প্রশংসিত শান্তির মডেল-বাস্তবায়নে আমাদেরই উদ্যোগী হতে হবে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের সামনে শনিবার রাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির যে মডেল উপস্থাপন করেছেন, তা ইতিমধ্যেই শান্তির পক্ষে থাকা বিশ্ববাসীর ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা তাঁর শান্তির মডেলে মানুষ হিসেবে মানুষকে মর্যাদা দানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সেই লক্ষ্যে শান্তির মডেলে যে ছয়টি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হলো_ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য দূর, বঞ্চনা হ্রাস, ঝরে পড়া মানুষকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা, মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন। মডেলে বলা হয়, পরস্পর ক্রিয়াশীল এই বিষয়গুলো শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, এই মডেল ৭০০ কোটি মানুষের এই পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। অনেক বিশ্বনেতা ইতিমধ্যেই তাঁর এই মডেলের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুতা আবিষ্কার কবিতায় যেমন ধুলা তাড়াতে গিয়ে চারপাশ ধুলায় আচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়েছিল, আজ সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে গিয়ে তেমন পরিস্থিতিরই সৃষ্টি হয়েছে। দুনিয়াব্যাপী সন্ত্রাস কেবল বেড়েই চলেছে। মানুষকে যদি মানুষের মর্যাদা দেওয়া না হয়, মৌলিক অধিকারগুলো যদি নিশ্চিত করা না হয়, ক্রমাগত বৈষম্য যদি মানবসমাজেরই একটি অংশকে কেবল কোণঠাসা করে, যোগ্যতার সঙ্গে তাদের বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং তাদের দারিদ্র্যের নির্মম শিকার হতে হয়_তাহলে মানবসমাজের শান্তি সুদূরপরাহতই থেকে যাবে। স্থায়ী শান্তি তখনই আসতে পারে, যখন কোনো রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার থাকে, সুশাসন থাকে এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে। সেই লক্ষ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের সামনে শান্তির যে মডেল উপস্থাপন করেছেন, বর্তমান অশান্ত বিশ্বে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। বিশ্ব নেতারা যেহেতু এই মডেলের গুরুত্ব অনুধাবন করে এর প্রতি তাঁদের সমর্থনও ব্যক্ত করছেন, তাই এখন এই মডেল সামনে নিয়ে তাঁরা এটি বাস্তবায়নের কৌশল প্রণয়ন করবেন_এমনটাই বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় শান্তির মডেল উপস্থাপন করে বিশ্ব নেতাদের যে প্রশংসা অর্জন করেছেন, তা আমাদের গর্ব ও অহঙ্কারের বিষয়। সঙ্গত কারণেই এ ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বও অনেক গুণ বেড়ে যায়। শেখ হাসিনা 'জনগণের ক্ষমতায়ন' মডেলের যে রূপরেখা তুলে ধরেছেন, প্রস্তাবকারী দেশ হিসেবে আমাদেরই সর্বাগ্রে সেই রূপরেখা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত। আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শেখাও_এই সত্যটি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। অতীতে দুর্নীতির কারণে দরিদ্র এ দেশটির দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। একটি মহল সব সময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করে। অতীতে সংখ্যালঘুদের এ দেশ থেকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে, তাদের সহায়-সম্পদ লুট করা হয়েছে। এখন সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার জোরদার করার তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম ভিত্তি বিচার বিভাগ এখনো যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী নয়। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পরমতসহিষ্ণুতা এবং আলোচনার মাধ্যমে সব ধরনের সমস্যা সমাধানে আমাদের আরো আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে। পাশাপাশি অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে_এমন সব কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আর এসব কাজে দল-মত নির্বিশেষে দেশের মানুষের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন হবে, তেমনি প্রয়োজন হবে শেখ হাসিনার অধীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ নেতাদের অগ্রণী ভূমিকা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুতা আবিষ্কার কবিতায় যেমন ধুলা তাড়াতে গিয়ে চারপাশ ধুলায় আচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়েছিল, আজ সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে গিয়ে তেমন পরিস্থিতিরই সৃষ্টি হয়েছে। দুনিয়াব্যাপী সন্ত্রাস কেবল বেড়েই চলেছে। মানুষকে যদি মানুষের মর্যাদা দেওয়া না হয়, মৌলিক অধিকারগুলো যদি নিশ্চিত করা না হয়, ক্রমাগত বৈষম্য যদি মানবসমাজেরই একটি অংশকে কেবল কোণঠাসা করে, যোগ্যতার সঙ্গে তাদের বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং তাদের দারিদ্র্যের নির্মম শিকার হতে হয়_তাহলে মানবসমাজের শান্তি সুদূরপরাহতই থেকে যাবে। স্থায়ী শান্তি তখনই আসতে পারে, যখন কোনো রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার থাকে, সুশাসন থাকে এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে। সেই লক্ষ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের সামনে শান্তির যে মডেল উপস্থাপন করেছেন, বর্তমান অশান্ত বিশ্বে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। বিশ্ব নেতারা যেহেতু এই মডেলের গুরুত্ব অনুধাবন করে এর প্রতি তাঁদের সমর্থনও ব্যক্ত করছেন, তাই এখন এই মডেল সামনে নিয়ে তাঁরা এটি বাস্তবায়নের কৌশল প্রণয়ন করবেন_এমনটাই বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় শান্তির মডেল উপস্থাপন করে বিশ্ব নেতাদের যে প্রশংসা অর্জন করেছেন, তা আমাদের গর্ব ও অহঙ্কারের বিষয়। সঙ্গত কারণেই এ ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বও অনেক গুণ বেড়ে যায়। শেখ হাসিনা 'জনগণের ক্ষমতায়ন' মডেলের যে রূপরেখা তুলে ধরেছেন, প্রস্তাবকারী দেশ হিসেবে আমাদেরই সর্বাগ্রে সেই রূপরেখা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত। আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শেখাও_এই সত্যটি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। অতীতে দুর্নীতির কারণে দরিদ্র এ দেশটির দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। একটি মহল সব সময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করে। অতীতে সংখ্যালঘুদের এ দেশ থেকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে, তাদের সহায়-সম্পদ লুট করা হয়েছে। এখন সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার জোরদার করার তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম ভিত্তি বিচার বিভাগ এখনো যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী নয়। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পরমতসহিষ্ণুতা এবং আলোচনার মাধ্যমে সব ধরনের সমস্যা সমাধানে আমাদের আরো আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে। পাশাপাশি অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে_এমন সব কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আর এসব কাজে দল-মত নির্বিশেষে দেশের মানুষের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন হবে, তেমনি প্রয়োজন হবে শেখ হাসিনার অধীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ নেতাদের অগ্রণী ভূমিকা।
No comments