চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান মনিটরিং করছে কমিটি
বর্তমানে
বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রচারিত অনুষ্ঠান, টক শো ও সংবাদ নিয়মিত
মনিটরিং করার জন্য কমিটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রোববার সংসদে প্রশ্নোত্তর-পর্বে তিনি বলেন, সরকারি ও জাতীয় ইলেকট্রনিক
গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতির কাছে পুরোপুরি দায়বদ্ধ। তাই
বাংলাদেশ টেলিভিশন হতে বিকৃত ও অসত্য তথ্য প্রদান করে জনগণকে বিভ্রান্ত
করার মতো কোনো অনুষ্ঠান বা টক শো প্রচার করার সুযোগ নেই। তিনি আরও জানান,
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’-এর তৃতীয় অধ্যায়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য
তথ্য বা উপাত্ত পরিহারের জন্য বলা হয়েছে। উক্ত নীতিমালা কার্যকর করার জন্য
‘সম্প্রচার আইন-২০১৫’ ও ‘সম্প্রচার কমিশন আইন-২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন দুইটি প্রণীত হলে ‘সম্প্রচার কমিশন’ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং টক
শো’র জন্য সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে। ফলে টক শোগুলোতে বিকৃত ও
অসত্য তথ্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে না। সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের
প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল
বা পত্রিকায় ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার এবং ব্যক্তিগত শত্রুতার বা বিরোধীকে
লক্ষ্য করে বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে নানা প্রকার কল্পকাহিনী বা মিথ্যা
বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হলে সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি দেশের প্রচলিত
আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সরকারি দলের মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর
প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের বিষয়ে ভারতীয়
দর্শকদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশের চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে
কোনো আইনগত বাধা নেই। তবে বিদেশী টিভি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে
ডাউনলিংক ফি বেশি হওয়ায় ভারতীয় ক্যাবল অপারেটররা এই বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে না।
বিষয়টি ভারতীয় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, সার্কভুক্ত দেশসমূহের টিভি চ্যানেলসমূহ যাতে সহজে ভারতে সম্প্রচার
করা যায় সেই লক্ষ্যে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সার্ক ফোরামে
উত্থাপনের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। অপর এক প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, দেশের
৫২৮টি দৈনিক পত্রিকার মধ্যে প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
সরকার দলীয় সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর তালিকা
অনুযায়ী, ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ প্রচার সংখ্যা নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
প্রতিদিন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রথম আলোর প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার
৮০০। আর ২ লাখ ৫০ হাজার ৮২০ প্রচার সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কালের
কণ্ঠ। তিনি আরও জানান, বর্তমানে মিডিয়াভুক্ত পত্রিকার সংখ্যা ৫২৮টি।
এরমধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২৪৫টি এবং মফস্বল থেকে প্রকাশিত হয় ২৮৩টি।
বর্তমানে প্রকাশনা বন্ধ রয়েছে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার এবং মিডিয়া স্থগিত
রয়েছে চারটি পত্রিকার।
No comments