পদত্যাগ ছাড়া কী-ই বা করতে পারতেন প্রক্টররা?-ছাত্রলীগ কর্মীদের ‘অনুরোধ’ বলে কথা!
ছাত্রলীগের কর্মীদের ‘অনুরোধ’ করার ধরনটা কেমন হতে পারে, একটু কল্পনা করুন! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর এমনই অনুরোধের কারণে পদত্যাগ করতে হয়েছে প্রক্টরসহ চারজনকে। ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে যা সামান্য অনুরোধ, পদত্যাগী দুই সহকারী প্রক্টর তাকে বলেছেন ‘চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ’।
ক্ষোভে হোক বা মান বাঁচাতে হোক, তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রক্টরের অফিসে কী ‘অনুরোধ’ করতে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা? দুটি অনুরোধের একটি ছিল, ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর অস্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবি এবং অন্যটি বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের এক কর্মীর পরীক্ষা দিতে দেওয়ার অনুমতির দাবি। অস্ত্র মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত হন বা যে ছাত্র এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন এবং তাঁরা যদি সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মী হন, তবে ‘অনুরোধের’ ধরন যা হওয়ার কথা, তেমনই হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্র ফজলে রাব্বী বা অস্ত্র মামলার আসামি ছাত্রলীগের কর্মী রাকিব হোসেনের এই ‘অনুরোধ’ সহ্য করার ক্ষমতা ছিল না প্রক্টর অফিসের। তাই প্রক্টর ও তিন সহকারী প্রক্টরের একযোগে পদত্যাগ। প্রথম আলোকে পদত্যাগী প্রক্টর গতকাল জানিয়েছেন, শিক্ষক হিসেবে মানসম্মান বজায় রাখতে পদত্যাগপত্র দেওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না।
ছাত্রলীগের কর্মীদের এই আচরণের পর সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক দলের কর্মীদের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। তাঁর মতে, ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ‘কিছুটা ভুল-বোঝাবুঝি’ হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীদের এই ‘কিছুটা’ ভুল-বোঝাবুঝির ধার যে কতটুকু, তা ঘটনার শিকার প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাই শুধু টের পেয়েছেন।
সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী মানেই যেন তাঁরা ধরাকে সরা জ্ঞান করবেন। তাঁরা অস্ত্র মামলায় জড়াবেন কিন্তু মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, তাঁরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে সহপাঠীদের রক্তাক্ত করে বহিষ্কৃত হবেন, কিন্তু তাঁদের পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে! এমন আবদার করার সাহসের পেছনে কী কাজ করে, তা কারও অজানা নয়। সরকারি দল ও সরকার মুখে যা-ই বলুক, তাদের প্রশ্রয় আর ছত্রচ্ছায়াই ছাত্রদের বেপরোয়া করে তোলে। এই বেপরোয়া আচরণ সামাল দেওয়ার পথ হচ্ছে আইনকে নিজের পথে চলতে দেওয়া, ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রশ্রয় না দেওয়া। সরকার সেই পথটি যত দিন না ধরবে, তত দিন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সামলানো কঠিন হবে।
প্রক্টরের অফিসে কী ‘অনুরোধ’ করতে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা? দুটি অনুরোধের একটি ছিল, ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর অস্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবি এবং অন্যটি বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের এক কর্মীর পরীক্ষা দিতে দেওয়ার অনুমতির দাবি। অস্ত্র মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত হন বা যে ছাত্র এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন এবং তাঁরা যদি সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মী হন, তবে ‘অনুরোধের’ ধরন যা হওয়ার কথা, তেমনই হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্র ফজলে রাব্বী বা অস্ত্র মামলার আসামি ছাত্রলীগের কর্মী রাকিব হোসেনের এই ‘অনুরোধ’ সহ্য করার ক্ষমতা ছিল না প্রক্টর অফিসের। তাই প্রক্টর ও তিন সহকারী প্রক্টরের একযোগে পদত্যাগ। প্রথম আলোকে পদত্যাগী প্রক্টর গতকাল জানিয়েছেন, শিক্ষক হিসেবে মানসম্মান বজায় রাখতে পদত্যাগপত্র দেওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না।
ছাত্রলীগের কর্মীদের এই আচরণের পর সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক দলের কর্মীদের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। তাঁর মতে, ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ‘কিছুটা ভুল-বোঝাবুঝি’ হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীদের এই ‘কিছুটা’ ভুল-বোঝাবুঝির ধার যে কতটুকু, তা ঘটনার শিকার প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাই শুধু টের পেয়েছেন।
সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী মানেই যেন তাঁরা ধরাকে সরা জ্ঞান করবেন। তাঁরা অস্ত্র মামলায় জড়াবেন কিন্তু মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, তাঁরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে সহপাঠীদের রক্তাক্ত করে বহিষ্কৃত হবেন, কিন্তু তাঁদের পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে! এমন আবদার করার সাহসের পেছনে কী কাজ করে, তা কারও অজানা নয়। সরকারি দল ও সরকার মুখে যা-ই বলুক, তাদের প্রশ্রয় আর ছত্রচ্ছায়াই ছাত্রদের বেপরোয়া করে তোলে। এই বেপরোয়া আচরণ সামাল দেওয়ার পথ হচ্ছে আইনকে নিজের পথে চলতে দেওয়া, ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রশ্রয় না দেওয়া। সরকার সেই পথটি যত দিন না ধরবে, তত দিন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সামলানো কঠিন হবে।
No comments