কালো বুশ সাহেব কি ইরানের ওপর হামলা করবেনই?-কালের আয়নায় by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদকে একজন উগ্র হঠকারী নেতা বলে প্রমাণ করার জন্য পশ্চিমা মিডিয়াগুলো ব্যস্ত। কিন্তু ইসরায়েলের ভয়াবহ ঘাতক চরিত্রের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর 'হকিস' কথাবার্তা ও কার্যকলাপ সম্পর্কে পশ্চিমা নেতা ও মিডিয়াগুলো নীরব 'কালো বুশ কি শেষ পর্যন্ত ইরানে হামলা চালাবেন?' তেহরানের 'কাইহান' পত্রিকার প্রশ্ন।
আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর যে বারাক ওবামা সাদা-কালো নির্বিশেষে সারা বিশ্ববাসী দ্বারা অভিনন্দিত হয়েছিলেন, আরেকটি প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এসে আজ তিনি আগের সর্বজননিন্দিত প্রেসিডেন্ট বুশ জুনিয়রের সঙ্গে তুলিত হচ্ছেন। কেবল ইরানের সংবাদপত্রে নয়, পশ্চিমা কোনো কোনো কাগজেও তাকে 'কালো বুশ' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। লন্ডনের 'নিউ স্টেটসম্যান' কাগজের পলিটিক্যাল এডিটর তার এক সাম্প্রতিক নিবন্ধে লিখেছেন, 'আগে ভাবতাম, জর্জ বুশ ছিলেন আমেরিকার নিকৃষ্ট প্রেসিডেন্ট। এখন দেখছি ওবামা তার চাইতেও নিকৃষ্ট।'
ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের অনেকেই, এমনকি অনেক উদার মার্কিন বুদ্ধিজীবীও আশা প্রকাশ করেছিলেন, রিপাবলিকান জর্জ বুশের নিউকন সরকার মিথ্যাচার ও প্রতারণা দ্বারা আমেরিকাকে অনাবশ্যক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িত করে তার অর্থনৈতিক ও নৈতিক বিশ্বনেতৃত্বের ভিত্তি যেভাবে নষ্ট করে গেছেন, ওবামার ডেমোক্রেটিক প্রশাসন তা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
ওবামা বিশ্বের এবং তার নিজের দেশের মানুষের সেই আশা তো পূর্ণ করতে পারা দূরের কথা, বুশ প্রশাসনের নিন্দিত একই নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে তার দেশকে এবং সারাবিশ্বকে আরেকটি ভয়াবহ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছেন। গত কিছুদিন যাবত লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিস, বার্লিন_ সব শহরের সংবাদ মিডিয়ায় একটি খবর খুবই গুরুত্ব পাচ্ছে এবং তা হলো, মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ আসন্ন এবং এই যুদ্ধটি হবে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে ইরানের।
অনেক মার্কিন পর্যবেক্ষকেরও ধারণা, প্রেসিডেন্ট ওবামার জনপ্রিয়তা বর্তমানে যেভাবে ধসের মুখে, তাতে এবং আগামী নির্বাচনে শক্তিশালী ইহুদি ভোটবাক্স ধরে রাখতে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করার নামে দেশটির ওপর সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে পারেন। পাকিস্তানে লাদেন হত্যা এবং লিবিয়ার গাদ্দাফিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হওয়ার পর আগের প্রেসিডেন্ট বুশের চাইতেও অ্যাগ্রেসিভ হওয়ার ব্যাপারে ওবামার মনে হয়তো সাহস বেড়েছে। তার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের 'হকিস' (যধশিরংয) অংশ মনে করে, পশ্চিমা মিত্রদের নিয়ে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ চালু করে ইরানকে যথেষ্ট দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। এখন একটু সামরিক ধাক্কা দিলেই ইরানে তাদের কথিত 'মোল্লা রাজত্বের পতন ঘটবে' এবং 'হার্ড লাইনার' প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের জন্যও সম্ভবত তারা সাদ্দাম ও গাদ্দাফির পরিণতি বরণ নিশ্চিত করতে পারবেন।
ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ জন আর ব্রাডলির মতে, ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করছে_ এ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে দেশটির ওপর সামরিক হামলা চালানোর পাঁয়তারা চলছে, সেটাই প্রমাণ করে, পরমাণু বোমা বানানো থেকে তেহরানকে নিরস্ত্র রাখা এই হামলার মূল উদ্দেশ্য হবে না, উদ্দেশ্য হবে রেজিম চেঞ্জ বা সরকার পরিবর্তন। বর্তমানের পশ্চিমাবিরোধী সরকারকে উচ্ছেদ করে (ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো) পশ্চিমা তাঁবেদার সরকারকে ক্ষমতায় বসানো।
জন আর ব্রাডলি উদারনৈতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত নন। তিনি পশ্চিমা স্বার্থেরই একজন মুখপাত্র। তথাপি পশ্চিমা স্বার্থেই তিনি পশ্চিমা শক্তিগুলোকে সতর্ক করে যেসব লেখা লেখেন তাতে অনেক সঠিক কথা বলতে তিনি দ্বিধা করেন না। তার After the Arab Spring : How Islamists hijacked the Middle East revolts একটি তথ্যপূর্ণ বই। অশান্ত আরব বিশ্বের বর্তমান অবস্থা যারা জানতে ও বুঝতে চান, তাদের উচিত বইটি পড়া। লন্ডনের Palgrave Macmillan প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করেছে।
এই ব্রাডলি সাহেব গত ২৪ জানুয়ারির 'ডেইলি মেইল' পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন, তাতেও তিনি ইরানকে হামলা করার ব্যাপারে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তার নিবন্ধটির শিরোনাম হচ্ছে This is no time for sabre-rattling. War with Iran could tip us into the bloodiest conflict since 1945 (এটা যুদ্ধের দামামা বাজানোর সময় নয়। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ আমাদের ১৯৪৫ সালের [দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ] পর সবচাইতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ঠেলে দিতে পারে।)
মধ্যপ্রাচ্যের দুষ্ট ব্রণ ইসরায়েল এই এলাকায় কোনো আরব দেশকে শক্তিশালী হতে দেখলেই নানা অজুহাতে মার্কিন সহযোগিতায় তাকে ধ্বংস করতে চায়। ইরানকেও তারা ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য ইরান আক্রমণের জন্য তারা অনবরত আমেরিকার ওপর চাপ দিচ্ছে এবং হুমকি দিয়েছে, আমেরিকার অনুমতির তোয়াক্কা না করেই তারা একা ইরানের ওপর হামলা চালাবে। জন ব্রাডলি ইসরায়েলের ভূমিকায় বিস্মিত নন। তিনি বিস্মিত সৌদি আরবের ভূমিকায়। ইসলামী বিশ্বের তথাকথিত নেতা সৌদি আরব অনবরত আমেরিকাকে চাপ দিচ্ছে ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য।
ব্রাডলি তার ডেইলি মেইলের নিবন্ধে লিখেছেন, 'ইরানকে ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সৌদি আরব।' ÔHowever, Israel is not the only nation in the Middle East bent on the humiliation of Iran. This goal is also shared by Saudi Arabia, which has long been pressing the U.S. to attack IranÕ (ইরানকে পর্যুদস্ত করার জন্য ইসরায়েল একা নয়, সৌদি ডিক্টেটরশিপও যুক্ত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সৌদিরা ইরান আক্রমণের জন্য আমেরিকার ওপর চাপ দিচ্ছে।) ইরানের অপরাধ, তারা ওয়াহাবি মুসলমান নয়, শিয়া মুসলমান। আমার ধারণা, এটা একটা অজুহাত। মধ্যপ্রাচ্যে ইসলাম ও মুসলিম দেশগুলোর সবচাইতে বড় শত্রু এই মধ্যযুগীয় সৌদি ডিক্টেটরশিপ। ইরাকের সাদ্দাম হোসেন শিয়া ছিলেন না; বরং ইরানের বিরুদ্ধে তিনি আট বছর যুদ্ধ করেছেন। সৌদিরা এই সাদ্দামকে ধ্বংস করার জন্য আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রথম গালফ্যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতিতেও সৌদি রাজাদের শঠতা ও দ্বিচারিতা লক্ষ্য করার মতো। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন খোজা সম্প্রদায়ভুক্ত একজন শিয়া। পাকিস্তানের দুই সামরিক প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল ইসকান্দার মির্জা ও ইয়াহিয়া খান দু'জনেই ছিলেন শিয়া মুসলমান। এই পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিতে সৌদি রাজারা কিছুমাত্র দ্বিধা করেননি। অথচ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় চরিত্র ধ্বংস করার জন্য সৌদিরা তাদের অর্থ ও অন্যান্য সাহায্যপুষ্ট জামায়াতিদের মাধ্যমে শিয়া, আহমদিয়া প্রভৃতি মুসলিম সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে সুনি্নদের ক্ষেপিয়ে তোলার কাজে ব্যাপৃত এবং দেশটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া সত্ত্বেও তার গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধেই তার অঘোষিত অবস্থান।
ব্রাডলি বলেছেন, ইরানের ওপর সামরিক হামলা চালালে তা পশ্চিমা শক্তিগুলোর জন্য শুভ হবে না। ইরাকের হাতে 'উইপনস অব মাস ডেস্ট্রাকশন' আছে_ এ মিথ্যা অজুহাতে তারা যুদ্ধ করতে গিয়েছে। তাদের মিথ্যাচার বিশ্ববাসীর কাছে ধরা পড়েছে। এবার ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে_ এ অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হওয়ার আগেই দেশটির ওপর হামলা চালালে বিশ্বজনমত তার বিরোধিতা করবে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। চীনও এই আগ্রাসনকে সমর্থন দেবে, তা কেউ মনে করে না। ইরানের পররাষ্ট্র দফতরের ডেপুটি হেড মোহাম্মদ কোসারি স্পষ্টই বলেছেন, অধিকতর কঠোর ব্যবস্থা দ্বারা পশ্চিমা শক্তি যদি ইরানের তেল বিক্রির পথ বন্ধ করতে চায়, তাহলে ইরানও 'স্ট্রেইট অব হরমুজ' অবশ্যই বন্ধ করে দেবে। তাহলে পশ্চিমা জগতে তেলের দাম বৃদ্ধিসহ যে বিপর্যয় দেখা দেবে তা হবে অভাবনীয়।
ইরান দাবি করছে, তারা শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রগুলো চালাচ্ছে। আমেরিকা দাবি করছে, ইরান পরমাণু বোমা বানাচ্ছে। যদি ইরান তা বানাতে চায়ও, তাহলে আপত্তিটা কোথায়? পৃথিবীর ছোট-বড় অসংখ্য দেশের হাতে যদি পরমাণু বোমা থাকতে পারে, এমনকি ইসরায়েলের হাতেও, তাহলে ইরান এই বোমা বানালে অসুবিধাটা কোথায়? ভারত ও পাকিস্তান দুটি দেশই পরমাণু বোমা বানিয়েছে। কই, এই দুটি দেশে হামলা চালানোর হুমকি তো আমেরিকা দেয়নি। বরং আমেরিকা এখন ভারতকে পরমাণু ক্লাবের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে তার সঙ্গে পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি করেছে। ইরান পরমাণু বোমার অধিকারী হতে পারলে তাকেও পরমাণু ক্লাবের সদস্য করে আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ন্ত্রণের অধীনে আনতে চেষ্টা চালাতে বাধাটা কী?
জন আর ব্রাডলি তার ডেইলি মেইলের নিবন্ধে লিখেছেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে, তার কোনো প্রমাণ নেই। পশ্চিমা দেশগুলো তা দেখাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক অ্যাটোমিক এনার্জি কমিশন অন ইরান দেশটির আণবিক গবেষণা কার্যের সমালোচক; কিন্তু তাদের চলতি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরান পরমাণু বোমা বানিয়েছে এমন প্রমাণ তাদের হাতে নেই।
তাই অনেক পশ্চিমা পর্যবেক্ষকই বলছেন, ইরান বোমা বানিয়েছে, তার সঠিক প্রমাণ পাওয়ার আগেই দেশটি আক্রমণের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আর যে ইসরায়েলের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকার প্রমাণ রয়েছে, তাকে এই অস্ত্র বর্জনের কোনো চাপই দিচ্ছে না পশ্চিমা দেশগুলো। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের জন্য ইরান এক বিপজ্জনক হুমকি। বাস্তবে ইরান মৌখিকভাবে ইসরায়েলকে কিছু হুশিয়ারি দেওয়া ছাড়া এবং প্যালেস্টাইনের নির্যাতিত আরবদের সহায়তা ও সমর্থন দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনি। অন্যদিকে ইসরায়েল শুধু ইরানের ওপর হামলা চালানোর প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে না, ইরানের চারজন টপ নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্টকে মোসাদের সাহায্যে গুপ্তহত্যা করেছে। এর বিরুদ্ধে আমেরিকা বা তার মিত্রদের মুখে টুঁ-শব্দটি নেই। এই ধরনের একজন ইসরায়েলি টপ বিজ্ঞানীকেও ইরান গোপনে হত্যা করলে তা নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় ঝড় উঠত, হয়তো ইসরায়েল বোমা হামলা চালাত ইরানের কোনো সংস্থাপনার ওপর।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদকে একজন উগ্র হঠকারী নেতা বলে প্রমাণ করার জন্য পশ্চিমা মিডিয়াগুলো ব্যস্ত। কিন্তু ইসরায়েলের ভয়াবহ ঘাতক চরিত্রের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর 'হকিস' কথাবার্তা ও কার্যকলাপ সম্পর্কে পশ্চিমা নেতা ও মিডিয়াগুলো নীরব। ইরান অবশ্যই মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়। তাকে আধিপত্যবাদী আখ্যা দিয়ে প্রকৃত আধিপত্যবাদী মার্কিন-ইসরায়ের চক্র মিথ্যা অজুহাতে আগ্রাসনের মাধ্যমে ইরানকে ধ্বংস করতে আগ্রহী। আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আগে ওবামা প্রশাসন ভোটে জেতার জন্য একটা অ্যাডভেঞ্চার করে ফেলতে পারে। সঙ্গে ইসরায়েল ও সৌদি আরব তো এসে জুটবেই।
কিন্তু এই অবৈধ হামলা চালাতে গেলে আমেরিকা ও তার মিত্ররা কি ইরাক ও লিবিয়ার মতো সহজেই ওয়াকওভার পাবে? জন ব্রাডলি থেকে শুরু করে পশ্চিমের অনেক বিশেষজ্ঞই তা মনে করেন না। তারা বলছেন, ইরান আক্রান্ত হলে দেশটি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হতে পারে; কিন্তু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদও তার দোসরদেরসহ অন্তিম দিনটির দিকে অত্যন্ত দ্রুত এগিয়ে যাবে। ইসরায়েলের অস্তিত্ব ভবিষ্যতে টিকে থাকার প্রশ্নটিও দেখা দেবে। এ সম্পর্কে ভবিষ্যতে বিস্তারিত আলোচনার ইচ্ছা রইল।
লন্ডন, ২৭ জানুয়ারি ২০১২, শুক্রবার
No comments