জুলিয়া গিলার্ডকে ঘেরাওয়ের ঘটনা-আদিবাসী নেতারা নিন্দা জানালেন
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডকে ঘেরাও এবং ধাওয়া দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সে দেশের আদিবাসী নেতারা। গতকাল শুক্রবার নেতারা বলেন, প্রধানন্ত্রীর প্রতি এ ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ যাঁরা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদিবাসীদের আন্দোলন সম্পর্কে গত বৃহস্পতিবার বিরোধীদলীয় নেতা টনি অ্যাবোটের করা বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে ক্যানবেরার একটি রেস্তোরাঁ ঘেরাও করে অন্তত ২০০ আদিবাসী। ‘অস্ট্রেলিয়া দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গিলার্ড ওই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। অ্যাবোটও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
ওই দিন আদিবাসীদের রোষের মুখ থেকে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশবলয় তৈরি করে গিলার্ড ও অ্যাবোটকে উদ্ধার করা হয়। অবশ্য হুড়োহুড়ির সময় গিলার্ড হোঁচট খেড়ে পড়ে যান। আর তাঁর একপাটি জুতা খোয়া যায়।
আদিবাসীদের সরকারি সংগঠন অ্যাবঅরিজিনাল অ্যান্ড টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার কমিশনের সামাজিক ন্যায়বিচার বিভাগের কমিশনার মিক গোডা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি যে অসম্মান দেখানো হয়েছে, তা সত্যি লজ্জাজনক। এবিসি রেডিওকে গোডা বলেন, ‘আমরা জানি, আদিবাসীদের মধ্যে নানা বিষয়ে উদ্বেগ, ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা এমন আক্রমণাত্মক হতে পারে না। কোনো অবস্থাতেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ ও ভীতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।’
১৭৮৮ সালে সিডনিতে প্রথম ব্রিটিশ নৌবহর আগমনের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারিভাবে ২৬ জানুয়ারি ‘অস্ট্রেলিয়া দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় বংশপরম্পরায় কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসা আদিবাসীরা এই দিনটিকে ‘ইনভেশন ডে’ হিসেবে পালন করে। নিজেদের ভূমির থেকে বিতাড়িত আদিবাসীরা তাঁদের ভূমির অধিকার ও সার্বভৌমত্বের দাবিতে ক্যানবেরায় প্রায় ৪০ বছর আগে তাঁবুর ক্যাম্প পেতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। বৃহস্পতিবার ওই ক্যাম্প থেকে আদিবাসীরা গিয়ে গিলার্ড ও অ্যাবোটকে ধাওয়া দেয়।
গতকাল শুক্রবার ওই ক্যাম্প থেকে প্রায় ২০০ আদিবাসী বিক্ষোভকারী ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসের দিকে পদযাত্রা করে। এ সময় তারা স্লোগান দেয়, ‘এ দেশ সব সময়ই আদিবাসীদের ছিল, ভবিষ্যতেও তা-ই থাকবে।’ পরে তারা অস্ট্রেলিয়ার পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে।
প্রসঙ্গত, ১৭৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ আগমনের সময় দেশটিতে অন্তত ১০ লাখ আদিবাসী ছিল। এখন দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে আদিবাসী আছে মাত্র চার লাখ ৭০ হাজার। এএফপি।
ওই দিন আদিবাসীদের রোষের মুখ থেকে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশবলয় তৈরি করে গিলার্ড ও অ্যাবোটকে উদ্ধার করা হয়। অবশ্য হুড়োহুড়ির সময় গিলার্ড হোঁচট খেড়ে পড়ে যান। আর তাঁর একপাটি জুতা খোয়া যায়।
আদিবাসীদের সরকারি সংগঠন অ্যাবঅরিজিনাল অ্যান্ড টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার কমিশনের সামাজিক ন্যায়বিচার বিভাগের কমিশনার মিক গোডা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি যে অসম্মান দেখানো হয়েছে, তা সত্যি লজ্জাজনক। এবিসি রেডিওকে গোডা বলেন, ‘আমরা জানি, আদিবাসীদের মধ্যে নানা বিষয়ে উদ্বেগ, ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা এমন আক্রমণাত্মক হতে পারে না। কোনো অবস্থাতেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ ও ভীতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।’
১৭৮৮ সালে সিডনিতে প্রথম ব্রিটিশ নৌবহর আগমনের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারিভাবে ২৬ জানুয়ারি ‘অস্ট্রেলিয়া দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় বংশপরম্পরায় কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসা আদিবাসীরা এই দিনটিকে ‘ইনভেশন ডে’ হিসেবে পালন করে। নিজেদের ভূমির থেকে বিতাড়িত আদিবাসীরা তাঁদের ভূমির অধিকার ও সার্বভৌমত্বের দাবিতে ক্যানবেরায় প্রায় ৪০ বছর আগে তাঁবুর ক্যাম্প পেতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। বৃহস্পতিবার ওই ক্যাম্প থেকে আদিবাসীরা গিয়ে গিলার্ড ও অ্যাবোটকে ধাওয়া দেয়।
গতকাল শুক্রবার ওই ক্যাম্প থেকে প্রায় ২০০ আদিবাসী বিক্ষোভকারী ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসের দিকে পদযাত্রা করে। এ সময় তারা স্লোগান দেয়, ‘এ দেশ সব সময়ই আদিবাসীদের ছিল, ভবিষ্যতেও তা-ই থাকবে।’ পরে তারা অস্ট্রেলিয়ার পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে।
প্রসঙ্গত, ১৭৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ আগমনের সময় দেশটিতে অন্তত ১০ লাখ আদিবাসী ছিল। এখন দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে আদিবাসী আছে মাত্র চার লাখ ৭০ হাজার। এএফপি।
No comments