জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-একই আইনে চলুক সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবারও পথে নামেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অর্থায়নসংক্রান্ত একটি আইন সংশোধনের দাবিতে রবিবার থেকে পথে নামেন তাঁরা। চলতি অর্থবছরের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আর অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে না_অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের পর পথে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রবিবার বিক্ষোভরত ছাত্রদের পুলিশ লাঠিপেটা করে। আটক করা হয় ২১ শিক্ষার্থীকে। সোমবারও বিক্ষোভরত ২৪ শিক্ষার্থীকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০০৫ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন ব্যয় ও ছাত্র বেতনাদিসংক্রান্ত ২৭(৪) ধারায় বলা আছে, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হইবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌনঃপুনিক ব্যয় জোগানে সরকার কর্তৃক প্রদেয় অর্থ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাইবে এবং পঞ্চম বছর হইতে উক্ত ব্যয়ের শতভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ও উৎস হইতে বহন করিতে হইবে।' ধারা ২৭(১)-এ বলা আছে, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিচালন ব্যয়ের (মূলধন ব্যয় ব্যতিরেকে) নিরিখে প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য বেতন ও ফিস নির্ধারিত হবে।' ধারা ২৭(২)-এ বলা আছে, 'সেমিস্টার অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন ও ফিস সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগেই পরিশোধ করতে হবে।' ধারা ২৭(৩)-এ বলা আছে, 'বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত প্রকল্প ব্যয়ের অনূ্যন ১৬ শতাংশ অর্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে এবং অবশিষ্ট অর্থ সরকার কর্তৃক প্রদেয় হবে।' এ ছাড়া ধারা ২৭(৫)-এ বলা আছে, 'সরকার বা অন্যান্য বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত অনুদান বা আয় থেকে প্রয়োজনের নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি বা ক্ষেত্রমতে উপবৃত্তি প্রদান করতে পারবে।'
দেশের অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও একটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠাকালে যে আইনে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়, এখন সেই আইনের ফাঁকে পড়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবার জন্য যে আইন আছে, সেই আইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য হোক_এই দাবিতেই পথে নেমেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অবরোধ কর্মসূচি শুরুতে শান্তিপূর্ণই ছিল। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায়ের স্লোগান দিলেও তেমন কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি, তবে শিক্ষার্থীরা অধৈর্য ও ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু তাঁরা অবরোধ তুলে না নিলে একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। আটক করে শিক্ষার্থীদের।
রবিবারের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ঘটনার পর পরই তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। কাজেই যে সংকট দেখা দিয়েছে তা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যেতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখন সরকারের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ব্যয় হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। সে ব্যয় নির্বাহ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবে না। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একই আইন নয় কেন_এটাই এখন বড় প্রশ্ন। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নের ব্যাপারে একই আইন মেনে চলা হোক।
দেশের অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও একটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠাকালে যে আইনে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়, এখন সেই আইনের ফাঁকে পড়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবার জন্য যে আইন আছে, সেই আইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য হোক_এই দাবিতেই পথে নেমেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অবরোধ কর্মসূচি শুরুতে শান্তিপূর্ণই ছিল। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায়ের স্লোগান দিলেও তেমন কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি, তবে শিক্ষার্থীরা অধৈর্য ও ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু তাঁরা অবরোধ তুলে না নিলে একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। আটক করে শিক্ষার্থীদের।
রবিবারের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ঘটনার পর পরই তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। কাজেই যে সংকট দেখা দিয়েছে তা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যেতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখন সরকারের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ব্যয় হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। সে ব্যয় নির্বাহ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবে না। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একই আইন নয় কেন_এটাই এখন বড় প্রশ্ন। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নের ব্যাপারে একই আইন মেনে চলা হোক।
No comments