ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি-ঝুলে আছে সীমান্ত প্রটোকল বাস্তবায়ন by রাহীদ এজাজ
ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি হস্তান্তরে প্রটোকল সইয়ের পর প্রায় পাঁচ মাস পেরোলেও বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন ঝুলে আছে। প্রটোকলটি দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা। তবে এ ব্যাপারে দিল্লির অবস্থান হচ্ছে, সংবিধান সংশোধনসহ আইনি বাধ্যবাধকতার পর এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার-এর এক খবরে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে না ওঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে সই হওয়া প্রটোকল বাস্তবায়নে ‘ধীরে চলো’ নীতিতে হাঁটছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। খবরে দাবি করা হয়, ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তিতেই প্রটোকলটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলেননি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তা ছাড়া প্রটোকলটি বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বিরোধিতা করছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
তবে ভারতীয় একটি কূটনৈতিক সূত্র গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মমতার আপত্তির বিষয়টি ঠিক নয়। আর আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া লোকসভার বাজেট অধিবেশনেই বিষয়টি তোলা হবে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি হস্তান্তর এবং অবশিষ্ট সাড়ে ছয় কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমানার দীর্ঘ চার দশকের সমস্যা সুরাহার জন্য গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই দেশ ১৯৭৪ সালের সীমান্ত বাস্তবায়ন চুক্তির প্রটোকল সই করে।
ঢাকায় হাসিনা-মনমোহন শীর্ষ বৈঠকের পর ওই প্রটোকলটির সই নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করেছিল উভয় দেশই। বলা হয়েছিল, দীর্ঘ চার দশকের অমীমাংসিত বিষয়ের সুুরাহা হয়েছে। কিন্তু প্রটোকল সইয়ের পর প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গেলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
ঢাকা ও দিল্লিতে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের চুক্তি বাস্তবায়নের প্রটোকলটি অনুসমর্থনের জন্য ভারতীয় লোকসভার আগামী অধিবেশনে তোলা হবে। ওই অধিবেশন আগামী মাসে শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভারত প্রটোকল বাস্তবায়নে তাদের প্রস্তুতির কথা আমাদের জানিয়েছে। পাশাপাশি আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও বলেছে। ভারত আভাস দিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বাজেট অধিবেশনে প্রটোকলটি তোলা হবে।’ মমতার কথিত আপত্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভারতে কর্মরত বাংলাদেশের এক কূটনীতিক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। তবে প্রটোকল সইয়ের আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের লিখিত সম্মতি নিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের জোট সরকার। কাজেই প্রটোকল সইয়ের পর এ নিয়ে আপত্তি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ।’ এদিকে, ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্ত প্রটোকল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গুচ্ছ মানচিত্র সইয়ের কাজ এগিয়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ১১৪৯টি গুচ্ছ মানচিত্রের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ সই হয়েছে। ্রসীমান্তের অতি বিশদ চিত্র পাওয়ার জন্য এ ধরনের গুচ্ছ মানচিত্র তৈরি করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ১১১টি ভূখণ্ড বাংলাদেশে পড়েছে, যার আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর। আর ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ একর।
সীমান্তের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ-সংক্রান্ত এক চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ভূমি বিনিময় হলে বাংলাদেশের বাড়তি ১০ হাজার একর জমি পাওয়ার কথা।
তবে ভারতীয় একটি কূটনৈতিক সূত্র গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মমতার আপত্তির বিষয়টি ঠিক নয়। আর আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া লোকসভার বাজেট অধিবেশনেই বিষয়টি তোলা হবে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি হস্তান্তর এবং অবশিষ্ট সাড়ে ছয় কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমানার দীর্ঘ চার দশকের সমস্যা সুরাহার জন্য গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই দেশ ১৯৭৪ সালের সীমান্ত বাস্তবায়ন চুক্তির প্রটোকল সই করে।
ঢাকায় হাসিনা-মনমোহন শীর্ষ বৈঠকের পর ওই প্রটোকলটির সই নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করেছিল উভয় দেশই। বলা হয়েছিল, দীর্ঘ চার দশকের অমীমাংসিত বিষয়ের সুুরাহা হয়েছে। কিন্তু প্রটোকল সইয়ের পর প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গেলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
ঢাকা ও দিল্লিতে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের চুক্তি বাস্তবায়নের প্রটোকলটি অনুসমর্থনের জন্য ভারতীয় লোকসভার আগামী অধিবেশনে তোলা হবে। ওই অধিবেশন আগামী মাসে শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভারত প্রটোকল বাস্তবায়নে তাদের প্রস্তুতির কথা আমাদের জানিয়েছে। পাশাপাশি আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও বলেছে। ভারত আভাস দিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বাজেট অধিবেশনে প্রটোকলটি তোলা হবে।’ মমতার কথিত আপত্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভারতে কর্মরত বাংলাদেশের এক কূটনীতিক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। তবে প্রটোকল সইয়ের আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের লিখিত সম্মতি নিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের জোট সরকার। কাজেই প্রটোকল সইয়ের পর এ নিয়ে আপত্তি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ।’ এদিকে, ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্ত প্রটোকল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গুচ্ছ মানচিত্র সইয়ের কাজ এগিয়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ১১৪৯টি গুচ্ছ মানচিত্রের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ সই হয়েছে। ্রসীমান্তের অতি বিশদ চিত্র পাওয়ার জন্য এ ধরনের গুচ্ছ মানচিত্র তৈরি করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ১১১টি ভূখণ্ড বাংলাদেশে পড়েছে, যার আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর। আর ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ একর।
সীমান্তের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ-সংক্রান্ত এক চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ভূমি বিনিময় হলে বাংলাদেশের বাড়তি ১০ হাজার একর জমি পাওয়ার কথা।
No comments