শর্ত পূরণে ৬ মাসে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে-কম্পানি পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ by নাজমুল আলম শিশির ও রাশেদুল তুষার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ ধারণ করা বাধ্যতামূলক করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বর্তমানে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৪৬টি কম্পানি রয়েছে, যেগুলোর পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশের কম রয়েছে। ২৩ নভেম্বরের ঘোষণা অনুযায়ী এই কম্পানিগুলোর পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হলে
আগামী ছয় মাসের মধ্যে কিনে কোটা পূরণ করতে হবে। এ বাধ্যবাধকতার কারণে ছয় মাসের মধ্যে বাজার থেকে ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার ২৯০টি শেয়ার কিনতে হবে কম্পানির পরিচালকদের। এতে বৃহস্পতিবারের বাজারদর অনুসারে তাঁদের পাঁচ হাজার ৬১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
অবশ্য চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) হিসাবে তালিকাভুক্ত ৫৭টি কম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ঘাটতি পূরণ করতে হলে ছয় মাসের মধ্যে কিনতে হবে ৭৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭টি শেয়ার, বুধবারের বাজারদরে যার মূল্য দাঁড়াবে ১০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। সিএসইর হিসাবে সরকারি মালিকানার প্রতিষ্ঠান ও তিনটি বন্ড যুক্ত হওয়ায় কম্পানির সংখ্যা ও শেয়ারের পরিমাণ বেশি বলে জানান এই স্টক এঙ্চেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাজিদ হোসাইন। তা ছাড়া শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার আলাদা কম্পানি হিসেবে লেনদেন হওয়ায় এটিকে আলাদা হিসাব করেছে সিএসই, যেটি ডিএসইতে বেঙ্মিকোর সঙ্গে হিসাব করা হয়েছে।
সিএসইর প্রধান নির্বাহী বলেন, 'এসইসি কিংবা সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে যেকোনো সময় এই তালিকা চাওয়া হতে পারে। তাই আমরা এটি তৈরি করে রেখেছি। তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলো থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে।'
সিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সিএসইতে তালিকাভুক্ত ৫৭টি কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। এসব কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ১৫৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৯ হাজার শেয়ার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৭৬ কোটি ৫৫ লাখ শেয়ার। কোটা পূরণ করতে হলে তাঁদের বাকি শেয়ার কিনতে বুধবারের বাজারদরে ১০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
ডিএসইর তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর মধ্যে শর্ত পূরণের জন্য ব্যাংক খাতের পরিচালকদের মোটা অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন খাতের এসব কম্পানির নূ্যনতম পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ৭৬৪ কোটি টাকার শেয়ার বাজার থেকে কিনে পরিচালকদের কোটা পূরণ করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কম্পানির পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই, দর বাড়ার তালিকায় সেই সব কম্পানি এগিয়ে। এই হারে বাড়তে থাকলে পরিচালকদের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকাও লাগতে পারে এই শেয়ার কিনতে।
চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, ৩০ শতাংশের কোটা পূরণের জন্য পরিচালকদের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে। তাঁর মতে, বর্তমানে বাজার মূল্যে এর পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, যেসব কম্পানির পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার আছে তাঁদের শেয়ারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে। আর পরিচালকরা বেশি শেয়ার ধারণ করায় কম্পানির প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধও বাড়বে।
সিএসইর সভাপতি বলেন, তৎকালীন এসইসির চোখের সামনে দিয়ে উদ্যোক্তা পরিচালকরা উচ্চমূল্যের বাজারে নিজেদের পোর্টফোলিও খালি করে ফেলেছেন। দরপতনের সময় যেখানে উদ্যোক্তারা শেয়ার ধরে রাখবেন, সেখানে তাঁরা এসইসিতে ঘোষণা দিয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন। আর তৎকালীন এসইসিও তা অনুমোদন দিয়েছে; যা ছিল বাজারধসের অন্যতম কারণ। তিনি এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
৩০ শতাংশের কোটা পূরণে কঠোর নজরদারির ওপর গুরুত্ব দিয়ে সিএসইর সভাপতি বলেন, তা না হলে কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের ডিসেম্বরে ক্লোজিং রয়েছে। তারা যদি বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃপণতা করে তাহলে অনেক বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার ছেড়ে দিতে পারেন। এ জন্য আগের বছরের ঘোষিত বোনাসের সঙ্গে রিজার্ভের সমন্বয় করে নতুন বোনাস ঘোষণা হচ্ছে কি না তা যাচাই করতে হবে এসইসিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ওসমান ইমাম বলেন, পরিচালকদের নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। তবে ছয় মাস সময় না দিয়ে পরিচালকদের আরো সময় দেওয়া যেত এবং ধাপে ধাপে শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ দিলে আরো ভালো হতো। তাঁর মতে, উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনার সময় বেঁধে দেওয়ায় নানা কারসাজি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ হাতে থাকা এসব বিপুল পরিমাণ শেয়ার তাঁরা ছেড়েছেন এক থেকে তিন বছরের মধ্যে; মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সেগুলো কিনতে হলে বাজারে দামের ক্ষেত্রে একটা প্রভাব পড়বে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কশিনের ১৯৬৯ অধ্যাদেশ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের নূ্যনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক পরিচালককে বাধ্যতামূলকভাবে নূ্যনতম ২ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হবে।
বর্তমানে যে ৪৬টি কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩০ শতাংশের নিচে আছে তাঁদের আর কী পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে, তার সর্বশেষ বাজারদর নিচে দেওয়া হলো।
ইনটেক অনলাইন লিমিটেড : বর্তমানে কম্পানির পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ২.৫৬ শতাংশ শেয়ার আছে। ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হলে কম্পানিটির পরিচালকদের বাজার থেকে আরো ২৭.৪৪ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। কম্পানিটির মোট শেয়ার হচ্ছে এক কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৪টি। ৩০ শতাংশ হতে হলে পরিচালকদের আরো ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৬২৭টি শেয়ার কিনতে হবে; সর্বশেষ বাজারদর অনুসারে যার দাম প্রায় ১৩ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৮ টাকা।
বেঙ্মিকো ফার্মা : কম্পানিটির পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ৩.৪৮ শতাংশ রয়েছে। বাজার থেকে আরো ২৬.৫২ শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের কিনতে হবে। বেঙ্মিকো ফার্মার মোট শেয়ার হচ্ছে ২৫ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮১০টি। ৩০ শতাংশ হতে হলে পরিচালকদের ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৩টি শেয়ার বাজার থেকে কিনতে হবে; যার বাজার মূল্য ৬৭০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮২৯ টাকা।
ফু-ওয়াং ফুডস : পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ৫.০৪ শতাংশ রয়েছে। ৩০ শতাংশ হতে হলে কম্পানিটির পরিচালকদের আরো ২৪.৯৬ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে; যা সংখ্যায় এক কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮। বাজার মূল্য ৫৭ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৮২ টাকা।
অ্যাপেঙ্ এডেলচি ফুটওয়্যার লিমিটেড : বর্তমানে এই কম্পানির পরিচালকদের হাতে ৫.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাজার থেকে আরো ২৪.৮১ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের। শেয়ারের সংখ্যার হিসাবে পরিচালকদের আরো দই লাখ ৭৯ হাজার ১১২টি শেয়ার কিনতে হবে; সর্বশেষ লেনদেনের হিসাব অনুযায়ী যার বাজার মূল্য ৮৪ কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৩৬০ টাকা।
কে অ্যান্ড কিউ : মোট শেয়ারের ৫.২২ শতাংশ ধারণ করছেন পরিচালকরা। তাঁদের আরো ২৪.৭৮ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। সেই হিসাবে বাজার থেকে কম্পানিটির পরিচালকদের এক লাখ ২১ হাজার ৪৮৪টি শেয়ার কিনতে হবে। বৃহস্পতিবার কম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৪১৮.৭৫ টাকা। সেই হিসাবে কম্পানিটির পরিচালকদের আরো পাঁচ কোটি আট লাখ ৭১ হাজার ৪২৫ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
অগি্ন সিস্টেমস লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকরা ধারণ করছেন মোট শেয়ারের ৫.২৯ শতাংশ। ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হলে বাজার থেকে আরো ৭৬ লাখ তিন হাজার ৪০২টি শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের; সর্বশেষ লেনদেন অনুসারে যার পরিচালকদের ৩০ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬০ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ৬.৭৩ শতাংশ। ৩০ শতাংশ হতে হলে বাজার থেকে ব্যাংকটির পরিচালকদের আরো ১০ কোটি ৫৮ লাখ দুই হাজার ১১টি শেয়ার কিনতে হবে; সর্বশেষ হিসাবে যার বাজার মূল্য ৭৩৯ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৮ টাকা।
দুলামিয়া কটন : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে আছে মোট শেয়ারের ৭.৬৮ শতাংশ। পরিচালকদের আরো এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৭টি শেয়ার কিনতে হবে। বাজার মূল্য দুই কোটি ৭৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪২ টাকা।
উত্তরা ব্যাংক : বর্তমানে উত্তরা ব্যাংকের পরিচালকদের হাতে ৮.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৩০ শতাংশ হতে হলে ব্যাংকটির পরিচালকদের বাজার থেকে ছয় কোটি ২৭ লাখ সাত হাজার ৫২৫টি শেয়ার কিনতে হবে। যার দাম প্রায় ৫১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ৮১২ টাকা।
ফাইন ফুডস লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের কাছে রয়েছে মোট শেয়ারের ৮.৪০ শতাংশ শেয়ার। ফলে পরিচালকদের আরো ২২ লাখ ৮২ হাজার ১৭৫টি শেয়ার কিনে ৩০ শতাংশ হতে হবে। বাজার মূল্য ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৭ টাকা।
এপেঙ্ ট্যানারি : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে ৮.৮৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফলে বাজার থেকে আরো তিন লাখ ২২ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজার মূল্য ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৪ টাকা।
মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স : বর্তমানে পরিচালকদের কাছে রয়েছে মোট শেয়ারের ৯.৬১ শতাংশ। পরিচালকদের আরো ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭০৭টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯৩ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৯৩ টাকা।
আজিজ পাইপস : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১০.৮৬ শতাংশ শেয়ার। ফলে তাঁদের আরো ৯২ হাজার ৮২৯টি শেয়ার কিনে ৩০ শতাংশ অর্জন করতে হবে। বৃহস্পতিবার কম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৮২ টাকা। সেই হিসাবে পরিচালকদের দুই কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৮ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১০.৯৮ শতাংশ ধারণ করছেন। ফলে তাঁদের আরো ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২টি শেয়ার কিনতে হবে। বাজারমূল্য ৬৭২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৭০৩ টাকা।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কম্পানি লি. : বর্তমানে পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১২.১৮ শতাংশ ধারণ করছেন। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো ৯ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২টি শেয়ার কিনতে হবে। সর্বশেষ লেনদেন অনুসারে যার বাজারমূল্য ৪৭ কোটি ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৭০৮ টাকা।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের ১২.৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো সাত কোটি ৭৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজারদর ২০১ কোটি ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা।
সিটি ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১২.৮৮ শতাংশ। ফলে তাঁদের আরো ৮৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০টি শেয়ার বাজার থেকে কিনে ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। যার বাজারমূল্য ৪৯৯ কোটি ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
বেঙ্মিকো লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৩.৪৫ শতাংশ। ফলে পুঁজিবাজার থেকে আরো পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৮ কিনতে হবে কম্পানিটির পরিচালকদের। সর্বশেষ হিসাবে পরিচালকদের বাজার দর অনুযায়ী ৭৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
এবি ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে ব্যাংকটির পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১৩.৯০ শতাংশ ধারণ করছেন। তাঁদের বাজার থেকে আরো ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩টি শেয়ার কিনতে হবে। এই শেয়ারের বাজারমূল্য ৪৩৬ কোটি ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৪৮ টাকা।
মুন্নু সিরামিক : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে ১৫.৫২ শতাংশ শেয়ার। ফলে আরো তিন লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৭টি শেয়ার কিনে তাঁদের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। সর্বশেষ হিসাবে যার দাম ১৯ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ৮৯৪ টাকা।
বিজিআইসি : পরিচালকদের হাতে ১৭.২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফলে আরো ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭০টি শেয়ার তাদের কিনতে হবে। এ পরিমাণ শেয়ারের বাজারমূল্য ৩৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭০ টাকা।
গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স : বর্তমানে ১৭.৭৭ শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের হাতে থাকায় বাজার থেকে আরো ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৭৫টি শেয়ার কিনে ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। যার মূল্য ৭৮ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৫ টাকা।
ফার্স্ট লিজ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড : কম্পানিটির পরিচালকদের হাতে বর্তমানে ১৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হলে তাঁদের আরো ছয় লাখ ১১ হাজার ২৮৮টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজারমূল্য ৪৮ কোটি ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৫২০ টাকা।
বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম : পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১৭.৯২ শতাংশ ধারণ করছেন। আরো চার লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৬টি কিনলে তাঁদের ৩০ শতাংশ হবে। শেয়ারের বাজারমূল্য ২৯ কোটি ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা।
অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল লিমিটেড : পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৮.২৩ শতাংশ। আরো ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ২০০টি শেয়ার কিনলে তাঁদের ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ হবে। যার বাজারমূল্য ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩২০ টাকা।
ফু-ওয়াং সিরামিক : বর্তমানে পরিচালকদের কাছে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৯.২০ শতাংশ শেয়ার। আরো ১০.৮ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের, যার পরিমাণ ছয় লাখ ৮৬ হাজার ৫৬১টি। যার বাজারমূল্য ২৯ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩১ টাকা।
মুন্নু জুট স্টাফলারস : পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৯.৩৯ শতাংশ। ফলে বাজার থেকে আরো চার হাজার ২৪৪টি শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ টাকা।
কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স : পরিচালকরা বর্তমানে ১৯.৫২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৩টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজার মূল্য ২০ কোটি ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫২ টাকা।
ইনফরমেশন সার্ভিসেস লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ১৯.৫৪ শতাংশ রয়েছে। আরো ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজার মূল্য তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৩ টাকা।
মুন্নু জুটেঙ্ : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে ২০.২৯ শতাশ শেয়ার রয়েছে। যদিও কম্পানিটি সম্প্রতি মুন্নু সিরামিকের সঙ্গে একীভূত হয়েছে।
বিডিকম অনলাইন : পরিচালকেেদর হাতে রয়েছে ২১.২৯ শতাংশ শেয়ার। তাই ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৩টি শেয়ার কিনে তাঁদের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে, যার বাজার মূল্য সাত কোটি ১৩ লাখ ১২ হাজার ৬১ টাকা।
সলভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ : বর্তমানে কম্পানিটির পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ২২.৬৯ শতাংশ রয়েছে। তাঁদের ৩০ শতাংশ হতে আরো ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৬টি শেয়ার লাগবে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ ১৬৪ টাকা।
ন্যাশনাল পলিমার : আরো ৬৭ হাজার ২১৮টি শেয়ার কিনে পরিচালকদের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। বর্তমানে তাঁদের হাতে রয়েছে ২২.৭৩ শতাংশ শেয়ার, যা সংখ্যায় ৬৭ হাজার ২১৮টি। শেয়ারের বাজারমূল্য চার কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ৭৬২ টাকা।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে ২২.৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আরো চার কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার ২৩৬টি শেয়ার কিনতে হবে কম্পানিটির পরিচালকদের, যার বাজারমূল্য ১১৭ কোটি তিন লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকা।
কনফিডেন্স সিমেন্ট : পরিচালকদের ২৩.৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আরো ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৭টি শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের। বাজারদর ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২৬ টাকা।
আলহাজ টেঙ্টাইল : মোট শেয়ারের ২৪.০২ শতাংশ ধারণ করছে পরিচালকরা। তাঁদের আরো চার লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৩টি শেয়ার বাজার থেকে কিনতে হবে, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ টাকা।
মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে ২৪.৭৯ শতাংশ শেয়ার। ৩০ শতাংশ পূরণ হতে তাঁদের আরো এক লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি শেয়ার বাজার থেকে কিনতে হবে, সর্বশেষ হিসাবে যার বাজারমূল্য প্রায় সাত কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ : কম্পানিটির পরিচালকদের আরো ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার কিনতে হবে। বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ২৪.৯৮ শতাংশ। ফলে পরিচালকদের আরো ৩১ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৮ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
দেশবন্ধু পলিমার : বর্তমানে পরিচালকরা ২৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে। পরিচালনা পর্ষদে থাকতে হলে তাঁদের আরো দুই লাখ শেয়ার কিনতে হবে, সর্বশেষ হিসাব মতে যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ম্যাকসন্স স্পিনিং : পরিচালকদের ৩০ শতাংশ হতে এখনো ৪.৫৬ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। হিসাব মতে পরিচালকরা বাজার থেকে ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৬০৮টি শেয়ার কিনবেন, সর্বশেষ লেনদেনের হিসাবে যার দাম আসে ২৭ কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
সিনোবাংলা : বর্তমানে পরিচালকদের ২৫.৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফলে তাঁদের আরো আট লাখ তিন হাজার ৮৬৩টি শেয়ার কিনতে হবে, সর্বশেষ হিসাবে যার বাজারদর তিন কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার ১৮০ টাকা।
মেট্রো স্পিনিং : বর্তমানে কম্পানিটির পরিচালকরা ২৬.২১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৬০টি শেয়ার প্রয়োজন হবে, যার বাজারমূল্য ছয় কোটি টাকা।
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড : ২৭.২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পরিচালকদের। ফলে তাঁদের আরো ২৩ লাখ ১২ হাজার ১২৮টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজারমূল্য ৭১ কোটি টাকার মতো।
বীকন ফার্মা : বর্তমানে পরিচালকরা ধারণ করছেন মোট শেয়ারের ২৭.২৭ শতাংশ। আরো ৬০ লাখ ছয় হাজারটি শেয়ার তাঁদের কিনতে হবে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ১৮ কোটি টাকার ওপরে।
ন্যাশনাল ব্যাংক : বর্তমানে পরিচালকরা ২৯.২০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। তাঁদের আরো ৬৮ লাখ ৮২ হাজার ৯২৪টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজারমূল্য ৪৪ কোটি টাকার ওপরে।
কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স : আরো এক হাজার ১৩৯টি শেয়ার কিনলে পরিচালকদের ৩০ শতাংশের কোটা পূর্ণ হবে। আর এর জন্য তাঁদের প্রয়োজন হবে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো।
অবশ্য চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) হিসাবে তালিকাভুক্ত ৫৭টি কম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ঘাটতি পূরণ করতে হলে ছয় মাসের মধ্যে কিনতে হবে ৭৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭টি শেয়ার, বুধবারের বাজারদরে যার মূল্য দাঁড়াবে ১০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। সিএসইর হিসাবে সরকারি মালিকানার প্রতিষ্ঠান ও তিনটি বন্ড যুক্ত হওয়ায় কম্পানির সংখ্যা ও শেয়ারের পরিমাণ বেশি বলে জানান এই স্টক এঙ্চেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাজিদ হোসাইন। তা ছাড়া শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার আলাদা কম্পানি হিসেবে লেনদেন হওয়ায় এটিকে আলাদা হিসাব করেছে সিএসই, যেটি ডিএসইতে বেঙ্মিকোর সঙ্গে হিসাব করা হয়েছে।
সিএসইর প্রধান নির্বাহী বলেন, 'এসইসি কিংবা সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে যেকোনো সময় এই তালিকা চাওয়া হতে পারে। তাই আমরা এটি তৈরি করে রেখেছি। তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলো থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে।'
সিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সিএসইতে তালিকাভুক্ত ৫৭টি কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। এসব কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ১৫৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৯ হাজার শেয়ার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৭৬ কোটি ৫৫ লাখ শেয়ার। কোটা পূরণ করতে হলে তাঁদের বাকি শেয়ার কিনতে বুধবারের বাজারদরে ১০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
ডিএসইর তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর মধ্যে শর্ত পূরণের জন্য ব্যাংক খাতের পরিচালকদের মোটা অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন খাতের এসব কম্পানির নূ্যনতম পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ৭৬৪ কোটি টাকার শেয়ার বাজার থেকে কিনে পরিচালকদের কোটা পূরণ করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কম্পানির পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই, দর বাড়ার তালিকায় সেই সব কম্পানি এগিয়ে। এই হারে বাড়তে থাকলে পরিচালকদের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকাও লাগতে পারে এই শেয়ার কিনতে।
চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, ৩০ শতাংশের কোটা পূরণের জন্য পরিচালকদের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে। তাঁর মতে, বর্তমানে বাজার মূল্যে এর পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, যেসব কম্পানির পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার আছে তাঁদের শেয়ারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে। আর পরিচালকরা বেশি শেয়ার ধারণ করায় কম্পানির প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধও বাড়বে।
সিএসইর সভাপতি বলেন, তৎকালীন এসইসির চোখের সামনে দিয়ে উদ্যোক্তা পরিচালকরা উচ্চমূল্যের বাজারে নিজেদের পোর্টফোলিও খালি করে ফেলেছেন। দরপতনের সময় যেখানে উদ্যোক্তারা শেয়ার ধরে রাখবেন, সেখানে তাঁরা এসইসিতে ঘোষণা দিয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন। আর তৎকালীন এসইসিও তা অনুমোদন দিয়েছে; যা ছিল বাজারধসের অন্যতম কারণ। তিনি এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
৩০ শতাংশের কোটা পূরণে কঠোর নজরদারির ওপর গুরুত্ব দিয়ে সিএসইর সভাপতি বলেন, তা না হলে কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের ডিসেম্বরে ক্লোজিং রয়েছে। তারা যদি বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃপণতা করে তাহলে অনেক বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার ছেড়ে দিতে পারেন। এ জন্য আগের বছরের ঘোষিত বোনাসের সঙ্গে রিজার্ভের সমন্বয় করে নতুন বোনাস ঘোষণা হচ্ছে কি না তা যাচাই করতে হবে এসইসিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ওসমান ইমাম বলেন, পরিচালকদের নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। তবে ছয় মাস সময় না দিয়ে পরিচালকদের আরো সময় দেওয়া যেত এবং ধাপে ধাপে শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ দিলে আরো ভালো হতো। তাঁর মতে, উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনার সময় বেঁধে দেওয়ায় নানা কারসাজি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ হাতে থাকা এসব বিপুল পরিমাণ শেয়ার তাঁরা ছেড়েছেন এক থেকে তিন বছরের মধ্যে; মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সেগুলো কিনতে হলে বাজারে দামের ক্ষেত্রে একটা প্রভাব পড়বে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কশিনের ১৯৬৯ অধ্যাদেশ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের নূ্যনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক পরিচালককে বাধ্যতামূলকভাবে নূ্যনতম ২ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হবে।
বর্তমানে যে ৪৬টি কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩০ শতাংশের নিচে আছে তাঁদের আর কী পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে, তার সর্বশেষ বাজারদর নিচে দেওয়া হলো।
ইনটেক অনলাইন লিমিটেড : বর্তমানে কম্পানির পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ২.৫৬ শতাংশ শেয়ার আছে। ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হলে কম্পানিটির পরিচালকদের বাজার থেকে আরো ২৭.৪৪ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। কম্পানিটির মোট শেয়ার হচ্ছে এক কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৪টি। ৩০ শতাংশ হতে হলে পরিচালকদের আরো ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৬২৭টি শেয়ার কিনতে হবে; সর্বশেষ বাজারদর অনুসারে যার দাম প্রায় ১৩ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৮ টাকা।
বেঙ্মিকো ফার্মা : কম্পানিটির পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ৩.৪৮ শতাংশ রয়েছে। বাজার থেকে আরো ২৬.৫২ শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের কিনতে হবে। বেঙ্মিকো ফার্মার মোট শেয়ার হচ্ছে ২৫ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮১০টি। ৩০ শতাংশ হতে হলে পরিচালকদের ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৩টি শেয়ার বাজার থেকে কিনতে হবে; যার বাজার মূল্য ৬৭০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮২৯ টাকা।
ফু-ওয়াং ফুডস : পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ৫.০৪ শতাংশ রয়েছে। ৩০ শতাংশ হতে হলে কম্পানিটির পরিচালকদের আরো ২৪.৯৬ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে; যা সংখ্যায় এক কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮। বাজার মূল্য ৫৭ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৮২ টাকা।
অ্যাপেঙ্ এডেলচি ফুটওয়্যার লিমিটেড : বর্তমানে এই কম্পানির পরিচালকদের হাতে ৫.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাজার থেকে আরো ২৪.৮১ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের। শেয়ারের সংখ্যার হিসাবে পরিচালকদের আরো দই লাখ ৭৯ হাজার ১১২টি শেয়ার কিনতে হবে; সর্বশেষ লেনদেনের হিসাব অনুযায়ী যার বাজার মূল্য ৮৪ কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৩৬০ টাকা।
কে অ্যান্ড কিউ : মোট শেয়ারের ৫.২২ শতাংশ ধারণ করছেন পরিচালকরা। তাঁদের আরো ২৪.৭৮ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। সেই হিসাবে বাজার থেকে কম্পানিটির পরিচালকদের এক লাখ ২১ হাজার ৪৮৪টি শেয়ার কিনতে হবে। বৃহস্পতিবার কম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৪১৮.৭৫ টাকা। সেই হিসাবে কম্পানিটির পরিচালকদের আরো পাঁচ কোটি আট লাখ ৭১ হাজার ৪২৫ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
অগি্ন সিস্টেমস লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকরা ধারণ করছেন মোট শেয়ারের ৫.২৯ শতাংশ। ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হলে বাজার থেকে আরো ৭৬ লাখ তিন হাজার ৪০২টি শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের; সর্বশেষ লেনদেন অনুসারে যার পরিচালকদের ৩০ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬০ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ৬.৭৩ শতাংশ। ৩০ শতাংশ হতে হলে বাজার থেকে ব্যাংকটির পরিচালকদের আরো ১০ কোটি ৫৮ লাখ দুই হাজার ১১টি শেয়ার কিনতে হবে; সর্বশেষ হিসাবে যার বাজার মূল্য ৭৩৯ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৮ টাকা।
দুলামিয়া কটন : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে আছে মোট শেয়ারের ৭.৬৮ শতাংশ। পরিচালকদের আরো এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৭টি শেয়ার কিনতে হবে। বাজার মূল্য দুই কোটি ৭৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪২ টাকা।
উত্তরা ব্যাংক : বর্তমানে উত্তরা ব্যাংকের পরিচালকদের হাতে ৮.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৩০ শতাংশ হতে হলে ব্যাংকটির পরিচালকদের বাজার থেকে ছয় কোটি ২৭ লাখ সাত হাজার ৫২৫টি শেয়ার কিনতে হবে। যার দাম প্রায় ৫১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ৮১২ টাকা।
ফাইন ফুডস লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের কাছে রয়েছে মোট শেয়ারের ৮.৪০ শতাংশ শেয়ার। ফলে পরিচালকদের আরো ২২ লাখ ৮২ হাজার ১৭৫টি শেয়ার কিনে ৩০ শতাংশ হতে হবে। বাজার মূল্য ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৭ টাকা।
এপেঙ্ ট্যানারি : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে ৮.৮৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফলে বাজার থেকে আরো তিন লাখ ২২ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজার মূল্য ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৪ টাকা।
মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স : বর্তমানে পরিচালকদের কাছে রয়েছে মোট শেয়ারের ৯.৬১ শতাংশ। পরিচালকদের আরো ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭০৭টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯৩ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৯৩ টাকা।
আজিজ পাইপস : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১০.৮৬ শতাংশ শেয়ার। ফলে তাঁদের আরো ৯২ হাজার ৮২৯টি শেয়ার কিনে ৩০ শতাংশ অর্জন করতে হবে। বৃহস্পতিবার কম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৮২ টাকা। সেই হিসাবে পরিচালকদের দুই কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৮ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১০.৯৮ শতাংশ ধারণ করছেন। ফলে তাঁদের আরো ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২টি শেয়ার কিনতে হবে। বাজারমূল্য ৬৭২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৭০৩ টাকা।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কম্পানি লি. : বর্তমানে পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১২.১৮ শতাংশ ধারণ করছেন। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো ৯ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২টি শেয়ার কিনতে হবে। সর্বশেষ লেনদেন অনুসারে যার বাজারমূল্য ৪৭ কোটি ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৭০৮ টাকা।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের ১২.৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো সাত কোটি ৭৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজারদর ২০১ কোটি ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা।
সিটি ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১২.৮৮ শতাংশ। ফলে তাঁদের আরো ৮৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০টি শেয়ার বাজার থেকে কিনে ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। যার বাজারমূল্য ৪৯৯ কোটি ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
বেঙ্মিকো লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৩.৪৫ শতাংশ। ফলে পুঁজিবাজার থেকে আরো পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৮ কিনতে হবে কম্পানিটির পরিচালকদের। সর্বশেষ হিসাবে পরিচালকদের বাজার দর অনুযায়ী ৭৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
এবি ব্যাংক লিমিটেড : বর্তমানে ব্যাংকটির পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১৩.৯০ শতাংশ ধারণ করছেন। তাঁদের বাজার থেকে আরো ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩টি শেয়ার কিনতে হবে। এই শেয়ারের বাজারমূল্য ৪৩৬ কোটি ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৪৮ টাকা।
মুন্নু সিরামিক : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে ১৫.৫২ শতাংশ শেয়ার। ফলে আরো তিন লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৭টি শেয়ার কিনে তাঁদের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। সর্বশেষ হিসাবে যার দাম ১৯ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ৮৯৪ টাকা।
বিজিআইসি : পরিচালকদের হাতে ১৭.২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফলে আরো ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭০টি শেয়ার তাদের কিনতে হবে। এ পরিমাণ শেয়ারের বাজারমূল্য ৩৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭০ টাকা।
গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স : বর্তমানে ১৭.৭৭ শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের হাতে থাকায় বাজার থেকে আরো ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৭৫টি শেয়ার কিনে ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। যার মূল্য ৭৮ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৫ টাকা।
ফার্স্ট লিজ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড : কম্পানিটির পরিচালকদের হাতে বর্তমানে ১৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হলে তাঁদের আরো ছয় লাখ ১১ হাজার ২৮৮টি শেয়ার কিনতে হবে। যার বাজারমূল্য ৪৮ কোটি ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৫২০ টাকা।
বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম : পরিচালকরা মোট শেয়ারের ১৭.৯২ শতাংশ ধারণ করছেন। আরো চার লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৬টি কিনলে তাঁদের ৩০ শতাংশ হবে। শেয়ারের বাজারমূল্য ২৯ কোটি ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা।
অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল লিমিটেড : পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৮.২৩ শতাংশ। আরো ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ২০০টি শেয়ার কিনলে তাঁদের ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ হবে। যার বাজারমূল্য ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩২০ টাকা।
ফু-ওয়াং সিরামিক : বর্তমানে পরিচালকদের কাছে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৯.২০ শতাংশ শেয়ার। আরো ১০.৮ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের, যার পরিমাণ ছয় লাখ ৮৬ হাজার ৫৬১টি। যার বাজারমূল্য ২৯ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩১ টাকা।
মুন্নু জুট স্টাফলারস : পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ১৯.৩৯ শতাংশ। ফলে বাজার থেকে আরো চার হাজার ২৪৪টি শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ টাকা।
কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স : পরিচালকরা বর্তমানে ১৯.৫২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৩টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজার মূল্য ২০ কোটি ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫২ টাকা।
ইনফরমেশন সার্ভিসেস লিমিটেড : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ১৯.৫৪ শতাংশ রয়েছে। আরো ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজার মূল্য তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৩ টাকা।
মুন্নু জুটেঙ্ : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে ২০.২৯ শতাশ শেয়ার রয়েছে। যদিও কম্পানিটি সম্প্রতি মুন্নু সিরামিকের সঙ্গে একীভূত হয়েছে।
বিডিকম অনলাইন : পরিচালকেেদর হাতে রয়েছে ২১.২৯ শতাংশ শেয়ার। তাই ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৩টি শেয়ার কিনে তাঁদের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে, যার বাজার মূল্য সাত কোটি ১৩ লাখ ১২ হাজার ৬১ টাকা।
সলভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ : বর্তমানে কম্পানিটির পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ২২.৬৯ শতাংশ রয়েছে। তাঁদের ৩০ শতাংশ হতে আরো ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৬টি শেয়ার লাগবে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ ১৬৪ টাকা।
ন্যাশনাল পলিমার : আরো ৬৭ হাজার ২১৮টি শেয়ার কিনে পরিচালকদের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। বর্তমানে তাঁদের হাতে রয়েছে ২২.৭৩ শতাংশ শেয়ার, যা সংখ্যায় ৬৭ হাজার ২১৮টি। শেয়ারের বাজারমূল্য চার কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ৭৬২ টাকা।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে ২২.৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আরো চার কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার ২৩৬টি শেয়ার কিনতে হবে কম্পানিটির পরিচালকদের, যার বাজারমূল্য ১১৭ কোটি তিন লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকা।
কনফিডেন্স সিমেন্ট : পরিচালকদের ২৩.৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আরো ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৭টি শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের। বাজারদর ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২৬ টাকা।
আলহাজ টেঙ্টাইল : মোট শেয়ারের ২৪.০২ শতাংশ ধারণ করছে পরিচালকরা। তাঁদের আরো চার লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৩টি শেয়ার বাজার থেকে কিনতে হবে, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ টাকা।
মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স : বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে ২৪.৭৯ শতাংশ শেয়ার। ৩০ শতাংশ পূরণ হতে তাঁদের আরো এক লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি শেয়ার বাজার থেকে কিনতে হবে, সর্বশেষ হিসাবে যার বাজারমূল্য প্রায় সাত কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ : কম্পানিটির পরিচালকদের আরো ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার কিনতে হবে। বর্তমানে পরিচালকদের হাতে রয়েছে মোট শেয়ারের ২৪.৯৮ শতাংশ। ফলে পরিচালকদের আরো ৩১ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৮ টাকার শেয়ার কিনতে হবে।
দেশবন্ধু পলিমার : বর্তমানে পরিচালকরা ২৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে। পরিচালনা পর্ষদে থাকতে হলে তাঁদের আরো দুই লাখ শেয়ার কিনতে হবে, সর্বশেষ হিসাব মতে যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ম্যাকসন্স স্পিনিং : পরিচালকদের ৩০ শতাংশ হতে এখনো ৪.৫৬ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। হিসাব মতে পরিচালকরা বাজার থেকে ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৬০৮টি শেয়ার কিনবেন, সর্বশেষ লেনদেনের হিসাবে যার দাম আসে ২৭ কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
সিনোবাংলা : বর্তমানে পরিচালকদের ২৫.৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফলে তাঁদের আরো আট লাখ তিন হাজার ৮৬৩টি শেয়ার কিনতে হবে, সর্বশেষ হিসাবে যার বাজারদর তিন কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার ১৮০ টাকা।
মেট্রো স্পিনিং : বর্তমানে কম্পানিটির পরিচালকরা ২৬.২১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। ৩০ শতাংশ হতে হলে তাঁদের আরো ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৬০টি শেয়ার প্রয়োজন হবে, যার বাজারমূল্য ছয় কোটি টাকা।
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড : ২৭.২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পরিচালকদের। ফলে তাঁদের আরো ২৩ লাখ ১২ হাজার ১২৮টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজারমূল্য ৭১ কোটি টাকার মতো।
বীকন ফার্মা : বর্তমানে পরিচালকরা ধারণ করছেন মোট শেয়ারের ২৭.২৭ শতাংশ। আরো ৬০ লাখ ছয় হাজারটি শেয়ার তাঁদের কিনতে হবে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ১৮ কোটি টাকার ওপরে।
ন্যাশনাল ব্যাংক : বর্তমানে পরিচালকরা ২৯.২০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। তাঁদের আরো ৬৮ লাখ ৮২ হাজার ৯২৪টি শেয়ার কিনতে হবে, যার বাজারমূল্য ৪৪ কোটি টাকার ওপরে।
কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স : আরো এক হাজার ১৩৯টি শেয়ার কিনলে পরিচালকদের ৩০ শতাংশের কোটা পূর্ণ হবে। আর এর জন্য তাঁদের প্রয়োজন হবে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো।
No comments