পাথর ও বালু পাচার-বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ তিনজনের কারাদণ্ড, জরিমানা
বান্দরবানে পাথর ও বালু পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে বন বিভাগের দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তিনজনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত গত বৃহস্পতিবার রাতে এ রায় দেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জামান এই আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন: বন বিভাগের ডেপুটি রেঞ্জ কর্মকর্তা (ডিআরও) শাহ নোমান, মালী মোহাম্মদ ইউনুছ ও গ্রাম পুলিশের দফাদার মোস্তাক আহমদ। তাঁদের প্রত্যেককে ২১ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারে পাঠানো হয়। পাথর ও বালু পাচারে সহযোগিতা ছাড়াও সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে ওই তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের রংগ্যাঝিরি, হরিণঝিরি, তারাবনঝিরিসহ বিভিন্ন পাহাড়ি ছড়া থেকে কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে পাথর তুলে পাচার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এ পাচারকাজে জড়িত। বন বিভাগের টংকাবতী রেঞ্জ কার্যালয় প্রাঙ্গণের সড়ক দিয়ে ওই পাথর ও বালু পরিবহন করা হলেও ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এমনকি রেঞ্জ কার্যালয় এলাকায় পাথর স্তূপ করে রেখে পাচার হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পূর্ণচন্দ্র ম্রো অভিযোগ করেন, কোনো অনুমতিপত্র (পারমিট বা লাইসেন্স) ছাড়াই পাহাড়ি খাল, ঝিরি ও ছড়াগুলো থেকে পাথর তুলে পাচারে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় মকবুল আহম্মদ, কালু মিয়া, নজির আহম্মদ, আবদুর রহিম, নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজন বহিরাগত। তাঁরা পাহাড়ের মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করে পাথর তুলে নিচ্ছেন। ফলে স্থানীয় জলাশয়গুলো শুকিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
তবে পাথর পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে মকবুল আহম্মদ দাবি করেন, বন বিভাগ থেকে তাঁরা নিলামে কিছু পাথর নিয়েছেন।
কালু মিয়া ও নজির আহমদ বলেন, তাঁরা কিছু পাথর নিলামে নিয়েছেন। কিন্তু সেই পাথর পরিবহনের অনুমতি এখনো দেওয়া হয়নি। তবে হরিণঝিরি থেকে পাথর পরিবহন করছেন আবদুর রহিম ও মকবুল আহমদ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ফয়েজ আহম্মদ বলেন, টংকাবতীতে পাথর পাচার বন্ধের জন্য জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও কয়েকবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত বন কর্মকর্তাদের পাচার বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেননি। টংকাবতীতে কোনো পাথর কোয়ারির পারমিট বা লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
আদালত পরিচালনাকারী ইউএনও ইশরাত জামান বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি টংকাবতীতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতার পরিবর্তে পাচারকারীদের গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। পাচারকারীদের সহযোগিতার জন্য টংকাবতী বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন বন বিভাগের টংকাবতী রেঞ্জের ডিআরও শাহ নোমান, বাগান মালী মোহাম্মদ ইউনুছ ও গ্রাম পুলিশের দফাদার মোস্তাক আহমদ। তাঁদের গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৮৮ ধারায় দণ্ড দেওয়া হয়।
তবে বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তোশিবুল বারী খান দাবি করেন, কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় শাহ নোমান ও মোহাম্মদ ইউনুছকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত। সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে বন বিভাগের দুজনকে গ্রেপ্তার ও সাজা দিয়েছেন ইউএনও। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বন বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনকেও পাথর পাচার বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের রংগ্যাঝিরি, হরিণঝিরি, তারাবনঝিরিসহ বিভিন্ন পাহাড়ি ছড়া থেকে কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে পাথর তুলে পাচার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এ পাচারকাজে জড়িত। বন বিভাগের টংকাবতী রেঞ্জ কার্যালয় প্রাঙ্গণের সড়ক দিয়ে ওই পাথর ও বালু পরিবহন করা হলেও ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এমনকি রেঞ্জ কার্যালয় এলাকায় পাথর স্তূপ করে রেখে পাচার হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পূর্ণচন্দ্র ম্রো অভিযোগ করেন, কোনো অনুমতিপত্র (পারমিট বা লাইসেন্স) ছাড়াই পাহাড়ি খাল, ঝিরি ও ছড়াগুলো থেকে পাথর তুলে পাচারে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় মকবুল আহম্মদ, কালু মিয়া, নজির আহম্মদ, আবদুর রহিম, নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজন বহিরাগত। তাঁরা পাহাড়ের মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করে পাথর তুলে নিচ্ছেন। ফলে স্থানীয় জলাশয়গুলো শুকিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
তবে পাথর পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে মকবুল আহম্মদ দাবি করেন, বন বিভাগ থেকে তাঁরা নিলামে কিছু পাথর নিয়েছেন।
কালু মিয়া ও নজির আহমদ বলেন, তাঁরা কিছু পাথর নিলামে নিয়েছেন। কিন্তু সেই পাথর পরিবহনের অনুমতি এখনো দেওয়া হয়নি। তবে হরিণঝিরি থেকে পাথর পরিবহন করছেন আবদুর রহিম ও মকবুল আহমদ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ফয়েজ আহম্মদ বলেন, টংকাবতীতে পাথর পাচার বন্ধের জন্য জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও কয়েকবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত বন কর্মকর্তাদের পাচার বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেননি। টংকাবতীতে কোনো পাথর কোয়ারির পারমিট বা লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
আদালত পরিচালনাকারী ইউএনও ইশরাত জামান বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি টংকাবতীতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতার পরিবর্তে পাচারকারীদের গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। পাচারকারীদের সহযোগিতার জন্য টংকাবতী বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন বন বিভাগের টংকাবতী রেঞ্জের ডিআরও শাহ নোমান, বাগান মালী মোহাম্মদ ইউনুছ ও গ্রাম পুলিশের দফাদার মোস্তাক আহমদ। তাঁদের গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৮৮ ধারায় দণ্ড দেওয়া হয়।
তবে বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তোশিবুল বারী খান দাবি করেন, কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় শাহ নোমান ও মোহাম্মদ ইউনুছকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত। সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে বন বিভাগের দুজনকে গ্রেপ্তার ও সাজা দিয়েছেন ইউএনও। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বন বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনকেও পাথর পাচার বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
No comments