প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ-পরাজয়েও স্বরূপে মাশরাফি
শুধু ভিক্টোরিয়াই একবার আটকিয়েছে। নইলে ওল্ড ডিওএইচএস তো অপ্রতিরোধ্যই! কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মোহামেডানের বিপক্ষে ৪৯ রানের জয়টি জয়রথে ছুটে চলা দলটির আট ম্যাচে সপ্তম, ভিক্টোরিয়ার কাছে হারার পর টানা ষষ্ঠ জয়। অন্যদিকে টানা ছয় জয় পাওয়া মোহামেডান হারল দ্বিতীয় ম্যাচ। নবাগত শেখ জামালের কাছে তারা প্রথম হারে লিগের প্রথম ম্যাচে।
আট ম্যাচে ছয় জয় আবাহনীরও। বিকেএসপিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা বিমানকে হারিয়েছে ৬৭ রানে। ফতুল্লায় গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সকে ৪৯ রানে হারিয়ে তৃতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে ব্রাদার্স। গাজী হারল তৃতীয় ম্যাচ।
বাংলাদেশের উইকেটে স্পিন খেলা যতটা চ্যালেঞ্জিং, পেস খেলা ততটা নয়। ভালো ফুটওয়ার্ক না থাকলেও পেস বলে ব্যাট চালিয়ে দিতে পারে ব্যাটসম্যান। স্পিনে সেটা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন ওল্ড ডিওএইচএস কোচ খালেদ মাহমুদ। এই চিন্তা থেকেই এবার বোলিং আক্রমণ সাজাচ্ছেন কেবল স্পিনারদের দিয়ে। কাল যেমন পেসার জিয়াউর রহমান খেললেও বল করেননি, ছিলেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান। আরেক পেসার মোহাম্মদ শরীফ তো বসে থাকলেন ডাগ আউটেই!
স্পিন কালও ছিল ওল্ড ডিওএইচএসের নির্ভরতা। হাত ঘোরানো আট বোলারই স্পিনার। সবচেয়ে সফল নতুন বল হাতে বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। মূলত তাঁরই আঘাতে ১১ বল বাকি থাকতে মোহামেডান অলআউট ২১৩ রানে। ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন, ৪৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে দেলোয়ার ও রাসেলকে পর পর বোল্ড করার পর হ্যাটট্রিকটাও পেতে পারতেন। কিন্তু পরের বলে প্রথম স্লিপে শেষ ব্যাটসম্যান অমিতের ক্যাচটা নিতে পারেননি জিয়া। ওল্ড ডিওএইচএসের ২৬২ রানের জবাবে ওপেনার ইমতিয়াজ (৫২), তিন নম্বর ব্যাটসম্যান রমিজ রাজা জুনিয়র (৪০) ও সাত নম্বরে নামা আরেক পাকিস্তানি সারমাদ ভাট্টির (৪৪) চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি মোহামেডানের জয়ের জন্য। এর আগে দুই পাকিস্তানি রমিজ পিঞ্জারা (৬০) ও আদনান রাজার (৫৬*) ফিফটির সৌজন্যেই ৭ উইকেটে ২৬২ রান তোলে ডিওএইচএস।
বিকেএসপিতে আবাহনীকে ২৮৫ রানের পুঁজি জোগান ভারতীয় ব্যাটসম্যান পুনিত সিং (৮২) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৬১)। এবারের লিগে কাল নিজের চতুর্থ ফিফটিটি করলেন, সঙ্গে একটি সেঞ্চুরিসহ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান (৩৭৮) সংগ্রাহক মাহমুদউল্লাহই। সাত ম্যাচে ৩৭৬ রান নিয়ে কলাবাগানের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান রিফাতউল্লাহ দ্বিতীয় স্থানে।
আবাহনী জিতলেও বিকেএসপিতে সবার চোখ ছিল মাশরাফির ওপর। নতুন বলে ৬ ওভারের এক স্পেলে একটি মেডেনসহ ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। নিজের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ-পঞ্চম বলে আবাহনীর ওপেনার ফজলে রাব্বী ও দুইয়ে নামা পিটার ট্রেগোকে ফিরিয়েছেন মাশরাফি। কে জানে, আউট সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া শেষ বলটা পুনিত সিং খেলার চেষ্টা করলে হয়তো হ্যাটট্রিকটাও পেয়ে যেতেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক! ম্যাচ শেষে অবশ্য তৃপ্তই শোনাল মাশরাফির কণ্ঠ, ‘রিদম ভালো পেয়েছি, সে জন্য আজ (গতকাল) পেসও বেড়েছে। তা ছাড়া বলে সুইং হচ্ছিল। সুইং পেলে সব সময়ই ভালো লাগে আমার।’
২৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর উইকেটে এসে ওপেনার আনামুল হকের (৪৩) সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭৪ ও চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েছেন পুনিত। আবাহনীর ২৮৫ রানের জবাবে কখনোই জয়ের ইচ্ছা জাগিয়ে ব্যাট করতে না পারা বিমান গেছে ৯ উইকেটে ২১৮ রান পর্যন্ত।
ইমরান নাজির (৮৫) ও নাজিমউদ্দিনের (৪২) ১২৮ রানের ওপেনিং জুটির পরও ৫০ ওভারে ব্রাদার্সের ২৫১ রান একটু কমই। দলীয় ১২৮ রানে ইমরান ফেরার পর ৩২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়াটাই রান আরও বেশি না হওয়ার কারণ। গাজী ট্যাংক অবশ্য ধারেকাছেও যেতে পারেনি। ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান এলেও পরের ১০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে পথ ভুলে যায় দলটা। সপ্তম উইকেটে অলক (৫৫) ও নাজমুল মিলন (৪০) ৯০ রানের জুটি গড়েও সেই পথের সন্ধান দিতে পারেননি। হ্যাটট্রিক হতে পারত এই ম্যাচেও। ইনিংসের দশম ওভারে পর পর দুই বলে গাজীর দুই ওপেনার কায়সার আব্বাস ও রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে সম্ভাবনাটা জাগিয়েছিলেন বিমানের তাপস ঘোষ। হ্যাটট্রিক না হলেও ৪০ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
সং ক্ষি প্ত স্কো র
আবাহনী: ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (পুনিত ৮২, মাহমুদউল্লাহ ৬১, আনামুল ৪৩, মার্শাল ২৬, রজত ২১; আসিফ ৩/৪৯, মাশরাফি ২/১৯)। বিমান: ৫০ ওভারে ২১৮/৯ (জুনায়েদ ৪৪, লতিফ ৪০, এহসানুল ৩৫, ফরিদ ৩৬*; নাজমুল ২/৩১, আবুল ২/৪৬)। ফল: আবাহনী ৬৭ রানে জয়ী।
ওল্ড ডিওএইচএস: ৫০ ওভারে ২৬২/৭ (রমিজ পিঞ্জারা ৬০, আদনান ৫৬*, শুভাগত ৩৮, ফয়সাল ৩৫, জিয়া ২৮, আশরাফুল ২৫; ইয়াসিম ২/৫৫)। মোহামেডান: ৪৮.১ ওভারে ২১৩ (ইমতিয়াজ ৫২, সারমাদ ৪৪, রমিজ জুনিয়র ৪০; নাবিল ৫/৪৫, আশরাফুল ২/২৭)।
ফল: ওল্ড ডিওএইচএস ৪৯ রানে জয়ী।
ব্রাদার্স: ৫০ ওভারে ২৫১/৭ (ইমরান ৮৫, মনসুর ৪৮, নাজিমউদ্দিন ৪২, তুষার ২৬; আসিফ ২/৩২, অলক ২/৪৬)। গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স: ৪৪ ওভারে ২০২ (অলক ৫৫, নাজমুল ৪০, আসিফ ২৮, কায়সার ২১; তাপস ঘোষ ৪/৪০, তুষার ২/২৩, শাকের ২/৪৫)। ফল: ব্রাদার্স ৪৯ রানে জয়ী।
বাংলাদেশের উইকেটে স্পিন খেলা যতটা চ্যালেঞ্জিং, পেস খেলা ততটা নয়। ভালো ফুটওয়ার্ক না থাকলেও পেস বলে ব্যাট চালিয়ে দিতে পারে ব্যাটসম্যান। স্পিনে সেটা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন ওল্ড ডিওএইচএস কোচ খালেদ মাহমুদ। এই চিন্তা থেকেই এবার বোলিং আক্রমণ সাজাচ্ছেন কেবল স্পিনারদের দিয়ে। কাল যেমন পেসার জিয়াউর রহমান খেললেও বল করেননি, ছিলেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান। আরেক পেসার মোহাম্মদ শরীফ তো বসে থাকলেন ডাগ আউটেই!
স্পিন কালও ছিল ওল্ড ডিওএইচএসের নির্ভরতা। হাত ঘোরানো আট বোলারই স্পিনার। সবচেয়ে সফল নতুন বল হাতে বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। মূলত তাঁরই আঘাতে ১১ বল বাকি থাকতে মোহামেডান অলআউট ২১৩ রানে। ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন, ৪৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে দেলোয়ার ও রাসেলকে পর পর বোল্ড করার পর হ্যাটট্রিকটাও পেতে পারতেন। কিন্তু পরের বলে প্রথম স্লিপে শেষ ব্যাটসম্যান অমিতের ক্যাচটা নিতে পারেননি জিয়া। ওল্ড ডিওএইচএসের ২৬২ রানের জবাবে ওপেনার ইমতিয়াজ (৫২), তিন নম্বর ব্যাটসম্যান রমিজ রাজা জুনিয়র (৪০) ও সাত নম্বরে নামা আরেক পাকিস্তানি সারমাদ ভাট্টির (৪৪) চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি মোহামেডানের জয়ের জন্য। এর আগে দুই পাকিস্তানি রমিজ পিঞ্জারা (৬০) ও আদনান রাজার (৫৬*) ফিফটির সৌজন্যেই ৭ উইকেটে ২৬২ রান তোলে ডিওএইচএস।
বিকেএসপিতে আবাহনীকে ২৮৫ রানের পুঁজি জোগান ভারতীয় ব্যাটসম্যান পুনিত সিং (৮২) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৬১)। এবারের লিগে কাল নিজের চতুর্থ ফিফটিটি করলেন, সঙ্গে একটি সেঞ্চুরিসহ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান (৩৭৮) সংগ্রাহক মাহমুদউল্লাহই। সাত ম্যাচে ৩৭৬ রান নিয়ে কলাবাগানের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান রিফাতউল্লাহ দ্বিতীয় স্থানে।
আবাহনী জিতলেও বিকেএসপিতে সবার চোখ ছিল মাশরাফির ওপর। নতুন বলে ৬ ওভারের এক স্পেলে একটি মেডেনসহ ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। নিজের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ-পঞ্চম বলে আবাহনীর ওপেনার ফজলে রাব্বী ও দুইয়ে নামা পিটার ট্রেগোকে ফিরিয়েছেন মাশরাফি। কে জানে, আউট সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া শেষ বলটা পুনিত সিং খেলার চেষ্টা করলে হয়তো হ্যাটট্রিকটাও পেয়ে যেতেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক! ম্যাচ শেষে অবশ্য তৃপ্তই শোনাল মাশরাফির কণ্ঠ, ‘রিদম ভালো পেয়েছি, সে জন্য আজ (গতকাল) পেসও বেড়েছে। তা ছাড়া বলে সুইং হচ্ছিল। সুইং পেলে সব সময়ই ভালো লাগে আমার।’
২৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর উইকেটে এসে ওপেনার আনামুল হকের (৪৩) সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭৪ ও চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েছেন পুনিত। আবাহনীর ২৮৫ রানের জবাবে কখনোই জয়ের ইচ্ছা জাগিয়ে ব্যাট করতে না পারা বিমান গেছে ৯ উইকেটে ২১৮ রান পর্যন্ত।
ইমরান নাজির (৮৫) ও নাজিমউদ্দিনের (৪২) ১২৮ রানের ওপেনিং জুটির পরও ৫০ ওভারে ব্রাদার্সের ২৫১ রান একটু কমই। দলীয় ১২৮ রানে ইমরান ফেরার পর ৩২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়াটাই রান আরও বেশি না হওয়ার কারণ। গাজী ট্যাংক অবশ্য ধারেকাছেও যেতে পারেনি। ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান এলেও পরের ১০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে পথ ভুলে যায় দলটা। সপ্তম উইকেটে অলক (৫৫) ও নাজমুল মিলন (৪০) ৯০ রানের জুটি গড়েও সেই পথের সন্ধান দিতে পারেননি। হ্যাটট্রিক হতে পারত এই ম্যাচেও। ইনিংসের দশম ওভারে পর পর দুই বলে গাজীর দুই ওপেনার কায়সার আব্বাস ও রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে সম্ভাবনাটা জাগিয়েছিলেন বিমানের তাপস ঘোষ। হ্যাটট্রিক না হলেও ৪০ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
সং ক্ষি প্ত স্কো র
আবাহনী: ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (পুনিত ৮২, মাহমুদউল্লাহ ৬১, আনামুল ৪৩, মার্শাল ২৬, রজত ২১; আসিফ ৩/৪৯, মাশরাফি ২/১৯)। বিমান: ৫০ ওভারে ২১৮/৯ (জুনায়েদ ৪৪, লতিফ ৪০, এহসানুল ৩৫, ফরিদ ৩৬*; নাজমুল ২/৩১, আবুল ২/৪৬)। ফল: আবাহনী ৬৭ রানে জয়ী।
ওল্ড ডিওএইচএস: ৫০ ওভারে ২৬২/৭ (রমিজ পিঞ্জারা ৬০, আদনান ৫৬*, শুভাগত ৩৮, ফয়সাল ৩৫, জিয়া ২৮, আশরাফুল ২৫; ইয়াসিম ২/৫৫)। মোহামেডান: ৪৮.১ ওভারে ২১৩ (ইমতিয়াজ ৫২, সারমাদ ৪৪, রমিজ জুনিয়র ৪০; নাবিল ৫/৪৫, আশরাফুল ২/২৭)।
ফল: ওল্ড ডিওএইচএস ৪৯ রানে জয়ী।
ব্রাদার্স: ৫০ ওভারে ২৫১/৭ (ইমরান ৮৫, মনসুর ৪৮, নাজিমউদ্দিন ৪২, তুষার ২৬; আসিফ ২/৩২, অলক ২/৪৬)। গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স: ৪৪ ওভারে ২০২ (অলক ৫৫, নাজমুল ৪০, আসিফ ২৮, কায়সার ২১; তাপস ঘোষ ৪/৪০, তুষার ২/২৩, শাকের ২/৪৫)। ফল: ব্রাদার্স ৪৯ রানে জয়ী।
No comments