পবিত্র কোরআনের আলো-মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে রাসুল তাদের পাহারাদার নন অভিভাবকও নন
১০৪. ক্বাদ জা'-আকুম্ বাছা-য়িরু মির্ রাবি্বকুম; ফামান আবছারা ফালিনাফছিহি; ওয়া মান আ'মিইয়া ফাআ'লাইহা; ওয়া মা আনা আ'লাইকুম বিহাফীয্ব। ১০৫. ওয়া কাযা-লিকা নুসার্রিফুল আয়াতি ওয়া লিইয়াক্বূলূ দারাছ্তা ওয়া লিনুবায়্যিনাহূ লিক্বাওমিন ইয়া'লামূন
১০৬. ইত্তাবি' মা ঊহিইয়া ইলাইকা মির্ রাবি্বকা লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া; ওয়া আ'রিদ্ব আ'নিল মুশরিকীন।
১০৬. ইত্তাবি' মা ঊহিইয়া ইলাইকা মির্ রাবি্বকা লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া; ওয়া আ'রিদ্ব আ'নিল মুশরিকীন।
১০৭. ওয়া লাও শা-আল্লাহু মা আশ্রাকূ; ওয়া মা জাআ'লনাকা আ'লাইহিম হাফীযান ওয়া মা আনতা আ'লাইহিম বিওয়াকীল।
[সুরা : আল আনয়াম, আয়াত : ১০৪-১০৭]
অনুবাদ : ১০৪. তোমাদের কাছে তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে সত্যকে দেখার উপায় এসেছে। অতঃপর যে ব্যক্তি এটা দেখবে, সে তার নিজের কল্যাণেই তা দেখবে। আর যে ব্যক্তি অন্ধ হয়ে থাকবে, সে নিজ দায়িত্বেই তা করবে। অর্থাৎ নিজেরই অনিষ্ট করবে। (হে নবী! আপনি বলুন) আমি তোমাদের রক্ষণাবেক্ষণকারী নই।
১০৫. এভাবেই আমি আমার আয়াতগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করি। যেন তারা বলে যে আপনি এগুলো পড়েছেন, আর জ্ঞানীদের জন্য আমি এগুলো আরো পরিষ্কার করে দিতে চাই।
১০৬. আপনি শুধু এগুলোই অনুসরণ করুন, যেগুলো আপনার প্রভুর কাছ থেকে ওহির মাধ্যমে এসেছে। আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, যারা শিরকে লিপ্ত তাদের আপনি এড়িয়ে চলুন।
১০৭. আল্লাহ তায়ালা যদি চাইতেন, তবে এরা কেউই শিরকে লিপ্ত থাকত না। আমি তো আপনাকে তাদের ওপর রক্ষণাবেক্ষণকারী বানিয়ে পাঠাইনি, আর আপনি তাদের অভিভাবকও নন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মানুষের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। স্বাধীনতা মানেই দায়িত্ব, স্বাধীনতা মানেই জবাবদিহিতার প্রেক্ষাপট উন্মোচিত করা। এ আয়াতগুলোর মাধ্যমে কোরআন মজিদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, এই কোরআনকে মানুষের কাছে পাঠানো হয়েছে সত্যকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখার উপায় হিসেবে। স্বাধীন মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে, নিজের কল্যাণে এই কোরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। আর যারা শিক্ষা নেবে না, তারা নিজ দায়িত্বেই তা করবে। অর্থাৎ তারা তাদের নিজেদেরই অনিষ্ট করবে। এখানে কোরআন নাজিলের প্রেক্ষিত বা উপকারিতাগুলোও সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষ যাতে পৃথিবীতে তার জীবনের পথ নির্মাণের সময় সঠিক পথের দিশা বা সত্যকে খুঁজে পায়।
দ্বিতীয়ত, যারা পথহারা হবে তারা যেন বলতে না পারে যে কোথাও কোনো পথের দিশা পাইনি; বরং তারা যেন বলতে বাধ্য হয় যে আমাদের সামনে এই কোরআন পাঠ করার মাধ্যমে পথনির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয়ত, এই কোরআন নাজিল করা হয়েছে জ্ঞানী ও সমঝদার ব্যক্তিদের জন্য, যারা অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে এই কোরআন থেকে অনেক গভীর জ্ঞান আহরণ করবে। পরবর্তী ১০৬ ও ১০৭ নম্বর আয়াতে আগের প্রসঙ্গের ধারাবাহিকতায়ই বলা হয়েছে_রাসুল যেন নাজিলকৃত কোরআনের দৃষ্টিভঙ্গি ধরেই চলেন এবং মুশরিকদের এড়িয়ে চলেন। আল্লাহ তায়ালা যদি চাইতেন, তবে মুশরিকরা শিরক করত না। তিনি চাইলে সারা দুনিয়ার সব মানুষকেই একত্ববাদের ছায়াতলে সমবেত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি; কারণ তিনি মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। যারা যে পথে যেতে চায় সে পথে তারা যাবে। তবে সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব তাদের নিজেদের। যারা ভালো পথে যেতে চায় তারা এর প্রতিদান পাবে, আর যারা খারাপ পথে যেতে চায় তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর এই নীতি আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন এ জন্য যে তিনি মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীন মানুষ অনেক মর্যাদাবান, তবে তার কর্ম ও বিশ্বাসের দায়দায়িত্ব তার নিজের।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আল আনয়াম, আয়াত : ১০৪-১০৭]
অনুবাদ : ১০৪. তোমাদের কাছে তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে সত্যকে দেখার উপায় এসেছে। অতঃপর যে ব্যক্তি এটা দেখবে, সে তার নিজের কল্যাণেই তা দেখবে। আর যে ব্যক্তি অন্ধ হয়ে থাকবে, সে নিজ দায়িত্বেই তা করবে। অর্থাৎ নিজেরই অনিষ্ট করবে। (হে নবী! আপনি বলুন) আমি তোমাদের রক্ষণাবেক্ষণকারী নই।
১০৫. এভাবেই আমি আমার আয়াতগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করি। যেন তারা বলে যে আপনি এগুলো পড়েছেন, আর জ্ঞানীদের জন্য আমি এগুলো আরো পরিষ্কার করে দিতে চাই।
১০৬. আপনি শুধু এগুলোই অনুসরণ করুন, যেগুলো আপনার প্রভুর কাছ থেকে ওহির মাধ্যমে এসেছে। আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, যারা শিরকে লিপ্ত তাদের আপনি এড়িয়ে চলুন।
১০৭. আল্লাহ তায়ালা যদি চাইতেন, তবে এরা কেউই শিরকে লিপ্ত থাকত না। আমি তো আপনাকে তাদের ওপর রক্ষণাবেক্ষণকারী বানিয়ে পাঠাইনি, আর আপনি তাদের অভিভাবকও নন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মানুষের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। স্বাধীনতা মানেই দায়িত্ব, স্বাধীনতা মানেই জবাবদিহিতার প্রেক্ষাপট উন্মোচিত করা। এ আয়াতগুলোর মাধ্যমে কোরআন মজিদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, এই কোরআনকে মানুষের কাছে পাঠানো হয়েছে সত্যকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখার উপায় হিসেবে। স্বাধীন মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে, নিজের কল্যাণে এই কোরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। আর যারা শিক্ষা নেবে না, তারা নিজ দায়িত্বেই তা করবে। অর্থাৎ তারা তাদের নিজেদেরই অনিষ্ট করবে। এখানে কোরআন নাজিলের প্রেক্ষিত বা উপকারিতাগুলোও সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষ যাতে পৃথিবীতে তার জীবনের পথ নির্মাণের সময় সঠিক পথের দিশা বা সত্যকে খুঁজে পায়।
দ্বিতীয়ত, যারা পথহারা হবে তারা যেন বলতে না পারে যে কোথাও কোনো পথের দিশা পাইনি; বরং তারা যেন বলতে বাধ্য হয় যে আমাদের সামনে এই কোরআন পাঠ করার মাধ্যমে পথনির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয়ত, এই কোরআন নাজিল করা হয়েছে জ্ঞানী ও সমঝদার ব্যক্তিদের জন্য, যারা অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে এই কোরআন থেকে অনেক গভীর জ্ঞান আহরণ করবে। পরবর্তী ১০৬ ও ১০৭ নম্বর আয়াতে আগের প্রসঙ্গের ধারাবাহিকতায়ই বলা হয়েছে_রাসুল যেন নাজিলকৃত কোরআনের দৃষ্টিভঙ্গি ধরেই চলেন এবং মুশরিকদের এড়িয়ে চলেন। আল্লাহ তায়ালা যদি চাইতেন, তবে মুশরিকরা শিরক করত না। তিনি চাইলে সারা দুনিয়ার সব মানুষকেই একত্ববাদের ছায়াতলে সমবেত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি; কারণ তিনি মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। যারা যে পথে যেতে চায় সে পথে তারা যাবে। তবে সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব তাদের নিজেদের। যারা ভালো পথে যেতে চায় তারা এর প্রতিদান পাবে, আর যারা খারাপ পথে যেতে চায় তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর এই নীতি আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন এ জন্য যে তিনি মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীন মানুষ অনেক মর্যাদাবান, তবে তার কর্ম ও বিশ্বাসের দায়দায়িত্ব তার নিজের।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments