মূল্য দ্য প্রাইস by আসিফ মেহ্দী
মজুদদারদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা! কারণ, তাঁদের কল্যাণে রমজান মাস আসার আগেই জনগণের সংযম পালন শুরু হয়ে যায়। বাজার থেকে খাদ্যপণ্য সাময়িকভাবে ভ্যানিশ করে তাঁরা জনগণকে কেনাকাটায় সংযমী করে তোলেন। তা ছাড়া এই ভদ্রলোকেরা চান না জনগণ ‘সস্তা জিনিস’ কিনে ‘তিন অবস্থার’ মধ্যে হিমশিম খাক! তাঁদের বরকতে জিনিসের মূল্য
ঊর্ধ্বমুখী হতে হতে এভারেস্ট জয় করল বলে! নিউটনের বল বা প্যাসকেলের চাপ প্রয়োগ করেও এই ঊর্ধ্বগমন দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
এসব ব্যবসায়ী জনদুর্ভোগ কমানোর ব্যাপারেও চিন্তা করেন! তাই তাঁরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন। ফলে পাবলিক মুঠো ভরা টাকা নিয়ে বাজারে যান এবং ব্যাটারি সাইজের বোতলে তেল কিনে, মাছ-মুরগির শরীর স্পর্শ করে সন্তুষ্ট থাকেন। অতঃপর গোল্ডেন-ডাক মারা ব্যাটসম্যানের প্যাভিলিয়নে ফেরার মতো বাজার থেকে বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় ফেরার সময় বাজারের ব্যাগ হালকা হওয়ায় বাজারকারীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয় না! এভাবে জনদুর্ভোগ কমে এসেছে। বাড়তি বাজারদরের ব্যাপারে আমজনতার মানসিকতারও কিছুটা পরিবর্তন দরকার। আমাদের বোঝা উচিত যে বিক্রেতারা খাদ্যের সঙ্গে যেসব মূল্যবান কেমিক্যাল দিচ্ছেন, সেগুলোর জন্য তাঁরা এলাকার ছোট ভাই হিসেবে কিছু বাড়তি পয়সা দাবি করতেই পারেন!
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্যও আছে সুখবর! খবরটি একটি সূত্রের মধ্যে ফেলে দেওয়া যায়। সেটা হলো, বাজারের দ্রব্যমূল্য কন্ট্রোলে থাকলে ক্রেতার স্বাস্থ্য লাগামহীন হয়, আর বাজারমূল্য লাগামহীন হলে ক্রেতার স্বাস্থ্য স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় কন্ট্রোলে চলে আসে! অতএব, দেশ ও জাতিকে সুস্বাস্থ্য উপহার দেওয়ার জন্য জিনিসের দাম লাগামহীন হওয়া প্রয়োজন। অতি মুনাফাখোররা এই কাজটিই করে দেশের অশেষ কল্যাণ সাধন করছেন!
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ’ নামে একদল কর্তৃপক্ষের কথা শুনে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের হদিস পেলাম না। অবস্থা দেখে মনে হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তব্য পালনেও সংযম প্রদর্শন করে। আগে দেখতাম, রোজার মাসে তেল-চিনি-ছোলার দাম বাড়ছে। আর এখন দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া আগেই ম্যারাথন দৌড় শুরু করে, রমজান মাসে স্থির হয়! ঘটনা যেমনই ঘটুক, কর্তৃপক্ষের ভূমিকা একই।
জিনিসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশও এগিয়ে চলেছে। কোনোভাবেই দেশের এ অগ্রগতি থামানো যাচ্ছে না। গতিপথের স্পিডব্রেকার মাড়িয়ে, যানজট এড়িয়ে, বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে দুর্বার রানারের গতিতে দেশ এগিয়ে চলেছে! দেশের এগিয়ে চলার এই ধ্রুপদি তালের সঙ্গে
তাল মেলাতে না পারায় জনগণের অনেকে তো তালজ্ঞানই হারিয়ে ফেলেছেন। তা না হলে ছয়-ছয়টি নিষ্পাপ তাজা প্রাণ এভাবে ইট দিয়ে থেঁতলিয়ে, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা সম্ভব! এত বড় পাপ এতজন মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করার নজির পৃথিবীতে বিরল। এসব তালকানা লোকদের লাল দালানে পোরার আগে পর্যটনে ব্যস্ত ফাঁসির আসামিদের খোঁয়াড়ে ফিরিয়ে এনে আইনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, মূল্য কমেছে একটা জিনিসেরই, আর তা হলো মানুষের জীবনের মূল্য!
এসব ব্যবসায়ী জনদুর্ভোগ কমানোর ব্যাপারেও চিন্তা করেন! তাই তাঁরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন। ফলে পাবলিক মুঠো ভরা টাকা নিয়ে বাজারে যান এবং ব্যাটারি সাইজের বোতলে তেল কিনে, মাছ-মুরগির শরীর স্পর্শ করে সন্তুষ্ট থাকেন। অতঃপর গোল্ডেন-ডাক মারা ব্যাটসম্যানের প্যাভিলিয়নে ফেরার মতো বাজার থেকে বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় ফেরার সময় বাজারের ব্যাগ হালকা হওয়ায় বাজারকারীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয় না! এভাবে জনদুর্ভোগ কমে এসেছে। বাড়তি বাজারদরের ব্যাপারে আমজনতার মানসিকতারও কিছুটা পরিবর্তন দরকার। আমাদের বোঝা উচিত যে বিক্রেতারা খাদ্যের সঙ্গে যেসব মূল্যবান কেমিক্যাল দিচ্ছেন, সেগুলোর জন্য তাঁরা এলাকার ছোট ভাই হিসেবে কিছু বাড়তি পয়সা দাবি করতেই পারেন!
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্যও আছে সুখবর! খবরটি একটি সূত্রের মধ্যে ফেলে দেওয়া যায়। সেটা হলো, বাজারের দ্রব্যমূল্য কন্ট্রোলে থাকলে ক্রেতার স্বাস্থ্য লাগামহীন হয়, আর বাজারমূল্য লাগামহীন হলে ক্রেতার স্বাস্থ্য স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় কন্ট্রোলে চলে আসে! অতএব, দেশ ও জাতিকে সুস্বাস্থ্য উপহার দেওয়ার জন্য জিনিসের দাম লাগামহীন হওয়া প্রয়োজন। অতি মুনাফাখোররা এই কাজটিই করে দেশের অশেষ কল্যাণ সাধন করছেন!
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ’ নামে একদল কর্তৃপক্ষের কথা শুনে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের হদিস পেলাম না। অবস্থা দেখে মনে হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তব্য পালনেও সংযম প্রদর্শন করে। আগে দেখতাম, রোজার মাসে তেল-চিনি-ছোলার দাম বাড়ছে। আর এখন দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া আগেই ম্যারাথন দৌড় শুরু করে, রমজান মাসে স্থির হয়! ঘটনা যেমনই ঘটুক, কর্তৃপক্ষের ভূমিকা একই।
জিনিসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশও এগিয়ে চলেছে। কোনোভাবেই দেশের এ অগ্রগতি থামানো যাচ্ছে না। গতিপথের স্পিডব্রেকার মাড়িয়ে, যানজট এড়িয়ে, বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে দুর্বার রানারের গতিতে দেশ এগিয়ে চলেছে! দেশের এগিয়ে চলার এই ধ্রুপদি তালের সঙ্গে
তাল মেলাতে না পারায় জনগণের অনেকে তো তালজ্ঞানই হারিয়ে ফেলেছেন। তা না হলে ছয়-ছয়টি নিষ্পাপ তাজা প্রাণ এভাবে ইট দিয়ে থেঁতলিয়ে, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা সম্ভব! এত বড় পাপ এতজন মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করার নজির পৃথিবীতে বিরল। এসব তালকানা লোকদের লাল দালানে পোরার আগে পর্যটনে ব্যস্ত ফাঁসির আসামিদের খোঁয়াড়ে ফিরিয়ে এনে আইনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, মূল্য কমেছে একটা জিনিসেরই, আর তা হলো মানুষের জীবনের মূল্য!
No comments