ধর্ম-মিতব্যয়ী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হোন by ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
মিতব্যয়ী হওয়া ইসলামি জীবনাদর্শের অনুপম শিক্ষা ও বিশেষ গুণ। ইসলামের দৃষ্টিতে মিতব্যয়িতা হচ্ছে ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যম বা মাঝামাঝি পন্থা অবলম্বন করা। কোনো কাজ ও কথায় সীমা অতিক্রম, বাড়াবাড়ি ও মাত্রাতিরিক্ত কিছু না করা মিতাচার। শৃঙ্খলাপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মধ্যমপন্থা অনুসরণ করাই ইসলামের নির্দেশ।
অপচয় ও অপব্যয় মানুষের মন্দ স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। অপচয় হচ্ছে বৈধ কাজে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করা, যাকে আরবিতে ‘ইস্রাফ’ বলে। আর অপব্যয় হচ্ছে অবৈধ কাজে ব্যয় করা, যাকে আরবিতে ‘তাব্যীর’ বলে। সুতরাং, অপচয় ও অপব্যয় না করে তা মানবকল্যাণে যথাসাধ্য ব্যয় করাই হচ্ছে প্রকৃত মানুষের কাজ। আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানের গুণাবলি বর্ণনা প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপব্যয় করে না, কৃপণতাও করে না এবং তারা আছে এ দুয়ের মধ্যে মধ্যমপন্থায়।’ (সূরা আল-ফুরকান, আয়াত-৬৭)
ইসলাম প্রয়োজনের অতিরিক্ত অপব্যয় করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আল্লাহভীরু মানুষকে তার নিজের ক্ষমতার মধ্যে ব্যয় সীমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অপাত্রে বিনা প্রয়োজনে অপরিমিত ব্যয় ক্ষতি ছাড়া কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না; বরং বাহুল্য ব্যয়ে সাধারণত গর্ব, অহংকার, আত্মপ্রসাদের প্রদর্শনী হওয়ায় এ ধরনের অনৈতিক ত্রুটি সমাজের লোকজনের কাছে গোপন থাকে না। অপচয়কারীরা দোষী এ কারণে যে তারা নিজের অপ্রয়োজনে ব্যয় করছে, অথচ নিঃস্ব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করছে না। মানুষ তখনই মানুষ হয়, যখন সে অন্য মানুষের দুঃখ-কষ্টে সহানুভূতি দেখায়, বিপদে-আপদে সহায়তা করে।
দেশের ও আপামর জনসাধারণের সার্বিক কল্যাণের জন্য ধনসম্পদ ব্যয় করা উত্তম। তবে দেশ ও জাতির ক্ষতিকর ও অনিষ্টকর, যেমন—সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, আত্মঘাতী হামলা প্রভৃতি ধ্বংসাত্মক কাজে ধনসম্পদ বা টাকাপয়সা ব্যয় করা ইসলাম অনুমোদন করে না। আল্লাহর অবাধ্যতার কাজে ব্যয় করা অপব্যয়, যদি তা একটি পয়সাও হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি যদি তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ আল্লাহর অভাবী বান্দাদের দারিদ্র্য বিমোচনে ও দীন ইসলামের কাজে খরচ করো, তাহলে এটি তোমাদের জন্য উত্তম।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর খাঁটি বান্দা হতে হলে অপব্যয় ও অপচয় পরিহার করে মধ্যমপন্থা অবলম্বন তথা মিতাচারের পথ অনুসরণ করতে হবে। আজ যে অপচয়কারী-বিলাসী, কাল সে ভিখারি-পরমুখাপেক্ষী। পিতৃসম্পদে সম্পদশালী ব্যক্তি যেমন বেহিসেবি জীবনাচারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দারিদ্র্যে পর্যবসিত হয়, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধশালী দেশও অপরিণামদর্শী ভোগ-বিলাসিতার কারণে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা মানুষের বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিতব্যয়িতা অবলম্বন করে, আল্লাহ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন, আর যে ব্যক্তি বাহুল্য খরচ করবে, আল্লাহ তাকে গরিব বানিয়ে দেবেন।’ (কানজুল উম্মাল)
মিতব্যয়িতা এমন একটি সৌন্দর্য, যা মুমিনের জীবনের প্রতিটি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। তাই নবীপ্রেমিক হতে হলে অপচয় ও অপব্যয় করা যাবে না এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা ও সমতা বজায় রাখতে হবে। তাহলে সমাজ থেকে চরম ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অভাব-অনটন ও বেকারত্ব অনেকাংশে কমে যাবে এবং পরবর্তী বংশধরেরা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারবে। জীবনের প্রতিটি কাজে মিতাচার অবলম্বন ও বাহুল্য পরিহার করতে দিকনির্দেশনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে অপচয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আর তোমরা আহার করবে ও পান করবে, কিন্তু অপচয় করবে না; নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সূরা আল-আরাফ, আয়াত-৩১)
বর্তমান সমাজে যেসব ভয়ানক কৃত্রিম সংকট ও বাস্তব জীবন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে মানুষের দ্বারাই সৃষ্ট এবং তার বেশির ভাগই অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে। প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতির জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ নিতান্ত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে কালাতিপাত করছে। অহেতুক অজু-গোসলের নামে পানির অপচয় অনেকেই করে। অথচ মহানবী (সা.) নদীতে বসে অজু করলেও তা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন।
সরকারি অফিস-আদালতে লাইট, ফ্যান, কাগজ-কলম, যানবাহন, কাঁচামালের ব্যবহারে অপচয় হয় বেশি। কেননা, ব্যবহারকারীকে এসবের ব্যয় বহন করতে হয় না। নগরজীবনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য দ্রব্যের অপচয় গৃহভৃত্যদের দ্বারাই বেশি হয়। আর বিত্তবানেরা লাখ লাখ টাকা অপব্যয়ে বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়ি ও শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করে; নিত্যনতুন পোশাকে ব্যয়বহুল সামাজিক অনুষ্ঠানে আলোকসজ্জা করে; প্রচুর পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য অপচয় করে। অন্যদিকে তাদের বাড়ির আশপাশে গেটের সামনে, রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে অসহায় লোকেরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায়; ছেঁড়া কাপড়ে জড়াজড়ি করে রাত্রি যাপন করে। ধর্মপ্রাণ লোকেরা যদি ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী অহেতুক অপব্যয় ও অপচয় রোধ করে মিতব্যয়ী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়, তাহলে অনেক জটিল সমস্যা, খাদ্যপানীয় ও জ্বালানি-সংকট অনায়াসে দূরীভূত হতে পারে। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবতাবোধ জাগাতে পারলে সমাজ থেকে চরম দারিদ্র্য, হতাশা ও নৈরাশ্য অনেকটা লোপ পাবে। অতএব, সব খাতে খরচ করার ক্ষেত্রে ব্যয়-সংকোচন করে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুশীলন করা একান্ত প্রয়োজন। তাই ধর্মপ্রাণ মানুষের আত্মোপলব্ধি করা উচিত যে তার উপার্জন যেমন বৈধ হতে হবে, তেমনি আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে দুর্নীতিমুক্ত জীবনযাপনে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করা অবশ্যই শ্রেয়।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
ইসলাম প্রয়োজনের অতিরিক্ত অপব্যয় করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আল্লাহভীরু মানুষকে তার নিজের ক্ষমতার মধ্যে ব্যয় সীমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অপাত্রে বিনা প্রয়োজনে অপরিমিত ব্যয় ক্ষতি ছাড়া কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না; বরং বাহুল্য ব্যয়ে সাধারণত গর্ব, অহংকার, আত্মপ্রসাদের প্রদর্শনী হওয়ায় এ ধরনের অনৈতিক ত্রুটি সমাজের লোকজনের কাছে গোপন থাকে না। অপচয়কারীরা দোষী এ কারণে যে তারা নিজের অপ্রয়োজনে ব্যয় করছে, অথচ নিঃস্ব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করছে না। মানুষ তখনই মানুষ হয়, যখন সে অন্য মানুষের দুঃখ-কষ্টে সহানুভূতি দেখায়, বিপদে-আপদে সহায়তা করে।
দেশের ও আপামর জনসাধারণের সার্বিক কল্যাণের জন্য ধনসম্পদ ব্যয় করা উত্তম। তবে দেশ ও জাতির ক্ষতিকর ও অনিষ্টকর, যেমন—সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, আত্মঘাতী হামলা প্রভৃতি ধ্বংসাত্মক কাজে ধনসম্পদ বা টাকাপয়সা ব্যয় করা ইসলাম অনুমোদন করে না। আল্লাহর অবাধ্যতার কাজে ব্যয় করা অপব্যয়, যদি তা একটি পয়সাও হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি যদি তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ আল্লাহর অভাবী বান্দাদের দারিদ্র্য বিমোচনে ও দীন ইসলামের কাজে খরচ করো, তাহলে এটি তোমাদের জন্য উত্তম।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর খাঁটি বান্দা হতে হলে অপব্যয় ও অপচয় পরিহার করে মধ্যমপন্থা অবলম্বন তথা মিতাচারের পথ অনুসরণ করতে হবে। আজ যে অপচয়কারী-বিলাসী, কাল সে ভিখারি-পরমুখাপেক্ষী। পিতৃসম্পদে সম্পদশালী ব্যক্তি যেমন বেহিসেবি জীবনাচারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দারিদ্র্যে পর্যবসিত হয়, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধশালী দেশও অপরিণামদর্শী ভোগ-বিলাসিতার কারণে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা মানুষের বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিতব্যয়িতা অবলম্বন করে, আল্লাহ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন, আর যে ব্যক্তি বাহুল্য খরচ করবে, আল্লাহ তাকে গরিব বানিয়ে দেবেন।’ (কানজুল উম্মাল)
মিতব্যয়িতা এমন একটি সৌন্দর্য, যা মুমিনের জীবনের প্রতিটি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। তাই নবীপ্রেমিক হতে হলে অপচয় ও অপব্যয় করা যাবে না এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা ও সমতা বজায় রাখতে হবে। তাহলে সমাজ থেকে চরম ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অভাব-অনটন ও বেকারত্ব অনেকাংশে কমে যাবে এবং পরবর্তী বংশধরেরা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারবে। জীবনের প্রতিটি কাজে মিতাচার অবলম্বন ও বাহুল্য পরিহার করতে দিকনির্দেশনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে অপচয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আর তোমরা আহার করবে ও পান করবে, কিন্তু অপচয় করবে না; নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সূরা আল-আরাফ, আয়াত-৩১)
বর্তমান সমাজে যেসব ভয়ানক কৃত্রিম সংকট ও বাস্তব জীবন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে মানুষের দ্বারাই সৃষ্ট এবং তার বেশির ভাগই অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে। প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতির জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ নিতান্ত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে কালাতিপাত করছে। অহেতুক অজু-গোসলের নামে পানির অপচয় অনেকেই করে। অথচ মহানবী (সা.) নদীতে বসে অজু করলেও তা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন।
সরকারি অফিস-আদালতে লাইট, ফ্যান, কাগজ-কলম, যানবাহন, কাঁচামালের ব্যবহারে অপচয় হয় বেশি। কেননা, ব্যবহারকারীকে এসবের ব্যয় বহন করতে হয় না। নগরজীবনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য দ্রব্যের অপচয় গৃহভৃত্যদের দ্বারাই বেশি হয়। আর বিত্তবানেরা লাখ লাখ টাকা অপব্যয়ে বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়ি ও শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করে; নিত্যনতুন পোশাকে ব্যয়বহুল সামাজিক অনুষ্ঠানে আলোকসজ্জা করে; প্রচুর পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য অপচয় করে। অন্যদিকে তাদের বাড়ির আশপাশে গেটের সামনে, রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে অসহায় লোকেরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায়; ছেঁড়া কাপড়ে জড়াজড়ি করে রাত্রি যাপন করে। ধর্মপ্রাণ লোকেরা যদি ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী অহেতুক অপব্যয় ও অপচয় রোধ করে মিতব্যয়ী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়, তাহলে অনেক জটিল সমস্যা, খাদ্যপানীয় ও জ্বালানি-সংকট অনায়াসে দূরীভূত হতে পারে। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবতাবোধ জাগাতে পারলে সমাজ থেকে চরম দারিদ্র্য, হতাশা ও নৈরাশ্য অনেকটা লোপ পাবে। অতএব, সব খাতে খরচ করার ক্ষেত্রে ব্যয়-সংকোচন করে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুশীলন করা একান্ত প্রয়োজন। তাই ধর্মপ্রাণ মানুষের আত্মোপলব্ধি করা উচিত যে তার উপার্জন যেমন বৈধ হতে হবে, তেমনি আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে দুর্নীতিমুক্ত জীবনযাপনে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করা অবশ্যই শ্রেয়।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments