বাঘাইছড়িতে ঘুম থেকে উঠিয়ে শিক্ষককে হত্যা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা ইউনিয়নের খেদারাছড়া গ্রামে গত শুক্রবার রাতে পূর্ণিময় চাকমা (৪৮) নামের এক শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পূর্ণিময় খেদারাছড়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত পূর্ণিময় কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।


তবে তাঁর এক ছোট ভাই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত পূর্ণিময়ের বাবা কালাচান চাকমা এক সপ্তাহ আগে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। আজ রোববার তাঁর সাপ্তাহিক ক্রিয়া সম্পাদনের কথা ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন নিয়ে পূর্ণিময় চাকমা শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় একটা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। এরপর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে কয়েকজন লোক এসে ‘মাস্টার, মাস্টার’ বলে ডাক দিলে পূর্ণিময় একটি প্রদীপ জ্বেলে ঘর থেকে বের হন। এর পরপরই তাঁকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়। এতে তিনটি গুলি মাথায় বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গুলির শব্দ শুনে বাড়ি ও পাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় তারা কালো পোশাক পরা তিন সশস্ত্র ব্যক্তিকে সেখান থেকে চলে যেতে দেখে।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পূর্ণিময় চাকমার খুন হওয়ার কারণ জানা যায়নি।
গতকাল ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের রাঙামাটি জেলাপ্রধান সোনামণি চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, জনসংহতি সমিতির (সন্তু) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, ওই এলাকায় জনসংহতি সমিতির কোনো কার্যক্রম নেই।
বাঘাইছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিক জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেলেও পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ দেওয়া হয়নি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা কোনো মামলাও করেনি।

No comments

Powered by Blogger.