বিষমুক্ত বাউকুল চাষের নতুন সম্ভাবনা
নতুন
নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে দেশের কৃষি। প্রতিনিয়ত টেকসই
প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে দেশীয় কৃষিতে।
এরকমই এক প্রযুক্তি বাউকুলে পলিথিনের ব্যবহার। এতে কুল চাষে নতুন সম্ভাবনার
সৃষ্টি হয়েছে।
এ পদ্ধতিতে ৬-৭টি কুলে এক কেজি ওজন হচ্ছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। সাধারণভাবে উৎপাদিত বাউকুল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩০-৭০ টাকা। আর পলিথিন পদ্ধতিতে উৎপাদিত কুল প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জেলায় ৩০৮ হেক্টর জমিতে কুল চাষে ৪,২৯৬ মেট্রিক টন কুল উৎপাদন হয়েছে।
জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি-চাঁদপাড়ার মাঠে হারুনার রশিদ নামে এক কৃষক বাউকুলে পলিথিন ব্যবহার করে এ সফলতা পেয়েছেন। হারুন কালীগঞ্জ উপজেলার সানবান্ধা গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে। কুলে পলিথিন ব্যবহারের ফলে কোন কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে বিষমুক্ত এই কুল সাধারণ বাউকুল থেকে মিষ্টি ও নরম। যে কারণে বাজারে চাহিদাও বেশি।
হারুনার রশিদ বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে বাউকুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির কুল ও পেয়ারার চাষ করে আসছি। এ বছর আমার সাড়ে চার বিঘা জমিতে বাউকুল চাষ করেছি। পেয়ারায় পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করে যদি ভালো উৎপাদন হয়। তাহলে কুলেও ভালো ফলন হওয়ার কথা। এমন চিন্তা থেকে কুলে পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিছুদিনের মধ্যে খুব ভালো ফলাফল লক্ষ্য করি। পলিথিন ব্যবহারে উৎপাদিত কুলের সাইজ দেখে অবাক হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বাগান থেকে ৮-১০ মন কুল সংগ্রহ করছি। সেসব কুল ৮০ টাকা কেজি দরে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। প্রথম কয়েকদিন ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণভাবে উৎপাদিত বাউকুল থেকে বছরে প্রতি বিঘা জমিতে ২ লাখ টাকার মতো বিক্রি করা যায়। এতে চারা রোপণ থেকে শুরু করে ফল সংগ্রহ পর্যন্ত খরচ হয় ৩০ হাজার টাক। কিন্তু একই খরচে এ পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করায় এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে ৩ লাখের বেশি টাকার কুল বিক্রি করা যাবে।’
বিকশিত বাংলাদেশের কর্মী আনোয়ারুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বিষমুক্ত নিরাপদ ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে কুল চাষের জন্য তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪০০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট, ২২টি ফেরেমন ট্রাফ, ফসল সংগ্রহের জন্য প্লাস্টিকের ত্রিপল ও বাস্কেট দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে সংগ্রহ করা কুল ঢাকার বাজারে বিক্রির কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
এ পদ্ধতিতে ৬-৭টি কুলে এক কেজি ওজন হচ্ছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। সাধারণভাবে উৎপাদিত বাউকুল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩০-৭০ টাকা। আর পলিথিন পদ্ধতিতে উৎপাদিত কুল প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জেলায় ৩০৮ হেক্টর জমিতে কুল চাষে ৪,২৯৬ মেট্রিক টন কুল উৎপাদন হয়েছে।
জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি-চাঁদপাড়ার মাঠে হারুনার রশিদ নামে এক কৃষক বাউকুলে পলিথিন ব্যবহার করে এ সফলতা পেয়েছেন। হারুন কালীগঞ্জ উপজেলার সানবান্ধা গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে। কুলে পলিথিন ব্যবহারের ফলে কোন কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে বিষমুক্ত এই কুল সাধারণ বাউকুল থেকে মিষ্টি ও নরম। যে কারণে বাজারে চাহিদাও বেশি।
হারুনার রশিদ বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে বাউকুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির কুল ও পেয়ারার চাষ করে আসছি। এ বছর আমার সাড়ে চার বিঘা জমিতে বাউকুল চাষ করেছি। পেয়ারায় পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করে যদি ভালো উৎপাদন হয়। তাহলে কুলেও ভালো ফলন হওয়ার কথা। এমন চিন্তা থেকে কুলে পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিছুদিনের মধ্যে খুব ভালো ফলাফল লক্ষ্য করি। পলিথিন ব্যবহারে উৎপাদিত কুলের সাইজ দেখে অবাক হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বাগান থেকে ৮-১০ মন কুল সংগ্রহ করছি। সেসব কুল ৮০ টাকা কেজি দরে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। প্রথম কয়েকদিন ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণভাবে উৎপাদিত বাউকুল থেকে বছরে প্রতি বিঘা জমিতে ২ লাখ টাকার মতো বিক্রি করা যায়। এতে চারা রোপণ থেকে শুরু করে ফল সংগ্রহ পর্যন্ত খরচ হয় ৩০ হাজার টাক। কিন্তু একই খরচে এ পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করায় এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে ৩ লাখের বেশি টাকার কুল বিক্রি করা যাবে।’
বিকশিত বাংলাদেশের কর্মী আনোয়ারুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বিষমুক্ত নিরাপদ ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে কুল চাষের জন্য তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪০০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট, ২২টি ফেরেমন ট্রাফ, ফসল সংগ্রহের জন্য প্লাস্টিকের ত্রিপল ও বাস্কেট দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে সংগ্রহ করা কুল ঢাকার বাজারে বিক্রির কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
No comments