এ অধিকার গভর্নরের নেই-কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অশুভ দৃষ্টান্ত
ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর আগে শেষ কার্যদিবসে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ গোপনে এমন একটি কাজ করেছে, যার ক্ষতিকর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের কক্ষে একজন উপপরিচালককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার দায়ে ১০ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে গত এপ্রিল মাসে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, ৩ নভেম্বর এসে তা মওকুফ করে দেওয়া হলো।
করণিক, গাড়িচালক, কেয়ারটেকার ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদের ওই ১০ সিবিএ নেতার মধ্যে ছয়জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল। ছয় মাস অবসরে কাটানোর পর তাঁদের আবার চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হলো! অন্যদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি তিন বছরের জন্য বন্ধ রেখে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছিল। এখন তাদের আর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ থাকবে না এবং তাঁরা যথারীতি আবার ঢাকায় ফিরে আগের মতোই অফিস করতে ও সিবিএর তৎপরতা চালাতে পারবেন!
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো মর্যাদাবান রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সেখানে কোনো কর্মকর্তার গায়ে কেউ হাত তুলবেন—এটা ভাবাই যায় না। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের নামে নিম্নপদস্থ শ্রমিক-কর্মচারীর একাংশের উচ্ছৃঙ্খলতা ও দাপটের কারণে তেমন ঘটনা ঘটেছে। ২০০৩ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও গভর্নরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অপরাধে ১০ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে এমন ব্যবস্থা নেওয়াই সংগত ও সমীচীন ছিল। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এটা কেমন কাজ করলেন? তাঁর একক সিদ্ধান্তেই শাস্তিপ্রাপ্তদের শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। কারণ, তিনি যে পুনর্বিবেচনা কমিটি গঠন করেছিলেন, সেই কমিটি সুনির্দিষ্টভাবে বলেছে—শাস্তিপ্রাপ্তদের আপিল আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র গভর্নরের।
আওয়ামী লীগপন্থী এই দণ্ডিত সিবিএ নেতাদের দণ্ড মওকুফ করে দিয়ে গভর্নর কী বার্তা দিলেন? কী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন? উপপরিচালক কেন, ভবিষ্যতে খোদ গভর্নরকেও যদি মারধর করা হয়—শাস্তি হবে না? বা হলেও তা মওকুফ করার ব্যবস্থা থাকবে? এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মশৃঙ্খলা, কাজের পরিবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যকার সম্পর্ক বিপর্যস্ত করার অধিকার কারোই নেই।
শাস্তি মওকুফ আইনসিদ্ধ হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখার বিষয়। কারণ, প্রহূত কর্মকর্তা মামলা করেছেন। মামলা চলাকালে চাকরিচ্যুত কাউকে পুনর্বহাল করার বিধান নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো মর্যাদাবান রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সেখানে কোনো কর্মকর্তার গায়ে কেউ হাত তুলবেন—এটা ভাবাই যায় না। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের নামে নিম্নপদস্থ শ্রমিক-কর্মচারীর একাংশের উচ্ছৃঙ্খলতা ও দাপটের কারণে তেমন ঘটনা ঘটেছে। ২০০৩ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও গভর্নরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অপরাধে ১০ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে এমন ব্যবস্থা নেওয়াই সংগত ও সমীচীন ছিল। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এটা কেমন কাজ করলেন? তাঁর একক সিদ্ধান্তেই শাস্তিপ্রাপ্তদের শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। কারণ, তিনি যে পুনর্বিবেচনা কমিটি গঠন করেছিলেন, সেই কমিটি সুনির্দিষ্টভাবে বলেছে—শাস্তিপ্রাপ্তদের আপিল আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র গভর্নরের।
আওয়ামী লীগপন্থী এই দণ্ডিত সিবিএ নেতাদের দণ্ড মওকুফ করে দিয়ে গভর্নর কী বার্তা দিলেন? কী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন? উপপরিচালক কেন, ভবিষ্যতে খোদ গভর্নরকেও যদি মারধর করা হয়—শাস্তি হবে না? বা হলেও তা মওকুফ করার ব্যবস্থা থাকবে? এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মশৃঙ্খলা, কাজের পরিবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যকার সম্পর্ক বিপর্যস্ত করার অধিকার কারোই নেই।
শাস্তি মওকুফ আইনসিদ্ধ হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখার বিষয়। কারণ, প্রহূত কর্মকর্তা মামলা করেছেন। মামলা চলাকালে চাকরিচ্যুত কাউকে পুনর্বহাল করার বিধান নেই।
No comments