আবুধাবি টেস্ট-স্পিন-স্বর্গে রোমাঞ্চকর টেস্ট
টেস্ট শুরুর আগে সম্ভাব্য ফল হিসেবে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের কথাই সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছিল। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেট প্রথম দিনই সবাইকে চমকে দিয়ে সেটির অসারতা প্রমাণ করা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল। তৃতীয় দিন শেষে সেটি পুরোপুরি নিশ্চিত। ফলাফল হচ্ছেই। কিন্তু কে হাসবে শেষ হাসি? পাকিস্তান এক টেস্ট বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে যাবে, নাকি ইংল্যান্ড ফিরিয়ে আনবে সমতা?
আজহার আলী মনে করেন, ইংল্যান্ডকে ১৫০-১৬০ রানের টার্গেট দিতে পারলেই জোর লড়াই হবে। কেন এটা বলছেন, কারণটা অনুমেয়। উইকেট স্পিন-স্বর্গ হয়ে উঠছে, এখানে পাকিস্তানের স্পিনত্রয়ীর বিপক্ষে শেষে ব্যাটিং করাটা বড় এক পরীক্ষার নামই।
তা আজহার আলী পাকিস্তানের মুখপাত্র হয়ে গেলেন কেন? কারণ, পাকিস্তানের আশা বেঁচে আছে তাঁর সৌজন্যেই। ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন, সঙ্গী আসাদ শফিকের রান ৩৫।
১৫০-১৬০ রানের টার্গেট দেওয়াও কিন্তু পাকিস্তানের জন্য সহজ ব্যাপার নয়। প্রথম ইনিংসে ৭০ রানে পিছিয়ে থাকায় ৪ উইকেটে ১২৫ রান তো আসলে ৪ উইকেটে ৫৫! মজার ব্যাপার, পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ উইকেটও পড়েছে আর ১ রান কমে, অর্থাৎ ৫৪ রানে। ৩ উইকেটই নিয়েছেন পানেসার। ষষ্ঠ ওভারেই আক্রমণে এসে নিজের চতুর্থ ওভারেই হাফিজকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। পরের ওভারে তৌফিক উমরকে একই ভাবে ফেরান সোয়ান।
দুটি আউটের কোনোটিতেই স্পিনের কারিকুরি ছিল না, সোজা বল। তবে ইউনুস খানকে ফিরিয়ে দেওয়া পানেসারের বলটি ছিল বাঁহাতি স্পিনারের স্বপ্নের বল। ফ্লাইটেড বল মিডল স্টাম্পে পড়ে বাঁক নিয়ে লেগেছে অফ স্টাম্পে। পানেসার যে বিশাল এক লাফ দিয়েছেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
মিসবাহকেও বেশিক্ষণ থাকতে দিলেন না পানেসার। এর পরই শুরু পাকিস্তানের তরুণ দুই ব্যাটসম্যানের প্রতিরোধ। সকালে ইংল্যান্ড আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে যোগ করেছে আরও ১১৬ রান। ৬২ বলে ৫২ রানের আনন্দদায়ী এক ইনিংস খেলে এতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা স্টুয়ার্ট ব্রডের। তথ্যসূত্র: এএফপি।
চওড়া ব্যাট
৮ ও ৯ নম্বরে স্টুয়ার্ট ব্রডের গড় ৩০.৪৩। এই দুই পজিশনে কমপক্ষে ৪০ ইনিংস খেলেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পঞ্চম সেরা।
No comments