব নয়।’ তাঁর দাবি, চোরাচালানিদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালায়। বিএসএফ-প্রধানের বক্তব্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের সঙ্গে মোটেই সংগতিপূর্ণ নয়।
সীমান্তে চোরাচালান, সন্ত্রাস ও মানবপাচার বন্ধ হোক—তা আমরাও চাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সীমান্তরক্ষীরা সেই কাজটি করতে কতটা আন্তরিক? অনেক ক্ষেত্রেই সীমান্তরক্ষীদের যোগসাজশে চোরাচালান ও মানবপাচারের ঘটনা ঘটে। আবার উৎকোচ না পেলে তারা যে কতটা নৃশংস হতে পারে, সম্প্রতি আবু বকরের ওপর বিএসএফের নির্যাতনই তার প্রমাণ। চোরাচালানি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সীমান্তরক্ষীরা কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করলে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু কোনো অজুহাতে গুলি করে মানুষ হত্যা চলবে না। এটি চোরাচালান বন্ধের উপায়ও নয়। বাংলাদেশের মানুষ এখন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সীমান্তবিরোধের মীমাংসা ও ছিটমহল বিনিময়ে দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি সে দেশের সংসদে আগামী বাজেট-বৈঠকে উত্থানের যে আশ্বাস দিয়েছেন, তাকে আমরা ইতিবাচক বলে মনে করি। দেরিতে হলেও ভারতের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটেছে। কেননা, ১৯৭৪ সালে সই করা মুজিব-ইন্দিরা সীমান্ত চুক্তি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সে সময় অনুমোদন করলেও ভারতের সংসদে এখন পর্যন্ত তা পেশ করাই হয়নি মামলার অজুহাত দেখিয়ে। একই সঙ্গে প্রত্যাশা থাকবে, সংসদে চুক্তিটি অনুস্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে এর বাস্তবায়নেও নয়াদিল্লি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া তিস্তা নদীর পানি বণ্টনে চূড়ান্ত মীমাংসায় আসার ব্যাপারে মনমোহন সিং আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁর এই আশাবাদ যত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে তত দ্রুত বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগের অবসান ঘটবে।
আমরা মনে করি, দুই দেশের স্বার্থেই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান জরুরি। অতীতের সব সংশয় ও ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় হলে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণই লাভবান হবে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আশ্বাসে বাংলাদেশের মানুষ কতটা আশ্বস্ত হবে, তা নির্ভর করবে বিএসএফের আচরণের ওপর। তাঁর আশ্বাস যেন কথার কথা না হয়। দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের কয়েক দিন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সীমান্তে গুলি বন্ধ করা সম্ভব নয়।’ তাঁর দাবি, চোরাচালানিদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালায়। বিএসএফ-প্রধানের বক্তব্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের সঙ্গে মোটেই সংগতিপূর্ণ নয়।
সীমান্তে চোরাচালান, সন্ত্রাস ও মানবপাচার বন্ধ হোক—তা আমরাও চাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সীমান্তরক্ষীরা সেই কাজটি করতে কতটা আন্তরিক? অনেক ক্ষেত্রেই সীমান্তরক্ষীদের যোগসাজশে চোরাচালান ও মানবপাচারের ঘটনা ঘটে। আবার উৎকোচ না পেলে তারা যে কতটা নৃশংস হতে পারে, সম্প্রতি আবু বকরের ওপর বিএসএফের নির্যাতনই তার প্রমাণ। চোরাচালানি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সীমান্তরক্ষীরা কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করলে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু কোনো অজুহাতে গুলি করে মানুষ হত্যা চলবে না। এটি চোরাচালান বন্ধের উপায়ও নয়। বাংলাদেশের মানুষ এখন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সীমান্তবিরোধের মীমাংসা ও ছিটমহল বিনিময়ে দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি সে দেশের সংসদে আগামী বাজেট-বৈঠকে উত্থানের যে আশ্বাস দিয়েছেন, তাকে আমরা ইতিবাচক বলে মনে করি। দেরিতে হলেও ভারতের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটেছে। কেননা, ১৯৭৪ সালে সই করা মুজিব-ইন্দিরা সীমান্ত চুক্তি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সে সময় অনুমোদন করলেও ভারতের সংসদে এখন পর্যন্ত তা পেশ করাই হয়নি মামলার অজুহাত দেখিয়ে। একই সঙ্গে প্রত্যাশা থাকবে, সংসদে চুক্তিটি অনুস্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে এর বাস্তবায়নেও নয়াদিল্লি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া তিস্তা নদীর পানি বণ্টনে চূড়ান্ত মীমাংসায় আসার ব্যাপারে মনমোহন সিং আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁর এই আশাবাদ যত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে তত দ্রুত বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগের অবসান ঘটবে।
আমরা মনে করি, দুই দেশের স্বার্থেই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান জরুরি। অতীতের সব সংশয় ও ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় হলে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণই লাভবান হবে।
No comments