তিস্তার পানি বণ্টনে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা চাই-হাসিনা-মনমোহন বৈঠক
মালদ্বীপের পর্যটন শহর আদ্দুতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে সদস্যদেশগুলো যে বিরাট কিছু অর্জন করবে না, তা আগেই ধারণা করা হয়েছিল। কেননা, ২৬ বছর ধরেই সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতারা সহযোগিতার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন কমই ঘটেছে। তবে এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বহুল আলোচিত বৈঠকটির কারণে।
এতে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সর্বাধিক উদ্বেগের বিষয়—তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। কত দিনে এই চুক্তি হতে পারে, সে ব্যাপারেও মনমোহন সিং কিছু জানাতে পারেননি। যদিও তিনি তিস্তা চুক্তি সই করতে ভারত চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মামুলি আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনা হওয়ার কথাও জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাসে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ তিরোহিত হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। কেননা, গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মনমোহন সিং ঢাকা সফরের সময়ই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে তা হতে পারেনি—এই বাস্তবতাও বাংলাদেশ মেনে নিয়েছিল। এরপর আশা করা গিয়েছিল, সেপ্টেম্বরে না হলেও চলতি বছরের মধ্যে চুক্তি সই হবে। হাসিনা-মনমোহনের বৈঠকে তাঁর আভাস নেই।
আমাদের উদ্বেগের আরেকটি কাবণ হলো, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে নানা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন। তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের অন্যতম শরিক। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করে আসছে তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে তাঁরা ইউপিএ সরকারে থাকবেন না। আমাদের স্পষ্ট কথা হলো, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েনে পড়ে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি যেন আটকে না যায়। এর নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক।
গত সেপ্টেম্বরে যখন তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি আটকে গেল, তখন সরকারের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যেই চুক্তি সই হবে। তাঁরা কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলেছিলেন, তা জানার অধিকার দেশবাসীর আছে। যে বিষয়টির সঙ্গে জাতির জীবন-মরণের প্রশ্ন, তা নিয়ে সরকারের ঢাক-গুড়গুড় ভাব বন্ধ করা উচিত।
তিস্তা ছাড়াও আরও যেসব দ্বিপক্ষীয় সমস্যা আছে, সেসবের সমাধানেও ভারতের কাছ থেকে কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না। বিশেষ করে সীমান্তবিরোধ নিষ্পত্তিতে যে প্রটোকল সই হয়েছে, তা বাস্তবায়নে ভারতের লোকসভার অনুসমর্থন প্রয়োজন হবে। এই অনুসমর্থন না পাওয়ায় ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এবার তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাসে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ তিরোহিত হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। কেননা, গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মনমোহন সিং ঢাকা সফরের সময়ই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে তা হতে পারেনি—এই বাস্তবতাও বাংলাদেশ মেনে নিয়েছিল। এরপর আশা করা গিয়েছিল, সেপ্টেম্বরে না হলেও চলতি বছরের মধ্যে চুক্তি সই হবে। হাসিনা-মনমোহনের বৈঠকে তাঁর আভাস নেই।
আমাদের উদ্বেগের আরেকটি কাবণ হলো, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে নানা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন। তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের অন্যতম শরিক। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করে আসছে তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে তাঁরা ইউপিএ সরকারে থাকবেন না। আমাদের স্পষ্ট কথা হলো, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েনে পড়ে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি যেন আটকে না যায়। এর নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক।
গত সেপ্টেম্বরে যখন তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি আটকে গেল, তখন সরকারের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যেই চুক্তি সই হবে। তাঁরা কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলেছিলেন, তা জানার অধিকার দেশবাসীর আছে। যে বিষয়টির সঙ্গে জাতির জীবন-মরণের প্রশ্ন, তা নিয়ে সরকারের ঢাক-গুড়গুড় ভাব বন্ধ করা উচিত।
তিস্তা ছাড়াও আরও যেসব দ্বিপক্ষীয় সমস্যা আছে, সেসবের সমাধানেও ভারতের কাছ থেকে কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না। বিশেষ করে সীমান্তবিরোধ নিষ্পত্তিতে যে প্রটোকল সই হয়েছে, তা বাস্তবায়নে ভারতের লোকসভার অনুসমর্থন প্রয়োজন হবে। এই অনুসমর্থন না পাওয়ায় ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এবার তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।
No comments