স্থানীয়দের আবেগ অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না-ভাটিয়ারীতে ভূমি অধিগ্রহণ
ভূমি অধিগ্রহণ একটি স্বীকৃত বিষয়। কিন্তু যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয় সেখানকার জনগণের মতামত, অবস্থান ও মনোভাবের বিষয়টি কি বিবেচনার বাইরে থাকবে? সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয় জনগণের অসন্তোষের পরিণতিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) চ্যাপ্টার এলাকা (ভূমি অধিগ্রহণ) হিসেবে ঘোষিত একটি মৌজার জনগণ এর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে তারা তাদের ক্ষোভের জানান দিয়েছে।
ভাটিয়ারীর যে অঞ্চলে বিএমএ গড়ে উঠেছে, সেখানে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয় ১৯৫৮ সাল থেকে। এরপর দফায় দফায় অধিগ্রহণের আওতা বেড়েছে। বিএমএ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও কয়েক দফায় জায়গা হুকুমদখল করা হয়েছে। বলা যায়, সেই ১৯৫৮ সাল থেকে স্থানীয় জনগণকে অব্যাহতভাবে তাদের জমি ছেড়ে দিতে হয়েছে। ক্রমাগত এই সম্প্রসারণের ফলে অনেকে যেমন তাদের জমিজিরাত হারিয়েছে, তেমনি আশপাশের অনেক জায়গা চ্যাপ্টার এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় সেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে সেনা কর্তৃপক্ষের হাতে। এর পাশাপাশি এসব এলাকার জায়গাজমি বিক্রি বা হস্তান্তর—সবকিছুর জন্যই কর দিতে হয় বিএমএ কর্তৃপক্ষকে।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে স্থানীয় জনগণের কোনো মতামত না নিয়ে একতরফাভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা চ্যাপ্টার এলাকা ঘোষণা করে অধিগ্রহণ করা হয় এবং সেখানকার লোকজন অব্যাহত এই ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি মেনে নেয়নি। তখন থেকেই এই অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সেখানে জনমত গড়ে উঠতে থাকে। বর্তমানে নতুন করে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা।
আমরা মনে করি, স্থানীয় জনগণের এই আবেগ-অনুভূতি উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলের জনগণ ভূমি অধিগ্রহণের শিকার হচ্ছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বারবার অধিগ্রহণের ফলে ভাটিয়ারী এলাকার পূর্ব জঙ্গল ভাটিয়ারী মৌজার পুরোপুরি ও ভাটিয়ারী মৌজার অধিকাংশ বিএমএর আওতায় চলে যায়। রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের সময় বিক্ষোভকারীরা এ ব্যাপারে তাদের যে মনোভাব প্রকাশ করেছে, তা যথেষ্ট কঠোর। জীবন দিয়ে হলেও চ্যাপ্টার প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আমরা মনে করি, এই বাস্তবতাকে বিএমএ কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় নেওয়া উচিত যে অব্যাহত ভূমি অধিগ্রহণ মানে অব্যাহত উচ্ছেদ ও অসংখ্য লোকের জায়গাজমি হারানো। আর সবচেয়ে বড় কথা, চ্যাপ্টার ঘোষণার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ হাইকোর্টে যে রিট করছে, তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চ্যাপ্টার ঘোষণা কার্যকর করার সুযোগও নেই।
ভাটিয়ারীর যে অঞ্চলে বিএমএ গড়ে উঠেছে, সেখানে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয় ১৯৫৮ সাল থেকে। এরপর দফায় দফায় অধিগ্রহণের আওতা বেড়েছে। বিএমএ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও কয়েক দফায় জায়গা হুকুমদখল করা হয়েছে। বলা যায়, সেই ১৯৫৮ সাল থেকে স্থানীয় জনগণকে অব্যাহতভাবে তাদের জমি ছেড়ে দিতে হয়েছে। ক্রমাগত এই সম্প্রসারণের ফলে অনেকে যেমন তাদের জমিজিরাত হারিয়েছে, তেমনি আশপাশের অনেক জায়গা চ্যাপ্টার এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় সেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে সেনা কর্তৃপক্ষের হাতে। এর পাশাপাশি এসব এলাকার জায়গাজমি বিক্রি বা হস্তান্তর—সবকিছুর জন্যই কর দিতে হয় বিএমএ কর্তৃপক্ষকে।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে স্থানীয় জনগণের কোনো মতামত না নিয়ে একতরফাভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা চ্যাপ্টার এলাকা ঘোষণা করে অধিগ্রহণ করা হয় এবং সেখানকার লোকজন অব্যাহত এই ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি মেনে নেয়নি। তখন থেকেই এই অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সেখানে জনমত গড়ে উঠতে থাকে। বর্তমানে নতুন করে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা।
আমরা মনে করি, স্থানীয় জনগণের এই আবেগ-অনুভূতি উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলের জনগণ ভূমি অধিগ্রহণের শিকার হচ্ছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বারবার অধিগ্রহণের ফলে ভাটিয়ারী এলাকার পূর্ব জঙ্গল ভাটিয়ারী মৌজার পুরোপুরি ও ভাটিয়ারী মৌজার অধিকাংশ বিএমএর আওতায় চলে যায়। রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের সময় বিক্ষোভকারীরা এ ব্যাপারে তাদের যে মনোভাব প্রকাশ করেছে, তা যথেষ্ট কঠোর। জীবন দিয়ে হলেও চ্যাপ্টার প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আমরা মনে করি, এই বাস্তবতাকে বিএমএ কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় নেওয়া উচিত যে অব্যাহত ভূমি অধিগ্রহণ মানে অব্যাহত উচ্ছেদ ও অসংখ্য লোকের জায়গাজমি হারানো। আর সবচেয়ে বড় কথা, চ্যাপ্টার ঘোষণার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ হাইকোর্টে যে রিট করছে, তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চ্যাপ্টার ঘোষণা কার্যকর করার সুযোগও নেই।
No comments