আরেক তিস্তা কাণ্ড by আসিফ আহমেদ
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মোতাহার হোসেন একটি বাণী দিয়েছেন, যা অনেক সংবাদপত্রে সরকার অনেক অর্থ ব্যয় করে প্রকাশ করেছে। তিনি লালমনিরহাট জেলার একটি আসন থেকে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম বাধা নিরক্ষরতা। দেশের সব শিশুকে স্কুলে আনায় সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তিনি তুলে ধরেছেন।
একই সঙ্গে বলেছেন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে আয়োজনের কথা। ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রচারিত হয় এ বাণী। একই দিন সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে একটি খবর, যার মূল কথা রংপুরে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আগের দিন সাজ্জাত হোসেন সাগরসহ আটক ১১ জনের জামিন হয়নি। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত শীর্ষ বৈঠক ভেস্তে গেছে। আর তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের তীর সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা ২৩ কোটি টাকার কাজ বল প্রয়োগ করে বাগিয়ে নিতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত কাজই বটে!
বহু বছর ধরে একটি কথা চালু রয়েছে : পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দ করা অর্থের বড় অংশ প্রকৃতপক্ষে পানিতে ঢালা হয়। এতে আসল কাজ কতটা হবে সেটা বড় কথা নয়_ যিনি ঠিকাদারি পাবেন তার স্বার্থটাই আসল। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তার সঙ্গীরা সুশিক্ষা কতটা পেয়েছেন জানা নেই, কিন্তু এ শিক্ষাটা খুব ভালোই পেয়েছেন যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দ করা ২৩ কোটি টাকার সামান্য অংশ ব্যবহার করে বাকিটা ভাগবাটোয়ারা করে নিলে কেউ আপত্তি করবে না। কেউ কিছু বললে বলা যাবে, কাজ তো হয়েছিল, এখন পানির তলায় গিয়ে দেখে আসেন। তবে তিস্তার ঘোলা পানিতে দেখতে একটু সমস্যা হতে পারে, এই যা।
যে তিস্তা নিয়ে এত শোরগোল তার কাজ নিয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এমন কেলেঙ্কারি বাধানোর পরও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, সে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে এবং আদালত জামিন নাকচ করেছেন। তবে টেন্ডার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা যেদিন ঘটেছে, সেদিন একজন 'পরিবহন শ্রমিক নেতাকে' গোলযোগ পাকানোর দায়ে আটক করার পর পরিবহন শ্রমিক নেতাদের চাপে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্রে। গত কয়েকদিনে পরিবহন শ্রমিক ও তাদের নেতাদের দাপট-দৌরাত্ম্য সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে আলোচনার বিষয় হয়ে রয়েছে। তাদের যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স প্রদানের জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতা জোরালো সুপারিশ করে চলেছেন। এ শ্রমিকরা যে কী অনাসৃষ্টি করতে পারে, তার একটি নমুনা দেখা গেল রংপুরে। পরিবহন শ্রমিক নেতা অন্যায় করলেও তাকে পুলিশ আটক করতে পারবে না, বরং সসম্মানে ছেড়ে দিতে হবে, অন্যথায় শ্রমিকরা রাজপথ অচল করে দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে। এর শেষ কোথায় কে জানে।
প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আটকের পর মন্ত্রীর তরফে কোনো ব্যাখ্যা নেই যে কীভাবে এমন গুণধর ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পেল। মন্ত্রী বলতে পারেন, কেউ গ্রেফতার হলেই অপরাধী হয়ে যায় না। আগে নিম্ন আদালতে প্রমাণ হোক, তারপর আপিল আদালতে নিষ্পত্তি হোক, তখন দেখা যাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার কি-না। তবে অভিজ্ঞতা এটাও বলে যে, একজন প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফ থানা-পুলিশ-চার্জশিটসহ অনেক কিছুই প্রভাবিত করার ক্ষমা রাখেন। এ কারণে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ফুল বিছানো পথ দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।
বহু বছর ধরে একটি কথা চালু রয়েছে : পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দ করা অর্থের বড় অংশ প্রকৃতপক্ষে পানিতে ঢালা হয়। এতে আসল কাজ কতটা হবে সেটা বড় কথা নয়_ যিনি ঠিকাদারি পাবেন তার স্বার্থটাই আসল। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তার সঙ্গীরা সুশিক্ষা কতটা পেয়েছেন জানা নেই, কিন্তু এ শিক্ষাটা খুব ভালোই পেয়েছেন যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দ করা ২৩ কোটি টাকার সামান্য অংশ ব্যবহার করে বাকিটা ভাগবাটোয়ারা করে নিলে কেউ আপত্তি করবে না। কেউ কিছু বললে বলা যাবে, কাজ তো হয়েছিল, এখন পানির তলায় গিয়ে দেখে আসেন। তবে তিস্তার ঘোলা পানিতে দেখতে একটু সমস্যা হতে পারে, এই যা।
যে তিস্তা নিয়ে এত শোরগোল তার কাজ নিয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এমন কেলেঙ্কারি বাধানোর পরও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, সে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে এবং আদালত জামিন নাকচ করেছেন। তবে টেন্ডার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা যেদিন ঘটেছে, সেদিন একজন 'পরিবহন শ্রমিক নেতাকে' গোলযোগ পাকানোর দায়ে আটক করার পর পরিবহন শ্রমিক নেতাদের চাপে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্রে। গত কয়েকদিনে পরিবহন শ্রমিক ও তাদের নেতাদের দাপট-দৌরাত্ম্য সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে আলোচনার বিষয় হয়ে রয়েছে। তাদের যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স প্রদানের জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতা জোরালো সুপারিশ করে চলেছেন। এ শ্রমিকরা যে কী অনাসৃষ্টি করতে পারে, তার একটি নমুনা দেখা গেল রংপুরে। পরিবহন শ্রমিক নেতা অন্যায় করলেও তাকে পুলিশ আটক করতে পারবে না, বরং সসম্মানে ছেড়ে দিতে হবে, অন্যথায় শ্রমিকরা রাজপথ অচল করে দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে। এর শেষ কোথায় কে জানে।
প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আটকের পর মন্ত্রীর তরফে কোনো ব্যাখ্যা নেই যে কীভাবে এমন গুণধর ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পেল। মন্ত্রী বলতে পারেন, কেউ গ্রেফতার হলেই অপরাধী হয়ে যায় না। আগে নিম্ন আদালতে প্রমাণ হোক, তারপর আপিল আদালতে নিষ্পত্তি হোক, তখন দেখা যাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার কি-না। তবে অভিজ্ঞতা এটাও বলে যে, একজন প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফ থানা-পুলিশ-চার্জশিটসহ অনেক কিছুই প্রভাবিত করার ক্ষমা রাখেন। এ কারণে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ফুল বিছানো পথ দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।
No comments