দুর্বলের বন্ধু হও by কাজী সিকান্দার
আমাদের
আজ গোটা সমাজ ব্যবস্থাই যেন দুর্বলের বিপক্ষে। যারা দুর্বল তারা পথেঘাটে
সব স্থানে লাঞ্ছিত ও সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে। পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের
সব স্তরে দুর্বলের হাহাকার ও কষ্টের তপ্ত নিঃশাসে ভারি আবহাওয়া। দুর্বলের
ওপর সবাই চেপে বসে। আইন-কানুন যেন দুর্বলের জন্য। অথচ তার ঘামে, তার
কষ্টকর মেহনতে সবলদের চাকা চলে। আমাদের যিনি শ্রেষ্ঠ মানব, মানবতার
অগ্রদূত, তাঁর আনিত ধর্ম ইসলাম সেই দুর্বলদের সঙ্গেই আছে। হুজুর (সা.)
নিজেই ঘোষণা করেন, আমাকে দুর্বলদের মধ্যে তালাশ কর। কেননা, দুর্বলদের
কারণেই তোমাদের রিজিক দান করা হয় এবং তোমাদের সাহায্য করা হয়। তাই যারা
পরিবারে দুর্বল বা যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে দুর্বল তাদের হেয় করার কোনো কারণ
নেই। তাদের তুচ্ছ ভাবার কোনো কারণ নেই। তাদের কারণে তুমি খেতে পারছ। মনে
রেখ, তাদের কারণে তোমাকে সাহায্য করা হচ্ছে। তুমি সবল নও, সত্যিকারে তুমি
যাকে দুর্বল ভাবছ সে-ই সবল। তার কারণে তুমি আজ সবল দাবি করতে পারছ।
দুর্বল কারা? সচরাচর যারা আচার-আচরণের ক্ষেত্রে বিনয়ী ও নম্র হয়, কঠোর হয় না আর লোকেরা তাকে দুর্বল মনে করে, আমরা তাদের দুর্বল ভাবি। কিন্তু আজ যাকে দুর্বল ভাবছি আসলেই কি সে দুর্বল? দুর্বল যখন সৎপথে থাকে, আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগির হক আদায় করে- আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন। কাজেই সে অনেক সবল। আমাদের জীবনে অনেক দুর্বল লোককে দেখেছি। কালের প্রবাহে ছেলেমেয়ে উপযুক্ত হওয়ায় তারা অনেক সবল ও প্রতিষ্ঠিত। এটি আল্লাহর রহমতের প্রকাশ। আসলে জীবনে তারাই সফল। আর আমি-আপনি? কীভাবে দুর্বলের ওপর অত্যাচার করি। নারী, চাকর, দরিদ্র, অসহায় মানুষকে আমরা অনেকে তো মানুষই মনে করতে রাজি নই। অথচ সে-ই দুর্বল যদি আল্লাহর নামে কসম করে আর আল্লাহ তা অবশ্যই পূরণ করেন। তাই দুর্বলদের সঙ্গে সর্বাবস্থায় সদাচরণ করা চাই।
হাদিস শরিফে আছে, যারা দুর্বলের সঙ্গে নরম ব্যবহার করবে তারা কেয়ামতের দিন আল্লাহর রহমতের নিচে স্থান পাবে। হুজুর (সা.) বলেন, তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকবে আল্লাহ তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন আপন রহমতের ছায়াতলে স্থান দেবেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এ তিনটি গুণ হলো- দুর্বলদের সঙ্গে নরম ব্যবহার করা, বাবা-মায়ের সঙ্গে সদয় আচরণ করা এবং গোলামের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। আসুন আমরা দুর্বলদের সঙ্গে নরম ব্যবহার করতে শিখি, জান্নাত কামাই করি। তাদের সব জায়গায় স্থান করে দিই। উঁচু-নিচু ভেদাভেদ ভুলে যাই। সবলরা যদি দুর্বলের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করে আর দুর্বলরা শ্রদ্ধা করে সবলকে তাহলে তো পরিবার, সমাজ স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। মনে রাখবেন, যারা দুর্বল বা পিছিয়ে পড়ে আছে তারাও মানুষ। এবং দুর্বলের সঙ্গেই মহান সৃষ্টিকর্তা আছেন। তাই আসুন আমরা দুর্বলদের সাথী হই। আল্লাহ আমাদের সাথী হবেন ইনশাআল্লাহ।
দুর্বল কারা? সচরাচর যারা আচার-আচরণের ক্ষেত্রে বিনয়ী ও নম্র হয়, কঠোর হয় না আর লোকেরা তাকে দুর্বল মনে করে, আমরা তাদের দুর্বল ভাবি। কিন্তু আজ যাকে দুর্বল ভাবছি আসলেই কি সে দুর্বল? দুর্বল যখন সৎপথে থাকে, আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগির হক আদায় করে- আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন। কাজেই সে অনেক সবল। আমাদের জীবনে অনেক দুর্বল লোককে দেখেছি। কালের প্রবাহে ছেলেমেয়ে উপযুক্ত হওয়ায় তারা অনেক সবল ও প্রতিষ্ঠিত। এটি আল্লাহর রহমতের প্রকাশ। আসলে জীবনে তারাই সফল। আর আমি-আপনি? কীভাবে দুর্বলের ওপর অত্যাচার করি। নারী, চাকর, দরিদ্র, অসহায় মানুষকে আমরা অনেকে তো মানুষই মনে করতে রাজি নই। অথচ সে-ই দুর্বল যদি আল্লাহর নামে কসম করে আর আল্লাহ তা অবশ্যই পূরণ করেন। তাই দুর্বলদের সঙ্গে সর্বাবস্থায় সদাচরণ করা চাই।
হাদিস শরিফে আছে, যারা দুর্বলের সঙ্গে নরম ব্যবহার করবে তারা কেয়ামতের দিন আল্লাহর রহমতের নিচে স্থান পাবে। হুজুর (সা.) বলেন, তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকবে আল্লাহ তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন আপন রহমতের ছায়াতলে স্থান দেবেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এ তিনটি গুণ হলো- দুর্বলদের সঙ্গে নরম ব্যবহার করা, বাবা-মায়ের সঙ্গে সদয় আচরণ করা এবং গোলামের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। আসুন আমরা দুর্বলদের সঙ্গে নরম ব্যবহার করতে শিখি, জান্নাত কামাই করি। তাদের সব জায়গায় স্থান করে দিই। উঁচু-নিচু ভেদাভেদ ভুলে যাই। সবলরা যদি দুর্বলের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করে আর দুর্বলরা শ্রদ্ধা করে সবলকে তাহলে তো পরিবার, সমাজ স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। মনে রাখবেন, যারা দুর্বল বা পিছিয়ে পড়ে আছে তারাও মানুষ। এবং দুর্বলের সঙ্গেই মহান সৃষ্টিকর্তা আছেন। তাই আসুন আমরা দুর্বলদের সাথী হই। আল্লাহ আমাদের সাথী হবেন ইনশাআল্লাহ।
No comments